মহাশক্তির আরাধনা ……দেবীর বন্দনা -১৪২৭ শ্রী শ্রী মহানবমী পূজার কবিতা (পঞ্চম পর্ব)

মহাশক্তির আরাধনা ……দেবীর বন্দনা -১৪২৭
শ্রী শ্রী মহানবমী পূজার কবিতা (পঞ্চম পর্ব)

কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

10

মহাশক্তি আরাধনা বিখ্যাত জগতে,
মহা নবমীর পূজা হয় বিধিমতে।
ঢাক বাজে শাঁখ বাজে বাজিছে কাঁসর,
পূজার আনন্দে মাতে বিশ্ব চরাচর।

প্রজ্বলিত ধূপ দীপ বরণের ডালা,
সুমিষ্টান্ন ফলমূল প্রসাদের থালা।
মন্ত্রপাঠ হোমযজ্ঞ অঞ্জলি প্রদান,
সবশেষে যূপকাষ্ঠে ছাগ বলিদান।

বলিহারী দুর্গাপূজা পশু রক্তে পূজা,
জীবের দূর্দশা হেরি কাঁদে দশভূজা।
করোনা আবহে হেথা অসুস্থ পৃথিবী,
তবু শত ছাগ হত্যা, নৃশংস ছবি।

নর করে জীবহত্যা হাসে অন্তর্যামী,
বন্ধ কর জীব হত্যা কহিলাম আমি,
বলি অন্তে নবমীর পূজা সমাপন,
নবমীর কাব্যে কবি লিখেন লক্ষ্মণ।

…………………………

নবমী তিথি আরম্ভ:
বাংলা তারিখ– ৭ কার্তিক, ১৪২৭, শনিবার।
ইংরেজি তারিখ– ২৪/১০/২০২০
সময় – সকাল ১১টা ২২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড থেকে।

নবমী তিথি শেষ:
বাংলা তারিখ–৮কার্তিক, ১৪২৭, রবিবার।
ইংরেজি তারিখ– ২৫/১০/২০২০
সময় – সকাল ১১টা ১১ মিনিট ০৪ সেকেন্ড পর্যন্ত।

পূর্বাহ্ন সকাল ৯টা ৭ মিনিট ২৯ সেকেন্ড মধ্যে শ্রীশ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর কেবল মহানবমী কল্পারম্ভ ও মহানবমী বিহিত পূজা প্রশস্তা। সকাল ৯টা ৭ মিনিট ২৯ সেকেন্ড মধ্যে বীরাষ্টমীব্রত ও মহাষ্টমীব্রতের পারণ।

মনে রাখবেন :
– ২৫ জন এর বেশী লোক জমায়েত হতে পারবে না।
– সর্দি কাশি বা জ্বর থাকলে অনুষ্ঠানে যোগদান নিষেধ।
– ১.৫ মিটার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
– মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
– স্যানিটাইজ করতে হবে।
নিয়ম না মানলে কড়া শাস্তির ভয়। এ দিকে দুর্গাপুজোর অঙ্গ, যেমন শাঁখ বাজানো, উলু দেওয়া- সে সব মাস্ক পরে সম্ভব নয়। তাছাড়া মেলামেশাও তো পুজোর খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। সেটাও এই পরিস্থিতিতে সম্ভব নয়। এত সব মেনে কি আর আনন্দ করা সম্ভব!

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

1 thought on “মহাশক্তির আরাধনা ……দেবীর বন্দনা -১৪২৭ শ্রী শ্রী মহানবমী পূজার কবিতা (পঞ্চম পর্ব)

  1. নর করে জীবহত্যা হাসে অন্তর্যামী,
    বন্ধ কর জীব হত্যা কহিলাম আমি,
    বলি অন্তে নবমীর পূজা সমাপন,
    নবমীর কাব্যে কবি লিখেন লক্ষ্মণ।

    সুন্দর হোক জীবনের প্রতিটি সময়। শুভেচ্ছা প্রিয় কবি।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।