পরম শান্তির ঠিকানা

পরম শান্তির ঠিকানা
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ঠাকুর তোমার রাঙা চরণ-যুগল
পরম শান্তির ঠিকানা,
পুষ্পার্ঘ দিয়ে তাই রোজ সকালে
করি শ্রীচরণ- বন্দনা।

সবার চেয়ে বেশি করে আমি
তোমাকেই বাসি ভালো,
আঁধারভরা জীবনে মোর তাই
পেলাম সুখের আলো।

তোমার রাতুল চরণ-যুগল
বক্ষে ধারণ করি,
তোমার নামে ভাসালাম তাই
আমার জীবন তরী।

জীবনে চলার পথে ঠাকুর
তুমি মম ধ্রুবতারা,
তোমার নামে তোমার গানে
তাই আমি আত্মহারা।

তোমার চলন তোমার বলন
তোমার মতন করা,
তোমার নামে কাটে বাধা ভয়
শোক তাপ ও জরা।

নামে কাটে বিপদ বিঘ্ন আর
দুঃখ কষ্ট দূরে যায়,
অন্তিমেতে পাই যেন ঠাকুর
তোমার শ্রীচরণে ঠাঁই।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

4 thoughts on “পরম শান্তির ঠিকানা

  1. অজস্র শুভকামনা প্রিয় কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। জীবনের সবচেয়ে বড় কাজ সাধনা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_smile.gif

  2. ঠাকুর তোমার রাঙা চরণ-যুগল
    পরম শান্তির ঠিকানা,
    পুষ্পার্ঘ দিয়ে তাই রোজ সকালে
    করি শ্রীচরণ- বন্দনা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।