অজয় নদীর পারে

অজয় নদীর পারে

অজয় নদীর পারে ছোট মোর গাঁয়,
মাটিতে নিকানো ঘর সবুজ ছায়ায়।
পূবে রোজ রবি উঠে ছড়ায় কিরণ,
ফুল ফুটে বনে বনে বহে সমীরণ।

তাল সুপারির গাছ খেজুরের বন,
মোরগের ডাক শুনে হরষিত মন।
দিঘিতে মরাল ভাসে মাছ ধরে জেলে,
দিঘিঘাটে দাঁত মাজে ছোট ছোট ছেলে।

গ্রাম সীমানার পাশে নদী বয়ে চলে,
পাল তুলে নৌকা ভাসে অজয়ের জলে।
ভাটিয়ালী গান গেয়ে মাঝি নৌকা বায়,
ঘাটে এসে নৌকা ভিড়ে নদী কিনারায়।

অজয় নদীর পারে ছোট মোর গাঁয়ে,
দুই ধারে ধান খেত মেঠোপথ বাঁয়ে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

6 thoughts on “অজয় নদীর পারে

  1. অজয় নদীর পারে ছোট মোর গাঁয়ে,
    দুই ধারে ধান খেত মেঠোপথ বাঁয়ে। ___
    চমৎকার পদ্য কবিতা মি. ভাণ্ডারী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. গ্রাম সীমানার পাশে নদী বয়ে চলে,
    পাল তুলে নৌকা ভাসে অজয়ের জলে।
    ভাটিয়ালী গান গেয়ে মাঝি নৌকা বায়,
    ঘাটে এসে নৌকা ভিড়ে নদী কিনারায়।

    অজয় নদীর ভালোলাগায় পড়ে গেছি প্রিয় কবি ভাই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

  3. কবিতায় দৃশ্যপটের চিত্রায়ণ সুন্দর হয়েছে।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।