মানব রূপে দানব যারা

কবিতা হোক প্রকৃতির অপরূপ, মানবতা, সামাজিক মূল্যবোধ, বৈষম্য, অধিকার, নৈতিকতা, অধিকার, শোষণ-বঞ্চনা, আদর্শ, অবক্ষয়, আর ঘটনা প্রবাহ নিয়ে ছন্দের অভিবন্দনা। কবিতার মুক্তবাণী ডানা ছড়াবে দিগন্তে। মানবিক বিবেক জাগ্রত করে এগিয়ে যাওয়ার আশার আলো দেখাবে।

কবিতা মানুষের কথা বলে, কবিতা জীবনের কথা বলে। কবিতা খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলে। কবিতা দিকে দিকে বিদ্রোহের ঝড় তুলে। দিন আগত, সেদিন আসছে।

কবিতার বিপ্লবে আজ যোগ দিয়েছেন বহু নাম জানা অজানা কবি।
তাদের সবাইকে জানাই কবিতার আসর কাব্যমেলার
পক্ষ থেকে সংগ্রামী অভিনন্দন।
জয়গুরু!

মানব রূপে দানব যারা
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ভ্রূণহত্যায় উন্মত্ত আজকের ধরা,
অন্ধকারে জন্ম নেয় অবাঞ্ছিত শিশু।
যত্ন করে নাও তুলে, নিষ্পাপ যে ওরা,
হতে তো পারে ওরা মানব রূপে যীশু।

কিংবা সে হতে পারে মাদার টেরেসা,
দাও তাদের বাঁচার পূর্ণ অধিকার।
ভ্রূণহত্যা হয় পাপ, সে তো জিঘাংসা,
মানব দানব সেজে করে দুরাচার।

লিঙ্গ ভ্রূণনির্ণায়ক কে আনিল ধরায়,
অবাধে হতেছে নাশ কন্যা-ভ্রূণ যত।
এ জগতে ভ্রূণ-হত্যা নহেক অন্যায়।
দিকেদিকে ভ্রূণ-হত্যা চলে অবিরত।

থেমে গেছে ধরণীতে অগ্রগতির রথ,
স্তব্ধ হলো তাই বুঝি জাতীয় প্রগতি।
কেন রক্তে রঞ্জিত ধরিত্রীর রাজপথ,
দস্যুরূপে চালায় কারা ব্যভিচার অতি।

পাখিদের কাকলিতে কান্না আসে নেমে,
অজয়ের কলতানে ভাসে বিরহের সুর।
কন্যা-হারা জননীর কান্না যাক থেমে,
বাসযোগ্য হোক ধরা অনাগত শিশুর।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

12 thoughts on “মানব রূপে দানব যারা

  1. কবিতা মানবিক বিবেক জাগ্রত করে এগিয়ে যাওয়ার আশার আলো দেখাবে। নিশ্চয়ই দেখাবে কবি মি. লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী।

    কন্যা-হারা জননীর কান্না যাক থেমে,
    বাসযোগ্য হোক ধরা অনাগত শিশুর।

    ___ সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এই প্রত্যাশা যেন হয় আমাদের সকলের। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    1. সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।  সঠিক কথা বলেছেন।
      আন্তরিকতার সাথে কৃতজ্ঞতা জানাই।
      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
      জয়গুরু!

  2. কবিতা হোক সমাজ সংস্কারের কবিকূলের অন্যতম হাতিয়ার। অভিনন্দন কবি দা।  

    1. সহমত কবিপ্রতীম। সঠিক কথা বলেছেন।

      সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।  
      আন্তরিকতার সাথে অভিনন্দন জানাই।
      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
      জয়গুরু!

  3. মানব রূপে দানব যারা তাদের জানাই ধিক্। আপনার জন্য শুভকামনা কবি। 

    1. রাতের অন্ধকারে কুমারী জঠরে বহু অপরিশ্রুত
      ভ্রূণের জন্ম হয়। ওরা মানব নয় দানব।
      মানব বেশী দানবের উপদ্রব নির্মূল
      করতে এগিয়ে আসুন।

      সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। সাথে থাকুন।
      সহযোগিতা কাম্য। জয়গুরু!

  4. বাসযোগ্য হোক ধরা অনাগত শিশুর। একমত কবি দা।

    1. কন্যাভ্রূণ হত্যায় মেতেছে বসুধা। যেটা আইনত দণ্ডনীয়।
      আসুন, আমরা এর প্রতিবাদ করি। বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও
      এই হোক আমাদের জীবন সাধনা। ওরাই জাতির ভবিষ্যত্।

       

      সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। সাথে থাকুন।
      সহযোগিতা কাম্য। জয়গুরু!

  5. কবিতায় সমাজ সচেতনতার বক্তব্য সুন্দর উঠে এসেছে।

    1. কন্যাভ্রূণ হত্যায় মেতেছে বসুধা।
      আসুন আমরা এর প্রতিবাদ করি।
      বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও
      এই হোক আমাদের জীবন সাধনা।
      ওরাই জাতির ভবিষ্যত্।
      ওদের জীবন গড়ে তোলার দায়িত্ব
      আমাদের সকলের।

       

      সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। সাথে থাকুন।
      সহযোগিতা কাম্য। জয়গুরু!

  6. আপনার কবিতায় প্রাককথন এবং কবিতার ছন্দ ভালো লাগে দাদা। :)

    1. আসুন আমরা এর প্রতিবাদ করি।
      বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও
      এই হোক আমাদের জীবন সাধনা।

      কন্যারাই জাতির ভবিষ্যত্।
      দেশের জনগণকে সচেতন করে তুলুন।

      তাই আর কন্যাভ্রূণ হত্যা নয়। ওদের বাঁচিয়ে রেখে
      ওদের জীবন গড়ে তোলার দায়িত্ব
      আমাদের সকলের।

      সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। সাথে থাকুন।
      সহযোগিতা কাম্য। জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।