বর্তমান ২০২০ বর্ষের নবম কবিতা বর্ষ-বরণ ২০২০ নববর্ষের কবিতা-১০

বর্তমান ২০২০ বর্ষের দশম কবিতা
বর্ষ-বরণ ২০২০ (নববর্ষের কবিতা-১০)

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শুভ নববর্ষে আজিকে সবার
জাগিয়া উঠিল প্রাণ,
মনের গহনে প্রাণের স্পন্দনে
বাজে হৃদয়ের গান।

পুষ্পিত কাননে স্নিগ্ধ সমীরণে
পুষ্পের সৌরভ ভাসে,
প্রভাত সময়ে মধু সংগ্রহে
অলিদল ধেয়ে আসে।

নতুন বছরে পিকনিক তরে
আসে সবে নদীঘাটে,
বসে নদীচরে পিকনিক করে
সারাদিন সেথা কাটে।

খিচুড়ির স্বাদে জিভে জল আসে
খায় সবে পেট ভরে,
নতুন বছরে পিকনিক সেরে
সাঁঝ হলে ফেরে ঘরে।

নববর্ষে আজি নতুন আলোকে
প্রাণে প্রাণে জাগে সাড়া,
নতুন বছরে বয়ে চলে আজি
অজয় নদীর ধারা।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।