
প্রাইভেট কোম্পানির মালিক বা অ-নে-ক বেতনের ঈমানদার, দক্ষ, কর্মঠ এবং উপযুক্ত কর্মচারিরা অ-নে-ক টাকা বেতন পেয়ে ভোরে উঠে অফিসের দেয়া গাড়ি হাকিয়ে অফিসে চলে যান আবার কোম্পানির উন্নতি করে করে রাতের ১২্টা বাজিয়ে সেই কোম্পানির দেয়া গাড়ি হাকিয়ে বাড়ি ফিরেই বিছানায় আছড়ে পরেন। তারা বাড়িতে সংসারের নানা কাজ যেমন বাজার করা, ছেলেমেয়েদের স্কুলে আনা নেয়া, বিদ্যুৎ বিল দেয়া এবং সাংসারিক কাজের জন্য নানা ধরনের কাজের মানুষ কিংবা পোষ্য রাখতে পারেন।
মূল কথা হলো তার সংসারের জন্য বা ব্যাক্তিগত বা পারিবারিক জীবনের জন্য কোন ভাবনা নেই। অথচ ২০, ২৫, ৩০, বা ৪০ হাজার টাকার সহকারিদেরও তাদের সাথে ওই রাতের ১২টা পর্যন্ত আটকে রাখেন এদের কিন্তু সংসারের বাজার করা ইত্যাদির জন্য কোন লোক নেই সবই এদের নিজেকেই করতে হয়।
কোন কাজ নির্দিষ্ঠ সময়ে শুরু করা একটি প্রয়োজনীয় ব্যাপার আবার নির্ধারিত সময়ে শেষ করাও যোগ্যতার বিষয়। আমার মনে হয় যারা নির্দিষ্ঠ সময়ে কাজ শেষ করতে পারেন না, টেবিল গুছিয়ে না রেখে নানা রকম ফাইলপত্র কাগজ ইত্যাদি দিয়ে টেবিলে স্তুপ করেন তারা সবচেয়ে অযোগ্য। যদিও মালিক মনে মনে ভাবেন বাহ! আমার ধনু মিয়া কত কাজ ক–রে—রে!
মালিক অফিসে এসে কম্পিউটার খুলে দুই একটা মেইলের জবাব দিয়েই শুরু করে মোবাইলে বা সামনে বসে থাকা বন্ধুজন অথবা চাটুকারদের নিয়ে আড্ডা। সারাদিন আড্ডা সেরে বিকেল ৪ টায় শুরু করেন অফিসের কাজ। এর কারণ কি? সন্ধ্যার পর অফিসে আলো জ্বেলে অফিস করার মানে কি? আমার মনে হয় যাদের চুরি করার ধান্দা আছে তারাই কেবল রাতের অন্ধকারে অফিসে আলো জ্বেলে কাজ করে এবং কর্মচারিদের ধরে রাখে। মালিকের বা চামচা বড় বস এর বৌ-পোলাপান বাগি দিয়া আইছে কিন্তু কর্মচারিরা যে এই বৌ-সন্তানের মাঝেই শান্তি খুজে পেতে চায়, চায় জীবনের আলো! স্ত্রী সন্তান সারাদিন পথের দিকে চেয়ে থাকে কখন স্বামী বা বাবা আসবে!
কর্মচারিদের কি স্ত্রী-সন্তান নেই? তারা কেন ওদের অযোগ্যতা, খামখেয়ালী বা চুরির ভাগিদার হবে?
অফিসে রাতে বাতি জ্বালিয়ে কাজ করে কে?
১। যারা সময় মত নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করতে পারে না।
২। যার ঘরে শান্তি নেই অর্থাৎ সহজ কথায় স্ত্রীর সাথে বনিবনা নেই।
৩। যারা নিজের কাজ কি এটাই বুঝতে পারে না।
৪। যারা কাজের সময় আড্ডা দিয়ে সময় কাটিয়ে সময় নষ্ট করে।
এইসব উচ্চপদস্থ কর্মচারি বা মালিকদের ব্যাপারে আপনার কি মনে হয়?
এইসব উচ্চপদস্থ কর্মচারি বা মালিকদের সাইজ করা যেতে পারে।
কেমন করিয়া সাইজ করিবেন উপায় বাতলাইয়া দেন জনাব!
মাইরের উপর ঔষধ নাই।
প্ররথিবীর সেরা ঔষধ হইল মাইর, ইহা চরম সত্য!
দিলখুশ মিঞা ভাই কই? তানি না আইলে ত জমতিছে না।
দিলখুশমিয়া ভাই সিনেমা দিখিতে গিয়াছে শো শেষ হইলেই আসিবে। অপেক্ষা করুন।
দিন রাইত চব্বিশ ঘন্টা কাজ করলে বাসা ভাড়া বেঁচে যাবে। চিন্তা করুন কত লাভ। প্রমোশন পাওয়ার চেয়েও বেশি লাভজনক বাসাভাড়া বাঁচানো।
বাসা ভাড়ার চাইতে বাসা বদলের হাঙ্গামা অধিক জনাব। তবে সত পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।