জীবনের অণু পরমাণু-৫

–সময়ের অধিকার—
এইতো গত বিষ্যুদবারে আমার শশুর শাশুড়ির কুলখানিতে গিয়েছিল আমার স্ত্রী, দুই কন্যা এবং আমার মেঝ কন্যার ছেলে আমার শাহানশাহ রিজভান রিহান। মানিকগঞ্জে নিজের নানা বাড়ি এবং মায়ের নানাবাড়িতে তার এই প্রথম যাত্রা। খুব ভয়ে ভয়েই ছিলাম একেবারে গ্রামে গিয়ে তার কেমন অবস্থা হবে। আমি পরদিন শুক্রবার সকালে যাব। আমার গিন্নী অবশ্য একা কোথাও যেতে চায় না কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনের খাতিরে মেয়ে নাতিদের নিয়ে যেতে হয়েছে। যথারীতি শুক্রবার সকালে অন্যান্য বারের মত আমি অপেক্ষায় আছি ভোরেই একটা ফোন আসবে “উঠেছ?”, আবার একটু পরে আর একটা ফোন “ নাশতা করে রেডি হয়েছ?” আবার একটু পরে আর একটা ফোন “বের হয়েছ, সাবধানে এসো, সাথে পানি আর কয়েকটা বিস্কুট নিয়ে বের হয়ো!”
কিন্তু আমি আশা করলে হবে কি, কোন ফোন এলো না। আমি সময়মত বের হলাম। বাসে উঠলাম, মানিকগঞ্জ পর্যন্ত গেলাম কিন্তু না কোন ফোন নেই!
কারণ, তিনি ব্যস্ত রয়েছেন ঐ যে আমার শাহানশাহ জনাব রিজভান রিহান সাহেবকে নিয়ে। ঝিটকা পৌঁছে ফোন দিলাম আমি ঝিটকা এসেছি, কিছু কি নিয়ে আসতে হবে? না আর কিছু লাগবে না শুধু তোমার ভাইয়ার জন্য পানি নিয়ে এসো।
বাড়ি পৌঁছে দেখি রিহান সাহেব বেশ আমোদেই আছে। বাড়ির গরু, হাস-মুরগী, অনুষ্ঠানের রান্না বান্না, অনেক লোকজনের আনাগোনাতে সে গ্রামীণ জীবনের বৈচিত্র্য খুবই উপভোগ করছে, বুঝলাম এটাই এখন সময়ের অধিকার, তাকে সময় দিতে গিয়ে আমাকে ফোন করার সময় কোথায়?

6 thoughts on “জীবনের অণু পরমাণু-৫

  1. :) আসলেই তাই।
    শাহানশাহ রিজভান রিহান সাহেব যখন আছেন ব্যস্ততা তো সেখানে থাকবেই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    1. সময়ের অধিকার বন্ধু, সময়ের অধিকার। দিতে হয় না, নেয়া যায় না। আপনা আপনিই সবার অলখে বর্তে যায়।https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।