বিড়ালের সাথে বন্ধুত্ব আমাদের অনেক দিনের ৮১ সাল থেকে।
অনেক আগে সেতু বন্ধনকে বলেছিলাম সে কথা শোনাব একদিন….
আমরা তখন মনিপুরি পাড়ায় ছিলাম আমার মেয়ের বয়স ৬ বছর। বাড়িতে কেউ বিড়াল পছন্দ করেনা কিন্তু মেয়ের এত শখ হয়েছে যে বিড়াল আনবেই। আমাদের পাশের বাসার খান সাহেবদের বাসা থেকে একদিন একটা বাচ্চা নিয়ে আসে।
বাড়িতে তো এর জায়গা হবেইনা….রাগা রাগি চিল্লা চিল্লি… তার পরেও প্রায় ৩০ বছর ওর বংশধর এই বাড়িতেই পার করে গেল সে কথাই বলব……… প্রথমে যেখানে ছিলাম নতুন বাড়ি আমরাই প্রথম বাসিন্দা। সেখানে বাইরের থেকে আনা কতগুলি কার্টুন ছিল। সেখানে কিভাবে যেন ছোট ইদুর আসল।
বিড়ালের বাচ্চাও ছোট কিভাবে যেন একটা ইদুর ধরে কর্তার সামনেই পেশ করে…
কর্তা একটু খুশি কিন্তু মেয়ের উপর রাগ যায়না।
কার্টুন নেড়ে কেউ ইদুর ধংস করতে না পারায় ওর থাকার মেয়াদ বাড়তে থাকে।
এর মধ্যে আমরা ঐ বাড়ি ছেড়ে পরিবাগে সিফট করতেছি। জিনিস পত্র সব ট্রাকে উঠে গেছে এখন আমরা গাড়িতে উঠব, কেউ কিন্তু ওর কথা একবারও ভাবেনি, মেয়েওনা। একে একে সবাই উঠলো, বিড়াল কি ভাবল নিজেই গাড়িতে উঠে বসল, এমন শক্ত ভাবে বসল জোর করেও নড়ানো গোলনা। ফেলে যাবে ভাবলো তারপর ওর মুখের দিকে চেয়ে আর ফেলা হলোনা। …
এর পর একদিন ওর বাচ্চা হয় বাচ্চা মুখে করে নিয়ে এসে কর্তার পায়ের কাছে এনে রাখে
একে একে সবগুলি (৩টা) …
কর্তা খুশি, নিমকের মান রাখছে। বাড়ল থাকার মেয়াদও……..
এরপর আমরা নিজের বাড়িতে সিফট করি।
সেখানে আনেক মাটি ভরাট করতে হয়, ইদুরের মাটি নিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে ওর বংশধর সহ যায়গা পায় সেখানে আজতক। শেষে বিড়াল পরিবার এর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯ এ।
এর মধ্যে হুলোরা বাচ্চা মারতো বিধায় কর্তা কয়েকটাকে এয়ার গানের নিশানা করেছে।
এর পর শুরু হয় আর এক অধ্যায় সে কথা পরে বলবো………..
অনন্য স্বাদের এই লিখাটি অসাধারণ বলবো।
ওদের মন আছে…

বাকিটাও শোনাবার বাসনা রইল…
এই ধরনের লিখা পাইলে ব্লগে ঢুকা সার্থক হয়। সারাদিন কবিতা কবিতা কবিতা। একদিনে মানুষ কয়টা কবিতা পড়তে পারে? কবিতার ক্লান্তি দূর করতে এসব লিখা মহৌষদ। অজস্র ধন্যবাদ জানাই সুন্দর লিখাটির জন্য।
ভাল লাগল মন্তব্যে।
মানসিক ক্লান্তি যে হারে গ্রাস করছে স্নায়ুর শক্তি
আগামীতে এর ভয়াবহতা বাড়বে বই কমবে না
তাই সজাগ হওয়াই উচিত।
আপনার পোষা প্রাণীটি আপনার মতোই কোনো কিছু ভাবছে কি? আসলে বিড়াল-কুকুরের মতো ইতর প্রাণীর চিন্তাভাবনা নিয়ে কেউ মাথা ঘামানোর দরকার মনে করেন না। কিন্তু জাপানের একটি কোম্পানি এমন এক ডিভাসই বা যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে, যা আপনাকে আপনার পোষা প্রাণী ঠিক কী ভাবছে, সে সম্পর্কে কিছু ধারণা দিতে পারে। কুকুর বা বিড়ালের গলায় বেঁধে দেওয়া ওই যন্ত্র প্রাণীদের ৪০টির বেশি আবেগ বা উত্তেজনা বিশ্লেষণ করে আপনাকে তাদের ভাবনা জানিয়ে দিতে পারে। ডিভাইসটির নির্মাতা আনিকেল বলেছেন, ছোট্ট এ যন্ত্র আপনাকে বলে দেবে, আপনার বিড়াল বা কুকুরটা কখন কী করতে চাইছে। ওর খেলার ইচ্ছা, দৌড়ানোর ঝোঁক কিংবা কোন ব্যাপারে অসন্তুষ্টি_ ঠিক ঠিক জানতে পারবেন আপনি ওই যন্ত্রের মাধ্যমে। কোম্পানির ডেভেলপমেন্ট ইউনিটের একজন পরিচালক তাকুইয়া ফুমা বলেন, ‘জাপানে আমরা মানব শিশুর চেয়ে একটি বিড়ালের বাচ্চাকে কম ভালোবাসি না। কোনো পরিবারে শিশুদের চেয়েও পোষা প্রাণীর সংখ্যাই বেশি। তাদের জন্যই আমরা এ যন্ত্র উদ্ভাবন করেছি।
… সমকাল।,১৫ জানুয়ারী ২০১৬
আপনার উপস্থাপনা ভাল লেগেছে।
দারুন খবর
এর আগে এদের জামা জুতার মল আছে শুনেছি
তবে ওরা যে অনেক কিছু বোঝে তা বুঝতে
যেমন একটি দুই বছরের মানুষের বাচ্চা দুই বছরের বিড়ালের সাথে তুলনা করলে বুঝা যাবে মনুষের বাচ্চা নিজের খাওয়া খেতে পারেনা ঐ বিড়াল নিজের বাচ্চার জন্য পাখি শিকার করে খাওয়ার ব্যবস্হা করে সেখানে বিড়াল বাবা অনুপুস্হিত। তার কি চিন্তা বুদ্ধি ছাড়া সম্ভব ।মানুষ মার পক্ষেও অসম্ভব বাবা ছাড়া….
আমার নিজের দেখা বাচ্চা কাঁদতেছে সাথে মাও কি করবে ভেবে পায় না
চমৎকার গল্প। অপূর্ব ভালোবাসা। আমি দেখেছি অনেক মানুষের মাঝেই ভালোবাসা টেকসই হয় না।
সালাম,
সত্যি ভাটা পড়ে ভালবাসায়
ওরা মাখলুকের একজন
আর মানুষকে প্রধান্য দেওয়া হয়েছে
তাই ভালবাসা পাওয়ার হকদার ওরাও….