হুসেইন জালালী নিজেও জানতেননা, কেন তিনি এঘর-ওঘর পায়াচারি করছিলেন! একটু পর তার মনে হল, গত দুই দুইটা শুক্রবার মুরগীর ফেরিওয়ালা আসেনি এবং অবিশ্বাস্য হলেও সেটাই সম্ভাব্য কারণ। এই ফেরিওয়ালা নিয়ম করে প্রতি শুক্রবার সাড়ে ৮ টা থেকে সাড়ে ৯ টার মধ্যে আসে। দুজনে ফেরি করে; নানার সাথে নাতি। নানা হাঁকছাড়ে, “মুর—গী–ইই—-“। নানা যখন “মুর-গী-ইই”র “ইই”তে আসে তখন তার নাতি সেটা ক্রিকেট খেলায় বল ক্যাচের মতো করে ধরে ফেলে এবং চিকন কণ্ঠে সুর তুলে, “এই-ই মুর-গী– ইই…”।
এটা সত্য যে, হুসেইন জালালী নিজেও বুঝে ওঠতে পারছেননা ওদের জন্য আজ তাঁর অস্থির লাগছে কেন! এইতো তিন চার মাস আগেও ওদের হাঁক শুনে যখন শুক্রবারের সকালের ঘুম ভেঙ্গে যেত তাঁর ইচ্ছে হতো পুলিশে খবর দিতে। তারপর এক শুক্রবার বারান্দায় গিয়ে ওদেরকে দেখে জালালীর ভিতর এক ধরনের অদ্ভূত অনুভুতি হয়। দোতলা থেকে সে নিচে নেমে গিয়ে ওদের সাথে রীতিমত গপসপ শুরু করে দেয়। প্রয়োজন ছিলনা তবুও সেদিন সে এক হালি মুরগি কিনে। সেই থেকে গত তিন চার মাস হল প্রতি শুক্রবারেই এটা হচ্ছে; গপসপ এবং মুরগী কেনা। আজব কিসিমের লোক এই জালালী। অতি মেধাবিদের কেউ কেউ নাকি এমন হয়!
ইতোমধ্যে হুসেইন জালালীর সাথে ওদের বেশ সম্পর্ক হয়ে গেছে। অনেক কিছুই শেয়ার করা হয়েছে। লোকটার নাম সুরুজ আলী। বাসা বেশি দূরে নয়। সে মূলত একজন স্যানিটারি মিস্ত্রী। টুকটাক ইলেক্ট্রিক যন্ত্রপাতি মেরামতও জানে। এসবের বাইরে বাড়তি রোজগারের জন্য এটা সেটা করে। প্রতি শুক্রবারে মুরগী ফেরি এর মধ্যে একটা।
হুসেইন জালালী ভাবলো, “বেশি দূরে তো নয়; ওদের খোঁজ নিয়ে আসি”। যেই ভাবা সেই কাজ। একটু বাড়াবাড়ি মনে হলেও সে সুরুজ আলীর খোঁজ নিতে বের হয়ে গেলো। বের হবার আগে দরজার কাছে একটু থেমে গালে হাত দিয়ে ভাবলো, “শেইভ করে যাই”। পরে কোনকিছু না করেই যে অবস্থায় ছিল সেভাবেই বের হল।
সুরুজ আলীর বাসা খুঁজে পেতে তেমন বেগ পেতে হলোনা। আসলে সুরুজের অন্যরকম জীবন যাপন সম্ভবত অনেকের চোখে পড়ে। দরজায় কড়া নাড়তেই কমবেশি চল্লিশ বছরের এক মহিলা কপাট খুলে দাঁড়ালো।
-এটা তো সুরুজ আলীর বাসা, তাইনা?
-জী। আপনি?
-আমি হুসেইন জালালী; উনার বন্ধু! সুরুজ বাসায় আছেন?
