হেমন্তের গান গেয়ে … চাষী সব ধান কাটে হেমন্তের হিমেল কবিতা (দশম পর্ব)

1

হেমন্তের গান গেয়ে …. চাষী সব ধান কাটে
হেমন্তের হিমেল কবিতা (দশম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

হেমন্তের রং লাগে মাঠে পাকা ধান,
ধান কাটে গেয়ে সবে হেমন্তের গান।
ধানকাটা হলে শেষ নিয়ে আসে বাড়ি,
ধানের বোঝাই নিয়ে চলে গরু-গাড়ি।

জল নিতে আসে বধূ অজয়ের ঘাটে,
নদীপারে মাঠে মাঠে চাষী ধান কাটে।
বেলা পড়ে আসে যবে সূর্য অস্ত যায়,
মাঠে ঘাটে ঝোঁপঝাড়ে আঁধার ঘনায়।

রবিবারে হাট বসে অজয়ের ঘাটে,
নদীঘাটে বেচাকেনা সারাদিন কাটে।
ক্রেতা বিক্রেতার ভিড় সারাদিন ধরে,
হাট ভাঙে যবে সবে ফিরে যায় ঘরে।

হিমের পরশ লাগে শীত লাগে গায়ে,
সাঁঝের আঁধার নামে নদীঘাটে বাঁয়ে।
দূরে কোথা বাজে বাঁশি ভরে ওঠে মন,
হেমন্তের কাব্য গাথা লিখিল লক্ষ্মণ।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

1 thought on “হেমন্তের গান গেয়ে … চাষী সব ধান কাটে হেমন্তের হিমেল কবিতা (দশম পর্ব)

  1. হেমন্তের রং লাগে মাঠে পাকা ধান,
    ধান কাটে গেয়ে সবে হেমন্তের গান। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।