এসো হে পঁচিশে বৈশাখ … কবিপ্রণাম আমার কবিতা-২

এসো হে পঁচিশে বৈশাখ… কবিগুরু প্রণাম
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ দ্বিতীয় পর্ব

তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

নব আনন্দে জাগো আজি, বৈশাখের প্রথম পুণ্য প্রভাতে।
সব জ্বালা যন্ত্রণা যাক মুছে, আসুক এক নতুন ভোর।
এসো হে বৈশাখ ! এসো হে নতুন এসো
নিত্য নব নব সাজে।
এসো হে পঁচিশে বৈশাখ।
দিকে দিকে শুনি তার ডাক।

আমাদের সবচেয়ে প্রিয়কবি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। মানুষ হিসেবে জন্ম গ্রহণ করেও তার সমাজ, সংস্কৃতি ও শিক্ষা ব্যবস্থায় অবদান যেন তার অতিলৌকিক ক্ষমতাকেই আমাদের সামনে তুলে ধরে তিনি যেন তার মনের কথা অকাতরে বিলিয়ে গিয়েছেন তার লেখা কাব্য গ্রন্থ থেকে শুরু করে তার সকল রচনার মাধ্যমে। তিনি যেন নতুন দৃষ্টিকে প্রকৃতির সঙ্গে মানবের যে আত্মিক সম্পর্ক যুগ যুগ ধরে বর্তমান তা আমাদের সামনে উপস্থাপিত করেছেন তার প্রকৃতি প্রেম বিষয়ক রচনার মাধ্যমে।

তিনি যেন সকল প্রকার মানুষের মন বুঝতে পারতেন অনায়াসে।তাই তার লেখনীতে আমরা পাই নারী পুরুষ সকল প্রকার মানুষের অন্তরের দ্বন্দের কথা। তাই তিনি যেন ছিলেন এক মনসত্ববিদ। তার রচনা আমাদের বাঁচার নতুন প্রেরণা যোগায়। তার গান তার নৃত্য মনে এক নতুনত্বের ধারা সঞ্চার করে। সৃষ্টিকে ও স্রষ্টাকে যে ভালোবাসার বন্ধনে একাকীত্ব করেছেন তিনি। মানব হৃদয় ও মস্তিষ্ক যে বদ্ধ প্রাচীরের মধ্যে থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারে না তা তার বিশ্বভারতী সৃষ্টির মাধ্যমে জগতে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি তাই আধুনিক শিক্ষার প্রবর্তক।

তিনি একজন মহান দার্শনিক। তিনি তার দর্শনের মাধ্যমে আমাদের দিয়ে গিয়েছেন অমূল্য কিছু উক্তি যা আজকের প্রতিবেদনে আমরা জানাবো। আর এইভাবেই এই প্রথম ভারতীয় নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ঐশ্বরিক ক্ষমতা সম্পন্ন পরম পুরুষ আমাদের প্রাণের কবি, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জানাই আমাদের বিশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি। কবি-প্রণাম।

এসো হে পঁচিশে বৈশাখ
কবিপ্রণাম আমার কবিতা-২

কবি- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

তুমি বিশ্বকবি তোমারে প্রণমি
কবিগুরু রবিঠাকুর,
লিখিলে যে কত কাব্য গীতিমালা
দিলে সুমধুর সুর।

বিশ্বকবি তুমি তুমি কবিগুরু
দেশে দেশে তব নাম,
নোবেল বিজয়ী হে কবি মহান
তোমারে জানাই প্রণাম।

এ বিশ্ব মাঝারে দিলে সবাকারে
হৃদয়ের ভালবাসা,
তোমারে লভিয়া ধন্য বিশ্ববাসী
জাগে নব নব আশা।

হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে,
রাখী উত্সবে দিলে বাঁধি রাখী
সবাকারে ভালবেসে।

এই ভারতের মহা মানবের
সাগরের তীরে কবি,
জাতিভেদ ভুলে মাতিল সকলে
মহা মিলনের ছবি।

মানুষেরে তুমি ভালবাসা দিয়ে
করিলে হৃদয় জয়,
বিশ্বের কবি তুমি কবিগুরু
তোমার হউক জয়।

ওই যে আসিছে ভৈরব হরষে
এসো পঁচিশে বৈশাখ,
মোহ কালিমা সব দূরে যাক
মিলে যাক মিশে যাক।

দিনে দিনে কত লিখিলে কবিতা
কত কাব্য কত গান,
বিশ্বকবি তুমি হে রবি ঠাকুর
তোমারে জানাই প্রণাম।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “এসো হে পঁচিশে বৈশাখ … কবিপ্রণাম আমার কবিতা-২

  1.  এক রাশ ভালো লাগার ভালোবাসা ।মনোরম

  2. অনন্য সুন্দর এই আয়োজন। আপনাকে স্বরূপে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।