আষাঢ়ে বাদল নামে… জল ঝরে অঝোর ধারায় কবির কলমে বর্ষার কবিতা (পঞ্চম পর্ব)

আষাঢ়ে বাদল নামে… জল ঝরে অঝোর ধারায়
কবির কলমে বর্ষার কবিতা (পঞ্চম পর্ব)

কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

আষাঢ়মাসে বাদল ঝরে,
টুপুর টাপুর বৃষ্টি পড়ে,
অজয়নদে আজ এসেছে বান,

নদীনালা আর খেতমাঠ,
জলে থই থই পথ ঘাট,
একতারাতে বাউল গাহে গান।

আকাশপারে মেঘ জমেছে,
চারদিকে আঁধার ছেয়েছে,
মেঘ ডাকে ঐ গুরু গম্ভীর স্বরে,

নদীর পারে বাঁধ ভেঙেছে,
গাঁয়ের পথে জল ঢুকেছে,
জল ঢুকেছে গাঁয়ে সবার ঘরে।

জল জমেছে পথের ধারে
কাজলা দিঘি পুকুর পাড়ে,
হাঁসগুলি ভিজছে বৃষ্টির জলে,

আষাঢ় মাসে বাদল ঝরে,
মুষল ধারায় বৃষ্টি পড়ে,
মাথায় ছাতি কৃষক মাঠে চলে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

3 thoughts on “আষাঢ়ে বাদল নামে… জল ঝরে অঝোর ধারায় কবির কলমে বর্ষার কবিতা (পঞ্চম পর্ব)

  1. শুভেচ্ছা প্রিয় কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. বেশ ছন্দময় কবি দা

    অনেক অনেক ঈদ মোবারক

    নিশ্চিয় ভাল ও সুস্থ আছেন–

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।