ভারতসূর্য ডুবে গেল হায়!
পঞ্চম পর্ব।
সংগ্রহ ও সম্পাদনা- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন (১৮৫৭-১৯৪৭): একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
ভারতবর্ষে ২০০ বছরের ইংরেজ শোষনের ইতিহাসঃ (প্রথম পর্ব) পূর্বে প্রকাশিত।
১০০ বছর ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক শোষনঃ (দ্বিতীয় পর্ব) পূর্বে প্রকাশিত।
৯০ বছরের ব্রিটিশ ভারত ঔপনিবেশিক শোষনঃ (তৃতীয় পর্ব) পূর্বে প্রকাশিত।
পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম (চতুর্থ পর্ব) পূর্বে প্রকাশিত।
স্বাধীন ভারত ও ভারতবাসীর স্বপ্ন (পঞ্চম পর্ব) বর্তমানে প্রকাশিত।
স্বাধীন ভারত ও ভারতবাসীর স্বপ্ন (পঞ্চম পর্ব)
ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে, আসুন, জেনে নিই ভারতের স্বাধীনতা ও স্বাধীন ভারত সম্পর্কে ৭টি এমন তথ্য যা প্রত্যেক ভারতবাসীর জানা উচিত—
ভারতের ইতিহাস যেমন প্রাচীন, তেমনই ঋদ্ধ এই দেশের সংস্কৃতিও। ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে, আসুন, জেনে নিই ভারতের স্বাধীনতা ও স্বাধীন ভারত সম্পর্কে ৭টি এমন তথ্য যা প্রত্যেক ভারতবাসীর জানা উচিত—
১. প্রথমবার ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয় ৭ অগস্ট, ১৯০৭ তারিখে, কলকাতার পার্শি বাগানে। লাল, হলুদ ও সবুজ রংয়ে রঞ্জিত ছিল এই পতাকা।
২. ভারতের ইংরেজি নাম ‘ইন্ডিয়া’। মনে করা হয়, ‘ইন্ডাস’ অর্থাৎ সিন্ধু নদের নাম থেকেই এই ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটির উৎপত্তি। আসলে এই নদের তীরেই প্রথম গড়ে উঠেছিল ভারতীয় সভ্যতা। সেই কারণেই এই নামকরণ বলে মনে করা হয়।
৩. ১০ হাজার বছরের ইতিহাসে ভারত কখনও পররাজ্য দখল করেনি।
৪. ভারতের বর্তমান পতাকাটি ডিজাইন করেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া ১৯২১ সালে বেজওয়াডায়। তিনি প্রথমে গেরুয়া আর সবুজ রং দু’টি রেখেছিলেন পতাকায়। রং দু’টি ছিল ভারতের প্রধান দু’টি সম্প্রদায়ের প্রতীক। পরে গান্ধীজির পরামর্শে সাদা রংটি সংযোজন করা হয়, ভারতের অন্যান্য সম্প্রদায়গুলির প্রতীক হিসেবে। মাঝে রাখা হয় একটি চরকার ছবি, যা দেশের অগ্রগতির প্রতীক।
৫. দাবা এবং সাপ-লুডোর মতো বিশ্ববিখ্যাত খেলার উদ্ভব হয় ভারতেই।
৬. জওহরলাল নেহেরু যে জ্যাকেটটি পরতেন, টাইমস ম্যাগাজিন সেটিকে ‘গ্লোবাল ফ্যাশন স্টেটমেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করে। পশ্চিমী দুনিয়াতেও এই জ্যাকেট অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়। বিটলসকেও এই জ্যাকেট পরতে দেখা যায়।
৭. ভারতে বিস্তৃত রাস্তার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এই দেশে রাস্তার দৈর্ঘ্য ১৯ লক্ষ মাইল।
দেশ আজ স্বাধীন। স্বাধীন ভারতে আজ এসেছে দেশ গড়ার সময়।
আমরা সবাই মিলে এমন একটি ভারত তৈরি করব, যেখানে সকল গরিব মানুষের পাকা বাড়ি থাকবে, সেই বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকবে, পানীয় জলথাকবে, শৌচাগার থাকবে।
আমরা সবাই মিলে এমন একটি ভারত তৈরি করব, যেখানে কৃষক শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন। আজ যত টাকা রোজগার করেন, ২০২২ সালের মধ্যে তার দ্বিগুণ রোজগার করবেন।
