হে বারী

সুবেহ ঘনাবার আর কত দেরী, হে বারী?
আমার চারদিক জুড়ে নিকষ কালো আঁধার!
আমি আঁধারের বুকে মার্তন্ড দেখি ভুলে।

হে বারী, আমার আসমান ভরা কালোমেঘ।
যতদূর যায় দু’চোখ বুকফাটা হাহাকার দেখি,
আহ! আমার গাল বেয়ে ঝরে পড়ে অশ্রুরা।
আমি অতিশয় দুর্বল না কিছু করিবার পারি।
হে বারী, আমি না কিছু করিবার পারি।

যবে দেখি বীরবল বিনাদোষে পরাভূত হয়
শিশুর নিথর কায়া মলিন স্তূপে পড়ে রয়,
যবে নিরীহ শিশু-মা-বোনেরা হয় বখাটের বলী
আমি বুক চিরে কাঁদি, হে বারী?
না কিছু করিবার পারি।

যবে আমার যুবক ভাই লড়ে হীনতার প্রতিকূলে,
নৃশংসতা দূরীকরণে তুফান গড়ে তোলে,
তব এক দরিয়া কালোমেঘ এসে পড়ে,
আমি হতাশায় ভাসি, হে বারী।
না কিছু করিবার পারি।

আর কত কালোমেঘ, বীভৎস হুঙ্কার?
আর কত দেখবো নিরীহের চিৎকার?
এভাবে আর কত বল না, হে বারী?
আর কত খোয়াবো রঙ্গিন খা’ব?
আমি এক অকৃতজ্ঞ জাতি!

তুমি তো মেহেরবান-দয়ালু, হে বারী,
এবার দাও না গো রহমতের দ্বার খুলি।
আমি হৃদয় ছোঁয়া শ্বাস নেব মনুষ্যত্ব হেরি।

আর যদি না দাও তবে কেউ নেই,
যে এনে দিবে ক্ষণিক রশ্মি এই অসভ্যতা জুড়ি।
আমি এক অকৃতজ্ঞ নাফরমান শুধু একটাই দাবী
ওগো এবার একটু রহম করোনা, হে বারী!

7 thoughts on “হে বারী

  1. আর কত কালোমেঘ, বীভৎস হুঙ্কার? আর কত দেখবো নিরীহের চিৎকার? দুঃসময়।  :(

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।