এসো হে শুভ নববর্ষ-১৪২৮ …. আনো সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি নতুন বছরের নতুন কবিতা (দ্বিতীয় পর্ব)

এসো হে শুভ নববর্ষ-১৪২৮ …. আনো সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি
নতুন বছরের নতুন কবিতা (দ্বিতীয় পর্ব)

তথ্য সংগ্রহ ও কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ও

নব আনন্দে জাগো আজি, বৈশাখের প্রথম পুণ্য প্রভাতে।
সব জ্বালা যন্ত্রণা যাক মুছে, আসুক এক নতুন ভোর।
এসো হে বৈশাখ ! এসো হে নতুন এসো নবসাজে।

<< শুভ নববর্ষ >>

এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।

”এসো হে বৈশাখ এসো এসো …” সবার প্রিয় কবির এই বিখ্যাত গানের মাধ্যমে বাংলায় বরণ করে নেওয়া হয় নববর্ষকে। নতুন বছরের পূর্ণ প্রভাতে ভরে উঠুক সবাকার জীবন পাখিদের আনন্দ কলতানে। আসুক এবার নতুন সকাল, কিছু কথা আর কিছু গান। কিছু সুন্দর স্বপ্ন, একমুঠো সাদা মেঘ, কিছু মিষ্টি অনুভূতি। বৈশাখের দাবদাহে আসুক স্বপ্নময় সৃষ্টি। শুরু হোক নতুন বছরে নতুন উদ্দীপনার আলোকে রঙিন হোক আগামী দিনগুলো।

A

এসো হে শুভ নববর্ষ-১৪২৮ …. আনো সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি
নতুন বছরের নতুন কবিতা (দ্বিতীয় পর্ব)

কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

নববর্ষ দিনে আজি সকলে আসিল সাজি
আজিকে হবে বর্ষ বরণ,
রবি উঠে পূবদিকে অরুণ আবীর মেখে
লাল হল পূবের গগন।

রাঙাপথে সারি সারি চলিছে গরুর গাড়ি
আসে এক নতুন সকাল,
সবুজ তরুর শাখে কিচিমিচি পাখি ডাকে
দূরে বন শাল ও পিয়াল।

নতুন বছর আসে ফুলের সৌরভ ভাসে
পুঞ্জেপুঞ্জে ধেয়ে আসে অলি,
নতুন প্রভাত হয় নতুন বছরে কয়
সবে শুভ নববর্ষ বলি।

বসন্ত হইল শেষ পরিল গ্রীষ্মের বেশ
বর্ষের প্রথমে গ্রীষ্ম আসে,
নতুন বছর আজি নব কিশলয় রাজি
তরুশাখে পত্রবৃন্তে হাসে।

সুখ শান্তি ভালবাসা জাগে মনে নব আশা
নতুন বছর লাগে ভালো,
অজয় নদীর চরে সোনা রোদ পড়ে ঝরে
অরুণ সূর্য ছড়ায় আলো।

B

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

1 thought on “এসো হে শুভ নববর্ষ-১৪২৮ …. আনো সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি নতুন বছরের নতুন কবিতা (দ্বিতীয় পর্ব)

  1. বাংলা নতুন বছরে আপনার এমন আয়োজন সত্যিকারার্থেই প্রশংসার দাবী রাখে। কবিতা এবং আলোচনায় মুগ্ধ হলাম কবি মি. ভাণ্ডারী। শুভ সকাল। নিরাপদে থাকবেন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।