পৌষমাসে পিঠেপুলি … সারাগাঁয়ে খুশির জোয়ার মকর পরবে করি সবারে আহ্বান (নবম পর্ব)

পৌষমাসে পিঠেপুলি … সারাগাঁয়ে খুশির জোয়ার
মকর পরবে করি সবারে আহ্বান (নবম পর্ব)
কলমে – কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

পৌষমাস সংক্রান্তি মহা ধুমধাম,
পিঠেপুলি উত্সবে মেতে উঠে গ্রাম।
ঘরে ঘরে পিঠে হয় খুশির বাহার,
তিল পিঠে গুড় পিঠে হরেক প্রকার।

সারাদিন আনাগোনা আমন্ত্রিত জন,
সকলেই পিঠে খায় খুশিতে মগন।
খেজুরের গন্ধ ভাসে সারা গ্রামময়,
পিঠে খাও পেটভরে সর্বজনে কয়।

সরা পিঠে বাটি পিঠে সুস্বাদু আহার,
নলেন গুড়ের গন্ধ ভাসে চারিধার।
তিল চাঁছি নারকেল দিয়ে গড়ে পিঠে,
দুধ দিয়ে সিদ্ধ হলে লাগে খুব মিঠে।

কুমারীরা সকলেই বসে আঙিনায়,
টুসু পূজা করে সবে টুসুগান গায়।
সারারাত্রি টুসুগান রাত্রি জাগরণ,
কবিতা লিখিল কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।

2

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

1 thought on “পৌষমাসে পিঠেপুলি … সারাগাঁয়ে খুশির জোয়ার মকর পরবে করি সবারে আহ্বান (নবম পর্ব)

  1. সারারাত্রি টুসুগান রাত্রি জাগরণ,
    কবিতা লিখিল কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।