জালালীর নাম শুনে মহিলাটার চোখ মুখ লাল হয়ে গেলো। “মনোমা, ও-ও- মনোমা, জলদি এসো” বলে সে চিৎকার করে তার মাকে ডাকলো। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ষাটোর্ধ এক মহিলা এলেন। পরনে পরিপাটি নীলরঙা সুতি শাড়ি, খোঁপায় সাদা ফুলের মালা এবং কপালে বড় লাল টিপ। সালাম দিয়ে জালালী নিজের নাম বলতেই মহিলা খুব বিনয়ের সাথে ভিতরে প্রবেশের জন্য অনুরোধ করলো। জালালীকে বসতে দিয়ে সে তাঁর স্বামীকে মোবাইলে কল দিলো।
-এই চানের বাপ, অধ্যাপক জালালী এসেছেন। তোমার ফিরতে আর কতোক্ষণ?
জালালী সহজেই বুঝতে পারলেন তাকে নিয়ে ওদের মধ্যে কথা হয়। নইলে সুরুজের স্ত্রী তাঁর নামের আগে “অধ্যাপক” কথাটা যোগ করতোনা।
-উনাকে বসতে অনুরোধ কর। আমি বাসার কাছে চলে এসেছি।
সুরুজ ওর স্ত্রীকে জবাব দিল।
কয়েক মিনিটের মধ্যে চল্লিশ বছরের মেয়েটা এক গ্লাস সরবত নিয়ে এসে জালালীর পাশে বসলো। সরবতের গ্লাস উনার হাতে দিয়ে সে নিজের পরিচয় দিল।
-আমি জেবুন্নাহার চান। বাবা মা আমাকে চান নামেই ডাকে। বাবার সাথে যে বালকটা শুক্রবার দিন আপনাদের ওদিকে যায় সে আমার ছেলে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। ওর বাবা নেই। আমি একটা কিন্ডারগার্টেনে পড়াই এবং টিউশনি করি। বাবা আপনার কথা খুব বলেন। শুনেছি আপনি দেশি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান।
এরপর এক বাটি কুলি পিঠা নিয়ে চানের মা এলেন।
-সুরুজ শীতের পিঠা বেচতে সংসদ ভবন এলাকায় গিয়েছিল। এখন ফিরছে; আর কয়েক মিনিট লাগবে
-সমস্যা নেই; আসুক। বলে জালালী পিঠা খেতে শুরু করলেন।
পিঠা খাচ্ছিলেন আর ভিন্ন এক দৃষ্টি নিয়ে সুরুজের বউকে জালালী খেয়াল করছিলেন। আফ্রিকার কিছু নৃগোষ্ঠী নিয়ে জালালীর কয়েকটি রিসার্চ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তাকে এথনোগ্রাফি স্টাডির পাইয়োনিয়ার বলেন অনেকেই। চানের মার চলন, বলন, হাসি, অন্যান্য এক্সপ্রেশন এবং সামগ্রিক ব্যাক্তিত্ব জালালীর কাছে ভীষণ ভিন্ন এবং উচ্চমার্জিত মনে হয়েছে। এসব খেয়াল করার সাথে আফ্রিকার নৃগোষ্ঠীর মানুষদেরকে জালালীর পর্যবেক্ষণের মধ্যে উদ্দেশ্যগত একটা মিল আছে।
পিঠা খাওয়া শেষ না হতেই সুরুজ আলী ঘরে প্রবেশ করলো। এমন বিশাল মানুষ তার বাসায় আসবেন সুরুজ আলী ভাবতেই পারেনি। টুকটাক কিছু কথা বলে সে ওয়াশরুমে ঢুকলো। বের হয়ে এসে গামছায় হাত মুখ মুছতে মুছতে সে জালালীর কাছে এলো।
-দুপুরের খাবারের দাওয়াত দিলে গ্রহণ করবেন? সুরুজ জানতে চাইলো
-খুব গ্রহণ করব।
মিষ্টি হেসে হুসেইন জালালী জবাব দিলেন।
সুরুজের গোটা পরিবারকে একটু গভীরভাবে দেখার অদ্ভূত উদ্দেশ্য জালালীর মধ্যে এখন নতুন করে ঢুকেছে। তাই সানন্দে দুপুরের খাবারের দাওয়াত সে গ্রহণ করলো।
