স্বাগতম শুভ নববর্ষ …বর্ষ বরণ-১৪২৭ শুভ নববর্ষের কবিতা তৃতীয় পর্ব

স্বাগতম শুভ নববর্ষ ……বর্ষ বরণ-১৪২৭
শুভ নববর্ষের কবিতা তৃতীয় পর্ব

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

নব আনন্দে জাগো আজি, বৈশাখের প্রথম পুণ্য প্রভাতে।
সব জ্বালা যন্ত্রণা যাক মুছে, আসুক এক নতুন ভোর।
এসো হে বৈশাখ ! এসো হে নতুন এসো নবসাজে।

<< শুভ নববর্ষ >>

এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।

”এসো হে বৈশাখ এসো এসো …” সবার প্রিয় কবির এই বিখ্যাত গানের মাধ্যমে বাংলায় বরণ করে নেওয়া হয় নববর্ষকে। নতুন বছরের পূর্ণ প্রভাতে ভরে উঠুক সবাকার জীবন পাখিদের আনন্দ কলতানে। আসুক এবার নতুন সকাল, কিছু কথা আর কিছু গান। কিছু সুন্দর স্বপ্ন, একমুঠো সাদা মেঘ, কিছু মিষ্টি অনুভূতি। বৈশাখের দাবদাহে আসুক স্বপ্নময় সৃষ্টি। শুরু হোক নতুন বছরে নতুন উদ্দীপনার আলোকে রঙিন হোক আগামী দিনগুলো।

নববর্ষের আলোকে আমার কবিতা
নববর্ষের কবিতা তৃতীয় পর্ব

কবি- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

নতুন বছরে
বন্দী সবে ঘরে
বন্ধ ঘরেতে মন লাগে না,

বন্দী গৃহকোণে
কথা বলি ফোনে
বাইরে যাওয়া হলো মানা।

তরুশাখে পাখি
করে ডাকাডাকি,
কাননেতে ফুলকলি ফুটে,

পূরব দিশায়,
ওই দেখা যায়
প্রভাতে অরুণ রবি উঠে।

দেখি খোলা মাঠ
অজয়ের ঘাট
নির্জন সকাল বিকাল ও সাঁঝে,

বলাকারা উড়ে
শুনি ওই দূরে
সুরে রাখালের বাঁশি বাজে।

সারা দিন ধরে
সবে থাকি ঘরে
মোর মন থাকে না ঘরে,

অলস দুপুরে
দেখি যে পুকুরে
হাঁসগুলি শুধু জলে চরে।

নববর্ষ আসে
আনন্দ উচ্ছ্বাসে
দিন কাটে আর রাত আসে,

দিন কাটে হায়,
স্মৃতি থেকে যায়
হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি ভাসে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “স্বাগতম শুভ নববর্ষ …বর্ষ বরণ-১৪২৭ শুভ নববর্ষের কবিতা তৃতীয় পর্ব

  1. দিন কাটে হায়,
    স্মৃতি থেকে যায়
    হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি ভাসে। ___ তারপরও শুভ নববর্ষ শুভ সকাল প্রিয় কবি। http://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।