বাংলা কবিতা আসরের কবি শহীদ খাঁনের অমর স্মৃতিতে আমার কবিতা

বাংলা কবিতা আসরের কবি শহীদ খাঁনের
অমর স্মৃতিতে আমার কবিতা

p232201-150x150

“যে ফুল না ফুটিতে…………”
কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

কবিতার পাঠশালা কবিতা আসর,
কবিগণে বাঁধে হেথা নিজ নিজ ঘর।
নিত্য নব আসে কবি কবিতা আসরে,
কেহবা লয় বিদায় চিরদিন তরে।

কেহ আসে কেহ যায় এই খেলাঘরে,
কেহ আসি বাঁধে ঘর হেথা বালুচরে।
সাগর সৈকতে হেথা বসি নিরালায়,
রচনা করেন কাব্য আপন পাতায়।

সকালে বিকালে কভু রজনী নিশীথে,
কবিতার ফুল ফোটে প্রত্যহ প্রভাতে।
কেহ লেখে কেহ পড়ে কবিতা সকল,
দিনে দিনে বিকশিত কাব্য শতদল।

অকালেতে বৃন্তচ্যুত আশার মুকুল,
কবির স্মৃতিতে মোর কবিতার ফুল।

গায়ক কবি কাব্য উপহার 28.06.2018 তারিখে প্রদান করা হয়েছিল
কবি শহিদ খাঁন মহাশয়কে।

গায়ক কবি কাব্য উপহার
– লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

বাংলা কবিতা আসরের স্বনামধন্য কবি শহিদ খাঁন দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কবিতার আসরে আছেন।
কবিতা আসরে তিনি বহু কবিতা উপহার দিয়েছেন। প্রিয়কবির লেখায় ও গানে বিমুগ্ধ হয়ে
আমরা সকলেই তাকে গায়ক কবি কাব্য উপহার প্রিয়
গায়ক-কবির করকমলে উত্সর্গ করলাম।

গায়ক কবি কাব্য উপহার
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

গায়ক কবি সুরকার শিল্পী
কবি শহিদ খাঁন,
গায়ক কবিরে কাব্য উপহার
করিলাম প্রদান।

কবির জন্মস্থান কলারোয়ায়
সাত-ক্ষীরাতে জানি,
বর্তমান নিবাস কেশবপুরে,
যশোরে থাকেন তিনি।

সঙ্গীত শিল্পী গায়ক কবি
তিনি যে সুরকার,
করকমলে দিলাম তুলে
এ কাব্য উপহার।

সুকণ্ঠশিল্পী গায়ক বন্ধু
বাংলাদেশের কবি,
প্রিয়কবির কবিতায় হেরি
দুই বাংলার ছবি।

পদ্মা ও মেঘনা মিলিয়াছে যেথা
সেই নদীর মোহনায়,
দূরের কবি গান গেয়ে যায়
বসে শুনি নিরালায়।

বাংলার এই কবিতা আসরের
যত কবিগণ আজ,
সুরকার কবির গাহে জয়গান
এই আসরের মাঝ।

সুরের ঝংকারে দূরের সাথী
গেয়ে যাও তব গান,
গায়ক কবিরে দিলাম আজিকে
গায়ক কবির সম্মান।

বাংলা কবিতা আসরের কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারীর লেখা কবিতায় মন্তব্যের পাতা থেকে গৃহীত।
কবি শহীদ খাঁন-এর কলমে

কবিতা আসরের সুমহান কবি ব্যক্তিত্ব প্রশস্ত হৃদয়ের অধিকারী জনাব, লক্ষ্মন ভান্ডারী মহাশয় বাবুকে
আজ থেকে আমি আমার হৃদয় মন্ডিত হৃদপিন্ড থেকে শুধু বন্ধু নয়। নিজের একজন ভাই হিসাবেই
গ্রহন করলাম দাদা। যেমনটি করেছি অতীতে আসরের সুমহান কবি ব্যক্তিত্ব
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস বাবুকে। যাইহোক, আসরের
তরফ থেকে আমি একজন কন্ঠশিল্পী হিসাবে
আমার হৃদয়-বিজড়িত কবি দাদা ভাইকে স্বকন্ঠে
গান শোনাতে চাই। তার জন্য চাই শুধু দাদা ভাইয়ের মোবাঃ নং টা।
আমার নং ০১৭৪২-৭৭৪৬৪৪। ধন্যবাদ।
শহিদ খাঁন ০৩/০৭/২০১৮, ০১:০৫ মি:

