বৃষ্টি কাব্য

বৃষ্টি কাব্য
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

আষাঢ়ের বারিধারা ঝর ঝর ঝরে,
পথ ঘাট নদী মাঠ সব যায় ভরে।
খেয়ামাঝি খেয়া বায় যাত্রী করে পার,
ঘন কালো মেঘ এসে ছায় চারিধার।

থেকেথেকে শোনা যায় মেঘের গর্জন,
হাসিছে বিজুলি ধারা যখন তখন।
ঘন মেঘে বারি ধারা ঝরে অবিরল,
পথেঘাটে খেত মাঠে বয়ে যায় জল।

আষাঢ়ে বাদল নামে পথ জলে ভরে,
অবিরাম জল ঝরে সারা দিন ধরে।
বৃষ্টি নামে মেয়ে মোর বৃষ্টিতে ভিজে,
বৃষ্টির কবিতা লিখে বৃষ্টি মেয়ে নিজে।

বৃষ্টি সৃষ্টি, মিষ্টি মেয়ে, বৃষ্টির মতন,
বৃষ্টি নিয়ে কাব্য লিখে শ্রীমান লক্ষ্মণ।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

11 thoughts on “বৃষ্টি কাব্য

  1. সন্দেহ নাই। নিশ্চিত একটি সুন্দর কবিতা পড়লাম মি. ভাণ্ডারী। ধন্যবাদ।

    1. সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সশ্রদ্ধ প্রণাম গ্রহণ করুন।
      আগামীদিনে বৃষ্টিকাব্য –২ প্রকাশিত হবে।
      সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ রইলো।
      জয়গুরু!

    1. মন্তব্যে মুগ্ধ ও আবেশিত হলাম। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ প্রিয়কবি।
      প্রীতি, শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
      জয়গুরু!

    1. মন্তব্যে মুগ্ধ ও আবেশিত হলাম। পাতায় সুস্বাগতম প্রিয়কবি।

      সাথে থাকার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

      জয়গুরু!

  2. বৃষ্টি কাব্যে স্নান করলাম কবি ভাণ্ডারী ভাই। ভালোবাসা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

    1. বৃষ্টি ভেজা মিষ্টি দিনে মনের গহনে প্রাণের স্পন্দন। গুরু গুরু মেঘের গর্জনে যখন সারা বিশ্ব কেঁপে ওঠে, কালমেঘের অন্তরালে ঝলসে ওঠে বিদ্যুতের ঝিলিক, যখন রৌদ্রতপ্ত পৃথিবীর মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যায়, যখন পিপাসার্ত চাতকের দল ত্রাহি ত্রাহি রবে পিপাসার জল চায়, তখনই কখনো রিম ঝিম, কখনো টপ টপ, কখনো বা মুষলধারায় ও অঝোর ধারায় বৃষ্টি নেমে আসে।

      এমনি এক বর্ষণমুখরিত দিনে কবির কণ্ঠে ধ্বনিত হয় –আয় বৃষ্টি ঝেঁপে।
      সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ ও বিমোহিত হলাম। সাথে থাকুন কবিপ্রিয়।
      আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।
      জয়গুরু!

    1. বৃষ্টি ভেজা মিষ্টি দিনে মনের গহনে প্রাণের স্পন্দন। গুরু গুরু মেঘের গর্জনে যখন সারা বিশ্ব কেঁপে ওঠে, কালমেঘের অন্তরালে ঝলসে ওঠে বিদ্যুতের ঝিলিক, যখন রৌদ্রতপ্ত পৃথিবীর মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যায়, যখন পিপাসার্ত চাতকের দল ত্রাহি ত্রাহি রবে পিপাসার জল চায়, তখনই কখনো রিম ঝিম, কখনো টপ টপ, কখনো বা মুষলধারায় ও অঝোর ধারায় বৃষ্টি নেমে আসে।

      এমনি বর্ষণসিক্ত দিনে মহাকবি কালিদাসের মানসে ভেসে ওঠে মেঘদূত কাব্যের চিন্তাধারা। লিখলেন মেঘদূত কাব্য।
      মহাকবির কল্পনাপ্রসূত কাব্যের অনুপ্রেরণায় প্রাণিত হয়ে আমি লিখলাম বৃষ্টি কাব্য। এই কাব্য পর্বে পর্বে চলবে- আশা রাখি।

      সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ ও বিমোহিত হলাম প্রিয় কবি বোন আমার।
      আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।
      জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।