বর্তমান ২০২০ বর্ষের অষ্টম কবিতা বর্ষ-বরণ ২০২০ নববর্ষের কবিতা-৮

বর্তমান ২০২০ বর্ষের অষ্টম কবিতা
বর্ষ-বরণ ২০২০ (নববর্ষের কবিতা-৮)

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

নতুন বছরে অজয়ের চরে
আজিকে সকাল বেলা,
সোনার কিরণ জলে বিচ্ছুরণ
সোনা রোদ করে খেলা।

আজি নববর্ষে হিমেল পরশে
সুশীতল নদীতট,
নববর্ষে হেথা স্বাগত জানায়
পাড়ের প্রাচীন বট।

দুই তীরে তার ছোট ছোট গ্রাম
গাঁয়ে রাঙাপথ বাঁকে,
নতুন বছরে নতুন আলোয়
বক উড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে।

নবীন প্রভাতে বছর শুরুতে
হাসি খুশি আর গান,
সবাকার সাথে প্রীতি বিনিময়
মেতে ওঠে সব প্রাণ।

বর্ষ আগমনে পূণ্য শুভক্ষণে
জাগে নব নব আশা,
কহয়ে লক্ষ্মণ প্রিয় কবিগণ
দেহ মোরে ভালবাসা।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।