স্বাগতম শুভ নববর্ষ …বর্ষ বরণ-১৪২৭ শুভ নববর্ষের কবিতা প্রথম পর্ব

স্বাগতম শুভ নববর্ষ ……বর্ষ বরণ-১৪২৭
শুভ নববর্ষের কবিতা প্রথম পর্ব

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

চলে গেল বসন্ত। ঝরে গেল আজ বসন্তের পাতা, নিয়ে যাক সঙ্গে সবমলিনতা। পয়লা বৈশাখের নতুন সকালে, দোলা লাগুক সবাকার প্রাণে প্রাণে, আর আনন্দের এই পূণ্য শুভক্ষণে আজ বাংলা কবিতা আসরের সকল শ্রদ্ধেয় কবিগণকে জানাই শুভ নববর্ষের আন্তরিক প্রীতি আর শুভেচ্ছা।

“শুভ নববর্ষ”

নতুন পোশাক নতুন সাজ।
নতুন বছর শুরু আজ।
মিষ্টি মন মিষ্টি হাসি।
শুভেচ্ছা জানাই রাশি রাশি॥

আধার ভেদ করে সূর্যকিরণ প্রতি জীবন দুয়ারে পৌছে যাক যাপিত জীবনের যাবতীয় গ্লানি ভুলে, আসুন রাঙিয়ে তুলি বাংলার নতুন বছর- ১৪২৭ ! করোনার আক্রমণ থেকে নিজে বাঁচতে আর অপরকে বাঁচাতে সতর্কতা অবলম্বন করে আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন। বাইরে বার হবেন না। ঘরের কোণে বন্দী থাকুন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে থাকুন। সবাইকে দূরে রাখুন। নিজে বাঁচুন অপরকে বাঁচান। সুস্থ থাকুন, অপরকে সুস্থ রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

শুভ নববর্ষের কবিতা প্রথম পর্ব
কবি- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শুভ নববর্ষ আজি, পয়লা বৈশাখ,
পুরাতন গ্লানি যত সব মুছে যাক।
আজি শুভ নববর্ষে পাখি গীত গায়,
অজয়ের জলে রবি কিরণ ছড়ায়।

পুস্পিত কাননে হেরি সব কলি ফুটে,
বর্ষ বরণেতে গৃহে শঙ্খ বেজে উঠে।
আসিল নুতন বর্ষ, নুতন পোশাক,
শুভ নববর্ষ আজি, পয়লা বৈশাখ।

বন্দীদশা সকলের শুন সর্বজন,
শুভ নববর্ষে তবু প্রফুল্লিত মন।
কবিতার আসরের যত কবিগণ,
নববর্ষের শুভেচ্ছা করিও গ্রহণ।

গৃহে বন্দী থাকি করো বর্ষরে বরণ,
কবিতায় লিখে কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

3 thoughts on “স্বাগতম শুভ নববর্ষ …বর্ষ বরণ-১৪২৭ শুভ নববর্ষের কবিতা প্রথম পর্ব

  1. শুভ নববর্ষের কবিতায় একরাশ ভালোবাসা কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। ভালো এবং নিরাপদে থাকুন। আশা করবো ভালো আছেন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।