আমরা সবাই মিলে এমন একটি ভারত তৈরি করব, যেখানেনবীন প্রজন্মের যুবক-যুবতীদের স্বপ্ন সফল করার সম্পূর্ণ সুযোগ থাকবে।
আমরা সবাই মিলে এমন একটি ভারত তৈরি করব, যেদেশসন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং জাতপাত থেকে মুক্ত হবে।
আমরা সবাই মিলে এমন একটি ভারত তৈরি করব, যেখানে দুর্নীতি এবং স্বজন পোষণ থাকবে না।
আমরা সবাই মিলে এমন একটি ভারত তৈরি করব, যেখানে সবাই সুস্থ, পরিচ্ছন্ন থাকবেন এবং প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হয়ে উঠবেন।
আমরা সবাই মিলে উন্নয়ন যজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
ভারতের স্বপ্ন নিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করব – এই মনোভাব নিয়ে আরেকবার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রণাম জানাই।
১২৫ কোটি ভারতবাসীর নতুন বিশ্বাস ও আকাঙ্খাকে প্রণাম জানাই আর নতুন সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলার জন্য ভারতবাসীকে আহ্বান জানাই।
ভারতমাতা কি জয়, বন্দে মাতরম জয় হিন্দ।
জয় হিন্দ। জয় হিন্দ। জয় হিন্দ। জয় হিন্দ।
ভারতমাতা কি জয়, ভারতমাতা কি জয়, ভারতমাতা কি জয়।
বন্দে মাতরম, বন্দে মাতরম, বন্দে মাতরম, বন্দেমাতরম।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু!
ভারতসূর্য ডুবে গেল হায় গীতি-কবিতা-২
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ভারত আমার ভারতবর্ষ স্বদেশ আমার জন্মভূমি।
স্বাধীন আমার ভারতবর্ষ দেশ আমাদের বঙ্গভূমি।
দিকে দিকে শুনি আহ্বান ঐ শুনি ভারতের জয়গান,
আ-সমুদ্র হিমাচল জুড়ে উড়িছে গর্বে বিজয় নিশান।
এসো হে আর্য! নও অনার্য, এসো সবে ভারতবাসী,
স্বদেশের তরে হাসি হাসি পরলো যারা গলায় ফাঁসি।
ভারত আমার ভারতবর্ষ স্বদেশ আমার জন্মভূমি।
স্বাধীন আমার ভারতবর্ষ দেশ আমাদের বঙ্গভূমি।
হিন্দু মুসলিম বিভেদ মানি না, মানি না ধর্ম জাতি,
মানুষের তরে আমরা সকলে জাগি দিবস রাতি।
স্বাধীন আমার ভারতবর্ষ, স্বদেশ আমার স্বর্গ ধাম,
ভারতমাতা সবার মাতা জানাই তারে শত প্রণাম।
ভারত আমার ভারতবর্ষ স্বদেশ আমার জন্মভূমি।
স্বাধীন আমার ভারতবর্ষ দেশ আমাদের বঙ্গভূমি।
ত্রিবর্ণ পতাকা ভাসে আকাশে জাগছে জনগণ,
সংগ্রাম সমরে দীপ্ত পুলকে করলো যাঁরা রণ।
ফাঁসির মঞ্চে জয়গান গেয়ে জীবন দিল যাঁরা,
প্রতিবাদের দাবীতে যাঁরা ভেঙেছে পাষাণকারা।
ভারত আমার ভারতবর্ষ স্বদেশ আমার জন্মভূমি।
স্বাধীন আমার ভারতবর্ষ দেশ আমাদের বঙ্গভূমি।
ভারতের ইংরেজি নাম ‘ইন্ডিয়া’। মনে করা হয়, ‘ইন্ডাস’ অর্থাৎ সিন্ধু নদের নাম থেকেই এই ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটির উৎপত্তি। আসলে এই নদের তীরেই প্রথম গড়ে উঠেছিল ভারতীয় সভ্যতা। সেই কারণেই এই নামকরণ বলে মনে করা হয়।
ভারত আমার ভারতবর্ষ স্বদেশ আমার জন্মভূমি।
স্বাধীন আমার ভারতবর্ষ দেশ আমাদের বঙ্গভূমি।
অভিনন্দন কবি। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা প্রিয় কবি দা।
ভারতীয় জন মানুষের প্রতি স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।