বেশ পেছনের কিছু কথা। চানের মা এবং সুরুজ একই স্কুলে পড়তো। সুরুজ নিচের ক্লাসে। ঠিক প্রেম নয় কিন্তু খুব ভালোলাগা কাজ করতো দুজনের মধ্যে। মেট্রিক পাশ করার পরপরই মেয়েটার (চানের মা) বিয়ে হয়ে যায়। এতে সুরুজ খুব ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলতে পারেনি। সামাজিকভাবে সেটা তখন গ্রহণযোগ্যও ছিলনা। যাহোক, বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় তার জমজ মেয়ে বাচ্চা হয়। এতে তার শ্বশুর, শাশুড়ি এমনকি স্বামীও অসন্তুষ্ট হয়। ওরা বাঁচেনি। এরপর যখন জেবুন্নাহার জন্ম নেয়, ওরা খুবই নাখোশ হয়। এর ছয় মাসের মাথায় তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে। তাদের ছেলে সন্তান চাইই চাই। সতীনের ঘর করতে চানের মা সব কিছুই সয়ে যাচ্ছিল।কিন্তু একটা পর্যায়ে যখন আর পেরে ওঠা সম্ভব হচ্ছিলনা তখন ডিভোর্স নিয়ে সে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। ততোদিনে সুরুজ আইএ পাশ করে স্যানেটারী মিস্ত্রী হিসেবে বেশ ভালো রোজগার করছিল। চানের মায়ের সাথে সুরুজ মাঝে মধ্যে দেখা করতো। বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। চানের মা রাজি হয়না। সে ভাবে জীবিত-মৃত মিলিয়ে তিন সন্তানের মায়ের প্রতি এটা সুরুজের আবেগ; প্রেম নয়। তার বদ্ধ ধারণা ছিল, সুরুজের এই ভালোলাগা বেশিদিন থাকবেনা।
যাহোক, এক পর্যায়ে ওদের বিয়ে হয়। সেই থেকে আজ প্রায় তেত্রিশ বছর পার হয়ে গেছে। ওদের টিনশেড বাড়িতে এখন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অধ্যাপক হুসেইন জালালী!
ইতোমধ্যে দুপুরের খাবার প্রস্তুত হয়ে গেছে। ভাতের সাথে ডাল ভর্তা এবং ডিম ভাজি। তার আগে জমিয়ে আড্ডা হয়েছে। এতে চান বেশ স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। কথায় কথায় তাদের মধ্যে অনেক কথা হয়েছে। বাবা মার অনুপস্থিতিতে এক ফাঁকে চান একান্ত কিছু কথা অধ্যাপক হুসেইন জালালীর সাথে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারেনাই।
-উনি আমার জন্মদাতা পিতা নন সেটা কী আপনি জানেন স্যার?
-হ্যাঁ, অধ্যাপক জালালী মৃদু স্বরে জবাব দেন
-উনার, উনাদের একান্ত কিছু কথা আমার লিখতে খুব ইচ্ছে করে। কিন্তু আমার লেখার হাত ভালো নয়। কথাগুলি আপনাকে বলি?
-খুব বেশি একান্ত না হলে বল
-বিরক্ত করবোনা। খুব সংক্ষেপে কিছু কথা বলছি স্যার। বাবা প্রতিদিন সকালে মাকে বিছানা থেকে পিঠে করে নিয়ে ওয়াশ রুমে যায়। ব্যাকরাইড আর কি। সেখানে মাকে গোসল করিয়ে গা মুছে দেয়। তারপর মা যখন নীল সুতির শাড়ি পরে তখন বাবা শাড়ির ভাজ ধরে থাকে। চুল শুকিয়ে গেলে সে নিজ হাতে মার খোঁপায় সাদা ফুলের মালা এবং কপালে বড় একটা লাল টিপ পরিয়ে দেয়। মাকে এখন যেভাবে আপনি দেখছেন আসলে এভাবে না রেখে বাবা কোনদিনই বাইরে কাজে যায় না। গত তেত্রিশ বছর যায়নি। সন্ধ্যা হলে আমার মায়ের পা দুটো কোলে নিয়ে বাবা যখন আলতা পরিয়ে দেয় তখন আমার এই বাষোট্টি বছরের মায়ের চোখ ভিজে যায়। তেত্রিশ বছর ধরেই তার চোখে এই জলের নিত্য আসা যাওয়া; একদিনের জন্যও সেই জলের ভাটা হয়না।
কথাগুলি বলে চান ওর চোখ মুছে। অধ্যাপক জালালী কনফিউজড হয়ে যান, বাস্তবে কী এমন রোমান্টিক মানুষ আছে?! কিন্তু চানের কথা এবং এক্সপ্রেশনে জালালী অতিরঞ্জিত কিছু খুঁজে পাননা। তিনি বিশ্বাস করেন এবং মুগ্ধতা নিয়ে চানের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন।
ইতোমধ্যে সুরুজ আড্ডায় যোগ দিয়েছে।
-পর পর দুই শুক্রবার দেখিনাই তাই আপনার খোঁজ নিতে এসেছিলাম। এসে ভালোই হয়েছে। স্বর্গের বাড়ি যে আসলে টিনশেড দুইকক্ষের সেটা নিজ চোখে দেখে গেলাম। অধ্যাপক জালালী মন্তব্য করলেন!
