তিনদিনের ছুটিতে সবাই গেছে বনে কিংবা আজ জোসনা রাতে সবাই গেছে বনে। ওই একই কথা, তিন দিনের ছুটি পেলে যেমন লাগে আজ জোসনা ররাতে সবাই মিলে বনে গেলেও মনে হয় এমনই লাগবে। তাই সবাই শব্দনীড় থেকে ছুটি না নিয়েই যার যার মত কক্স বাজার কিংবা গ্রামের বাড়ি কিংবা অন্তত পাশের কোন আত্মীয়ের বাড়িতে বেরাতে গেছে। যদিও আজকাল সবারই বিদেশি ঢং লেগেছে মনে, আত্মীয়ের বাড়ির চেয়ে দূরে কোথাও যাওয়াতেই যেন আনন্দ বেশী এতে প্রিভেসী নামের আড়াল থাকে আত্মীয়তার বন্ধন ছিড়ে গেলেও ক্ষতি নেই কিন্তু নিজকীয়তার ব্যাঘাত করার কোন প্রয়োজনই নেই!।
12 thoughts on “তিন দিনের ছুটি”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
আমার ছুটি নাই বন্ধু। পরিবারের মধ্যেই পারিবারিক ভাবে নিঃসঙ্গ থাকা।
অফিস থেকে শুক্রবারে ছুটি পাই কিন্তু ছুটির যেমন করে কাটাব বলে সারা সপ্তাহ জুরে ভেবে রাখি তেমন করে ছুটি কাটানো হয় না। সারাদিন কম্পিউটার নিয়ে বসে বসে একসময় দেখি ছুটী শেষ।
নাই আমাদের কনক-চাঁপার কুঞ্জ, বনবীথিকায় কীর্ণ বকুলপুঞ্জ।
হঠাৎ কখন সন্ধেবেলায়, নামহারা ফুল গন্ধ এলায়,
প্রভাতবেলায় হেলাভরে করে, অরুণ মেঘেরে তুচ্ছ
উদ্ধত যত শাখার শিখরে, রডোডেনড্রনগুচ্ছ।
নাই আমাদের সঞ্চিত ধনরত্ন, নাই রে ঘরের লালন ললিত যত্ন।
পথপাশে পাখি পুচ্ছ নাচায়, বন্ধন তারে করি না খাঁচায়,
ডানা-মেলে-দেওয়া মুক্তিপ্রিয়ের, কূজনে দুজনে তৃপ্ত।
আমরা চকিত অভাবনীয়ের, ক্কচিৎ-কিরণে দীপ্ত।
আজ আমাদের ছুটি ও ভাই আজ আমাদের ছুটি!

নাই নাই। এ আঁধার থেকে ফেরার পথ নাই।
মাশাল্লাহ! বহুত মজার নাশতা কিন্তু এর একটু আগে হইলে ভাল হইত। এইতো একটু আগেই কাজটা সেরে ফেললাম যাক কালকের জন্য তুলে রাখলাম।
এত গরম খাইলে জিবলা পুইড়া যাইব না?
আমারও ছুটি নাই, ধরাবাদা কাজ নাই। মাঝে মধ্যে দম ফুরাবার অবসর নেই, মাঝে বেশ খানিকটা অবসর। এই তিন দিনের ছুটিতেও শব্দনীড়ের সাথে আছি আগের মতো।
জনহীন, নীরব, কোলাহলমুক্ত শব্দনীড়ে আমিও বসে থাকি, কিসের আশায় জানি না কিন্তু কেও আসে না, সবাই ছুটিতে ব্যস্ত!
ছুটি নাই ছুটি নাই
ব্যস্ত কাজে কাজে,
একটু মনোরমের জন্য
আশি শব্দনীড়ের মাঝে।
হ্যা ভাই, ছুটি চাইলেই পাওয়া যায় না।