বাংলা কবিতার আসরের কবি বৃশ্চিকের কবিতায় লেখা তার একটি মন্তব্যের পাতা থেকে গৃহীত।
কবি শহীদ খাঁনের কলমে–

আপনাকে প্রাণঢালা হদয় নিংড়ানো অসংখ্য ধন্যবাদ সুপ্রিয় কবি বন্ধুবর। আমার কবিতা আসরের অনেক শুভাকাঙ্খী
কবি বন্ধুরাই আমার এই কঠিন ও মারাত্মক রোগটার ব্যাপারে কম-বেশী
জেনে গেছেন এবং তারপর হতে আমার
পরম হিতাকাঙ্খী কয়েকজন আমাকে নিয়ে
লিখেছেনও বটে। বাকী কন্ধুরা তাদের
স্বহৃদয় গভীরের লেখণীতে কান্নার উক্তিও
পড়েছি এবং আমার সার্বিকময় মঙ্গলের
জন্য বার বার যথেষ্ট দোয়া ও আশীর্বাদও
করেছেন বা এখনো যে করেন,তার হাজার
ও প্রমাণ তাদের ভক্তিপূর্ণ লেখণীর মাঝে
আজও খুঁজে পাই কবি বন্ধু। কিন্তু সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে,আপনি মাত্র এক দিনের সামান্য সময় মোবাইল আলাপের
মাঝেই, আমাকে এতই ভালবেসে ফেলাতে আমি সত্যিই আপনার উপরে
এতটাই আপ্লুত হয়েছি,যা কোন ভাষা
দিয়ে বা লিখে প্রমাণ করার অযোগ্য।
গোটা আসরের সমস্ত কবি বন্ধুদেরকে
ছোট-বড়, ভাল-মন্দ,জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে
আমরা সবাই একই সংসার ভুক্ত একান্ত কাছের একে অপরের ভাই ও বোন হিসাবেই দেখি বা লেখা-লেখি করে আসছি। এই সবে মাত্র বিগত ৪ মাস
কাল অনুষ্ঠানে ঢোকার পর থেকেই। আর
আপনের আপন হয়ে এই অসুস্থতার মধ্য
দিয়ে প্রতি দিনই লেখার চেষ্টা করে যাচ্ছি
ভাইয়া। বর্তমানে,আপনাদের প্রাণখোলা
দোয়া ও আশীর্বাদের ব-দৌলতে এবং সকলের উৎসাহ মূলক সাহস যোগানো উদ্দীপনায় মনকে অনেকটা শক্ত করেই
ফেলেছি বন্ধু।
যাই হোক ভাইয়া, আমাকে হঠাৎ করে
এত আপন করে আসরের সমস্ত বন্ধুদের
মাঝে এরকম সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরার
জন্য, আমি আমাকে উৎসর্গ করে দিলাম
আপনার হাতে বন্ধু।
আজ থেকে শুধু আসরের ভাই বা বন্ধু নয়।
জানবেন,আমি আপনার সহদর ভাই।
আপনার উপরে আমার অসুস্থ শরীরের
সর্বাঙ্গীন মঙ্গলকামী আত্মিক দোয়া রইল।
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ভাইয়াটাকে মনে রাখুন।
আল্লাহ হফেজ। ভাবিকে আমার সালাম
দিবেন এবং ছোট আব্বু-আম্মুকে আমার
স্নেহচুম্বন ও স্নেহাশীষ জানাবেন।
…………………………………………………
যে ফুল না ফুটিতে…………
অমর কবি শহীদ খাঁনের অকাল মহাপ্রয়াণে কবিতার আসর শোকস্তব্ধ।
কবির শোকাহত পরিবারবর্গকে জানাই সমবেদনা।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “বাংলা কবিতা আসরের কবি শহীদ খাঁনের অমর স্মৃতিতে আমার কবিতা

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।