আমার গাঁয়ে মাটির টান
– লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আমার গাঁয়ে মাটির টান
মাটির গন্ধে জুড়ায় প্রাণ।
পূর্ব গগনে অরুণ হাসে,
তালপুকুরে মরাল ভাসে।
আমার গাঁয়ে পথের বাঁকে,
আমের শাখে কোকিল ডাকে।
তাল সুপারি খেজুর গাছে,
মনের সুখে পাখিরা নাচে।
আমার গাঁয়ে অজয় ঘাটে,
পাড়ার ছেলে সাঁতার কাটে।
গাঁয়ের মাঝি নৌকা চালায়,
যাত্রীরা আসে বোঝা মাথায়।
শালিক আসে নদীর চরে,
সারাটা দিন বেড়ায় উড়ে।
শাল পিয়াল বনের ধারে,
সূর্য লুকায় নদীর পারে।
আঁধার নামে আমার গাঁয়ে,
জোনাকি জ্বলে পথের বাঁয়ে।
প্রদীপ জ্বলে মাটির ঘরে,
চাঁদের হাসি জোছনা ঝরে।
গাঁয়ের মাটি স্বর্গ আমার,
মাটির টানে তাই আবার
আসব আমি আমার গাঁয়ে
মাটির ঘরে শীতল ছায়ে।
##প্রদীপ জ্বলে মাটির ঘরে,
আঁধার চাদর ঘরের 'পরে।
চাঁদের হাসি জোছনা ঝরে;
মন চলে যায় অচিন পুরে।
ধন্যবাদ লক্ষণদা!
স্বগ্রামের স্মৃতি আজও কবি মনে উজ্জ্বল। তারই প্রতিচ্ছায়া দেখতে পাই লিখায়।
শুভ সকাল মি. লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। অভিনন্দন।
আমার গাঁয়ে মাটির টান
মাটির গন্ধে জুড়ায় প্রাণ।
পূর্ব গগনে অরুণ হাসে,
তালপুকুরে মরাল ভাসে।
কী অসাধারণ কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী দা। অভিভূত হলাম।
আঁধার নামে আমার গাঁয়ে
জোনাকি জ্বলে পথের বাঁয়ে।
প্রদীপ জ্বলে মাটির ঘরে,
চাঁদের হাসি জোছনা ঝরে।
সবাই সবার নিজ গ্রামকে ভীষণ ভালবাসে। পুরো কবিতায় কবির সেই অনুভূতিই ফুটে উঠেছে। অনবদ্য সৃষ্টি। শুভ কামনা আপনার জন্য কবি লক্ষ্মণ ভান্ডারী ।
গাঁ গ্রাম শব্দটি শুনলে বুকের মধ্যে কেমন শূন্যতা অনুভব করি। ইট পাথরের দেয়াল থেকে মুক্তি নাই প্রিয় কবি দা।
অসাধারণ ছায়াছবি।
সুন্দর।