প্রতি জবাবে সুরুজ কিছু বললোনা। কিন্তু অমন বিশাল ব্যাক্তির স্বীকৃতি পেয়ে ভিতরে ভিতরে সে খুব আনন্দিত হল।
-স্যার, মনলতা পড়েছেন? কবিতা, গল্প সব মিলিয়ে এপর্যন্ত শতাধিক লেখা প্রকাশিত হয়েছে যেসবের কেন্দ্রে মনলতা চরিত্র।
চান অধ্যাপক হুসেইন জালালীকে প্রশ্ন করলো।
-কয়েকটা পড়েছি। জালালী জবাব দিলেন।
-ছদ্মনামের ঐ লেখক আমার এই ফেরিওয়ালা বাবা। ওসবই আমার মনোমাকে নিয়ে লেখা।
কথাটা বলেই সুরুজের বুকে মাথা রেখে স্টেপ ডটার চান চোখ বন্ধ করলো।
“আজ আসি” বলে হুসেইন জালালী দ্রুত বের হয়ে গেলেন; ফেরিওয়ালার পরিবারের জন্য তাঁর চোখের রংধনু-জল পাছে কোন ঈশ্বর দেখে ফেলেন!
বাহ দারুণ লাগলো। নিটোল গল্প। খুব মুগ্ধ হলাম। সুখী হতে হলে যে বিরাট অর্থবিত্তের দরকার এ ধারণাকে তীব্র বিদ্রুপ করছে আপনার গল্পটি। ভাবতে ভালো লাগে এরকম কোনও পরিবারের সঙ্গে লেখকের সত্যি পরিচয় আছে, কেবলই মনগড়া গল্প না।
শুভেচ্ছা।
দারুণ মন্তব্য; একেবারে আমার মনের কথা।
কমপ্লিমেন্টে ভীষণ খুশি হয়েছি। অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা !
স্বর্গ আসলে দুই কক্ষের একটা টিনশেড বাড়ি।
পড়লাম। লিখাটিতে প্রিয় এক গল্পকারের গল্প ভেবে বারবার ভুল হতে যাচ্ছিলো। সামলে নিয়েছি। এক কথাতেই শেষ করি … গল্পে অসাধারণ আপনার চরিত্র বিন্যাস।
“লিখাটিতে প্রিয় এক গল্পকারের গল্প ভেবে বারবার ভুল হতে যাচ্ছিলো” 😀
এটা আমার লেখার দারুণ একটা স্বীকৃতি প্রিয় মুরুব্বী।
জোছনারাত; প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। পাশে পাহাড় ক্ষয়ে ক্ষয়ে স্বর্ণের ঝাঁক জল বেয়ে ভাটিতে যাচ্ছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরুর সবাই সেখানে স্বর্ণ ধরছে! কেবল দুজন মানুষ সেই প্রবল বর্ষণে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। তাঁদের দুজনের হাতে একটা চায়ের কাপ; দুজনেরই ঠোঁটের কাছাকাছি। চায়ের ধোঁয়ার মধ্যে বৃষ্টির ফোঁটা মিশে যাওয়াকে ওরা জীবন মনে করে। আমি দেব/দেবির ক্ষমতা পেলে সবার জীবনকেই এমন করে দিতাম অথবা আমার গল্পটার মত !
