নদীতীর সুশীতল

নদীতীর সুশীতল স্নিগ্ধ সমীরণ,
তরুশাখে বিহগের মধুর মিলন।
আম্রকুঞ্জে কোকিলের সুমধুর গান,
কোকিলের কুহুতানে হরষিত প্রাণ।

শালবনে কারা ওই বাজায় মাদল,
মাদলের তালে তালে হৃদয় পাগল।
ধামসামাদল বাজে বাঁশি বেজে উঠে,
শিমূল পলাশ বনে লাল ফুল ফুটে।

সাঁওতালী বধূগণ সবে এক সাথে,
মহুয়ার নেশা লাগে বসন্ত প্রভাতে।
সকলেই গান গায় পুলকিত চিত্ত,
মাদলের সুরেসুরে করে ওরা নৃত্য।

ফাগুনের ফুলবনে ফুটে কত ফুল,
আম্রশাখে মঞ্জুরিত আম্রের মুকুল।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

3 thoughts on “নদীতীর সুশীতল

  1. সকলেই গান গায় পুলকিত চিত্ত,
    মাদলের সুরেসুরে করে ওরা নৃত্য।

    ফাগুনের ফুলবনে ফুটে কত ফুল,
    আম্রশাখে মঞ্জুরিত আম্রের মুকুল।

    চমৎকার গীতি অথবা কথা কাব্য। অভিনন্দন কবি মি. ভাণ্ডারী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. পাঁচ তারকা রেটিং করে গেলাম প্রিয় কবি দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  3. এমন সব কবিতা একজন কবি চোখের সারল্য প্রকাশ করে। অভিনন্দন কবি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।