জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীজি

আজ ২রা অক্টোবর জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন। দেশের মহান নেতা ১৮৬৯ সালের ২রা অক্টোবর, গুজরাটের পোরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাল্য নাম ছিল মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। পিতার নাম ছিল কাবা গান্ধী ও মাতার নাম ছিল পুতুলী বাঈ। স্বদেশের স্বাধীনতার তরে তিনি বহুবার কারাবরণ করেছেন। তাঁর জন্মদিনে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীজীকে জানাই কোটি কোটি প্রণাম। তাঁর শুভ জন্মদিনে বাংলা কবিতার আসরে আমার কবিতাটি প্রকাশ দিলাম।

যে দেশের বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধী সারা জীবন যুদ্ধ করেছিলেন সেই গ্রেট ব্রিটেন তার মৃত্যুর ২১ বছর পর তার সম্মানার্থে স্ট্যাম্পে গান্ধীর ছবি ছাপায়।

গান্ধীজির সম্মানে ভারতে ৫৩ টি বড় রাস্তা এবং সারা পৃথিবী জুড়ে ৪৮ টি রাস্তার নামকরণ করা হয় গান্ধীর নামে। শুধু তাই নয়, Time Magazine এর Man of the Year 1930 হয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী।

গান্ধীজির শেষকৃত্যে ১০ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছিল যা প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হয়েছিল। কেন মানুষ ভালবাসবে না এমন মানুষকে?

জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীজি
কলমে -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শুভদিন ২রা অক্টোবর, গুজরাটের পোরবন্দর
গান্ধীজির পূণ্য জন্মস্থান
শিখালেন মানবেরে স্বদেশ হিতের তরে
রাখিতে স্বদেশের সম্মান

কাবা গান্ধী তাঁর পিতা পুতুলীবাঈ নাম মাতা
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী,
দেশের স্বাধীনতার তরে সংগ্রাম আজীবন ধরে
কারাগারে থাকিলেন বন্দী।

করহ আপন কর্ম অহিংসা যে পরম ধর্ম
রাখিহ স্বদেশের সম্মান,
যায় যাবে প্রাণ তাহে সবে স্বাধীনতা চাহে
দিতে রাজি প্রাণ বলিদান।

স্বদেশের স্বাধীনতা দেশ, জাতি ও একতা
জাতির জনক দেন শিক্ষা।
করহ জীবন পণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন
চাহিও না কভু প্রাণভিক্ষা।

সংগ্রাম করি আমরণ তিনি করিলেন অনশন
জাতির জনক মহান নেতা।
গান্ধীজীর সেই আহ্বানে অ-সহযোগ আন্দোলনে
দেশবাসী লভিল স্বাধীনতা।

কোথা হতে আততায়ী নিধন তরে কে দায়ী ?
নাথুরাম গডসে তার নাম,
আজিকের এই শুভদিনে সারা ভারতের জনগণে
জানায় সহস্র কোটি প্রণাম।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীজি

  1. ভারতীয় জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীজী'র প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। kiss

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।