মন্তব্যের দারুণ উত্তর করেছেন মি. মিড ডে ডেজারট।
আপনার মন্তব্যের গভীরতা ব্যপক এবং আমার লেখাটার জন্য বড় প্রাপ্তি। অসংখ্য মানবিক বিপর্যয় প্রত্যক্ষ করেছি; জীবনের কঠিন বাস্তবতা শেষে জীবনের অর্থ খোঁজার চেষ্টা করেছি। সেগুলিই কল্পনা দিয়ে গল্প,কবিতায় জমা রাখি।
আশা করবো আপনার সাথে আমার আলাপ হবে।
এফবিতে আমি আছি : Azad Kashmir Zaman
যারপরনাই মুগ্ধ হলাম লিখাটি পড়ে। লিখায় চরিত্রের প্রকাশ আর রূপায়নে যে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তাতে মুগ্ধ না হয়ে কি পারা যায় !! অভিনন্দন ডেজারট ভাই। বাহ্।
কী যে দারুণ মন্তব্য! মন ভরে গেল। খুশি না হয়ে পারা যায়না।
অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা কবি!
আজব কিসিমের লোক এই জালালী। অতি মেধাবিদের কেউ কেউ নাকি এমন হয়!
জালালী চরিত্রটি এমন যত্নে গড়ে তুলেছেন যে বলার ভাষা নেই। কিছু কিছু জায়গায় এতোটাই আবেগ প্রকাশ পেয়েছে যেন চোখে জল এনে দেয়ার মতো। হুমায়ূন আহমেদের কিছু লেখা এমন পড়েছি। স্বল্পতেই মন ভরে যায়। দ্বিতীয়তে আপনাকে পেলাম।
দারুণ বিশ্লেষণ দিদি। মুগ্ধ!
"কিছু কিছু জায়গায় এতোটাই আবেগ প্রকাশ পেয়েছে যেন চোখে জল এনে দেয়ার মতো"। —এটা আমার জন্য খুব বড় কমপ্লিমেন্ট !
অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা দিদি!
মধ্যাহ্নের মরুতে জল সিঞ্চনের মতোই কলকল ধ্বনিতে বাজলো গল্পের মূল চরিত্রগুলোর অসামান্য তীক্ষ্ণ দর্শন ।
ভালবাসা মুখরিত জীবনের লোভ জালালীর মতো অসংখ্য মানুষের রয়েছে। সুরুজের মতো করে ক'জন পারে একজন মানবিকবোধ সম্পন্ন অধ্যাপকের মর্মমূলকে কাঁপিয়ে দিতে। সুরুজের বউকে হিংসে হবেনা এমন নারী খুঁজে পাওয়া ভার। স্বর্গের বাড়িটার লোভ হয়.. .. আহা!!!!
"সুরুজের মতো করে ক'জন পারে একজন মানবিকবোধ সম্পন্ন অধ্যাপকের মর্মমূলকে কাঁপিয়ে দিতে"।
দারুণ পর্যবেক্ষণ! কমেন্টগুলি ভীষণ দামি! কে জানে, হয়তো দুই কক্ষের একটা টিন শেড বাড়ি কেনা যেতে পারে কমেন্টের দাম দিয়ে।
স্বর্গ আসলে দুই কক্ষের একটা টিনশেড বাড়ি।
* আপনার সাবলীল উপস্থাপনা, পাঠককে গল্পের ভেতর অনুপ্রবেশে বাধ্য করা কম যোগ্যতার ব্যাপার নয়! আপনার মাঝে সে গুণ বিদ্যমান।





ভালো লিখেছেন । স্বর্গ তো আসলে ভালোবাসার ভেতরেই থাকে । মানুষ টাকার অভাবে মরে না, ভালোবাসার অভাবেও মরে ।
"এমন বিশাল মানুষ তার বাসায় আসবেন সুরুজ আলী ভাবতেই পারেনি।"
বিশাল মানুষ না বলে বড় মাপের মানুষ এভাবে বললে বোধ করি ঠিক হয় ।
ভালো থাকবেন । শুভকামনা রইলো ।