প্রভাতে পাখিরা ডাকে

প্রভাতে পাখিরা ডাকে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

প্রভাতে পাখিরা ডাকে,
আমাদের গাঁয়ে, রাঙাপথ বাঁয়ে সবুজ তরুর শাখে।

গ্রাম সীমানায় নদী বয়ে যায় এ গাঁয়ের পাশ দিয়ে,
গাঁয়ের বধুরা জল নিয়ে যায় কাঁখেতে কলসী নিয়ে।
সকাল হতেই এ গাঁয়ের পথে চলেছে গরুর গাড়ি,
আম কাঁঠালের বন পথ ধরে তালগাছ সারি সারি।

নয়ন দিঘির সুশীতল জলে মরাল মরালী ভাসে,
নয়নদিঘিতে সাঁতার কাটতে পানকৌড়ি হেথা আসে।
বটের ছায়ায় বাউলেরা গায় একতারা লয়ে হাতে,
লয়ে সব্জি বোঝা পথ চলে সোজা হাটুরে চলেছে হাটে।

নদী কিনারায় পড়ে আসে বেলা সূর্য যায় অস্তাচলে,
সূর্য ডুবে যায় ফিরিছে বাসায় সাদা বক দলে দলে।
নদীর ঘাটেতে নামিল আঁধার নির্জন নদীর ঘাট,
দিবসের শেষে সাঁঝের বেলায় ভেঙে যায় সেই হাট।

পাখিরা বাসায় ফেরে,
খেয়াঘাটে বাঁধা ঘাটে নৌকাখানি মাঝি চলে গেছে ঘরে।

প্রতি উত্তরের আশায় বা মন্তব্য পাওয়ার প্রত্যাশায় মন্তব্য করবেন না। কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততার জন্য সময়ের অভাবে অথবা প্রয়োজনবোধে কবি প্রতিটি মন্তব্যের প্রত্যুত্তর নাও দিতে পারেন।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু!

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

1 thought on “প্রভাতে পাখিরা ডাকে

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।