মিমসিটি এক্সপ্রেস

তখন আমরা ঘুমের তালিম নিচ্ছিলাম কোনো এক জলসাঘরে সম্ভবত
চাঁদনিহাট থেকে আসা সেই ঘর আমাদের ঘুমের আয়োজন করতে গিয়ে
নিজেই ঘুমিয়ে পড়েছিল বিব্রতকর নাকডাকা ভঙ্গিতে। এ উন্মাদ ঘরকে
ঘুমের ভেতর গচ্ছা দিয়ে আমরা রাজশাহীগামী ট্রেন ধরলাম। পথমধ্যে
আমাদের রুখে দাঁড়ালো একজন সিল্কি ঘুম, যার হাসিতে ফুটে পড়ছিল
চন্দনের ঘ্রাণ আর একটা মিম-মিম সৌন্দর্য!
.
দলের কনিষ্ঠ হিসেবে আমার উপর ভার ছিল সফরটা নির্বিঘ্ন করা। উদ্ভূত
পরিস্থিতিতে আমি যা করলাম, প্রথমেই ট্রেনটির নাম পরিবর্তন করে রাখলাম
মিমসিটি-এক্সপ্রেস।
অতঃপর সকলকে আশ্বস্ত করলাম এই বলে যে, পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়লেও আমরা ঠিক
গন্তব্যে পৌঁছে যাবো!
.
সবশেষে ট্রেনটির অট্টহাসির সাথে আমরাও ফেটে পড়লাম পৃথিবীর নানা প্রান্তে যেন
প্রত্যেকেই এক-একটা মিমসিটি এক্সপ্রেস!

2 thoughts on “মিমসিটি এক্সপ্রেস

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।