-হে লো….
-হ্যা, বলছি বলো কি হয়েছে?
-কালতো পয়েলা বৈশাখ ছেলে মেয়েরা বায়না ধরে এ বছর বৈশাখে ওদের ইলিশ মাছ লাগবেই।
-তা আমি কি করব?
-তুমি কি করবে মানে! অফিস ফেরার পথে বাজার থেকে দুটো বড় সাইজের ইলিশঁ নিয়ে আসবে। রাত পোহালে সকালেই তো বৈশাখের প্রথম দিন। আমি ওদের বৈশাখী জামা কাপড়ের ব্যাবস্থা করেছি তুমি ইলিশ মাছটা আনতে পারবা না?
শুনেছি ইলিশের দাম আকাশ ছোয়াঁ… এতো টাকাতো আমার কাছে হবে না।
আমি জানি না তা কি ভাবে আনবে মেনেজ করবে….ফোন রাখলাম।
বলেই শরীফ সাহেবের স্ত্রী ফোনটা কট করে কেটে দিলেন। বেচারা শরীফ সাহেবকে আর কোন কথা বলার সুযোগই দিলেন না। শরীফ তার অফিসের চেয়ারে বসেই মোবাইলটা হাতের দুআঙ্গুলে ঘুরাতে ঘুরাতে চিন্তা করছেন কি করবেন হঠাৎ প্যান্টের পকেটে হাত দিলেন। হাতের দু আঙ্গুলে পকেট থেকে বের হলো মাত্র পাচ’শ টাকার একটি নোট। টাকাই বা থাকবে কৈ থেকে। সৎ কামাইয়ে কত বা জমানো যায়। তাছাড়া এইতো কয়দিন আগে মায়ের অসুস্থতায় ব্যাংকে জমানো সব টাকাই চিকিৎসা খরচে শেষ। তাই সে এ মুহুর্তে খুব চিন্তিত। ইলিশ মাছ কিনতে কম করে হলেও দুটো মাছের দাম লাগবে দেড় দু’হাজার টাকা। এতো টাকা এই মুহুর্তে সে কোথায় পাবেন! তাছাড়া মেয়ের জন্য ফুলের মালাও কিনতে হবে। খুব দুঃচিন্তায় মন ভারি করে বসে আছেন। ঠিক সে সময় এক কাষ্টমার মানে এক কন্টেকদার এলেন তার ফাইলের খোঁজে।
-আসসালামুআলাইকুম স্যার, কেমন আছেন?
-জি আলহামদুলিল্লাহ ভাল, বসেন।
-তা স্যার, আমার ফাইলটার কি কাজ হয়েছে?
-কি নাম যেন?
-জি সোহান ট্রেডার্স।
ডেলিভারী রেজিষ্টারীটা দেখলেন অতপর বললেন।
-জি আপনার ফাইলতো দুদিন আগেই সামাদ সাহেবের টেবিলে দিয়ে দিয়েছি, আপনি নেননি?
-ও তাই! একটু ফোন দিলেই পারতেন ফোন নাম্বার তো দিয়েই গিয়েছিলাম।
-কেনো?
-না মানে,,,,যাকগে ফাইল যখন ওখানে দিয়ে দিয়েছেন তখন সামাদ সাহেবের টেবিলেই যাই, কি বলেন স্যার।
-হ্যা হ্যা অবশ্যই,
কন্টেকদার সামাদ সাহেবের টেবিলের দিকে যাচ্ছেন আর ভাবছেন এতো ভাল লোক অনেক বছর পর দেখলাম। সে যদি ফাইলটি ছাড়তে দশ হাজার টাকাও চাইত, তাই দিতাম যা এর আগের অফিসারকে দিয়েছিলাম। এখন দেখা যাক সামাদ সাব কি বলেন। সামাদ সাহেবের টেবিলটি তার তিনটি টেবিলের পর। শরীফ সাহেবের চোখ সে দিকে। সামাদ সাহেব আগত ফাইল গ্রহনের লোকটির সাথে চোখের ইশারায় আর টেবিলের তলায় লেনদেনের কাজটি সারলেন।
শরীফ সাহেব অফিসের কাজ মনের ক্ষোভে রেখে দিয়ে অফিস হতে বের হয়ে সোজা চলে এলেন শাহবাগে কিছু ফুলের মালা কিনতে। একটি মাত্র মেয়ে তার অফিসে আসার সময় বলে দিয়েছেন অফিস ফেরার পথে যেন তার জন্য যে কোন ফুলের মালা নিয়ে আসেন। তাই আগে মেয়ের কথা রাখতে শাহাবাগে। ফুলের দোকানে গিয়ে দুটো ফুলের মালা তিনশ টাকা দিয়ে কিনে চলে এলেন সোজা মাছ বাজারে ইলিশ দেখতে। কেননা পকেটে যে দুশত টাকা ব্যালেন্স আছে তা দিয়ে নিশ্চিৎ সে ইলিশের পোনাও কিনতে পারবেন না। কিন্তু শাহবাগে এতো ভীড় যে যাতায়াতের কোন বাহন দেখছেন না। শাহবাগে ভীড়টি ছিলো সরকারী চাকুরী ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের। এমন সব আন্দোলনে এক সময় ভার্সিটিতে শরীফ সাহেবের ভুমিকা ছিলো সম্মুখ কাতারে। এখন আর তার এ সবে মন যায় না তাছাড়া আগের ছাত্র আন্দোলন আর এখনকার ছাত্র আন্দোলনে অনেক তফাৎ। এখন এর ভিতরে সহজেই এ দেশের নোংরা রাজনীতির নোংরামি চলে আসে তাই সে একটু হেটে বাসে চড়ে চলে এলেন মাছ বাজারে।
আজকে মাছ বাজারে অনেক ভীর। বৈশাখ বলে কথা,বছরের একটা দিন ভোরে পান্তা ভাতের সাথে ইলিশ না হলে যে বাঙ্গালিয়ানা আর থাকে না। এমন সব আক্কেলহীন চিন্তা ধারার মানুষগুলোর ভীড়ই মাছ বাজারে বেশী। তাছাড়া কে কত বেশী দামের ইলিশ কিনছেন এমন উম্মাদ ধারনার লোক তো আছেই। এই সুযোগটাই কাজে লাগান মাইছ্ছারা। হুর হুর করে মাছের দাম বাড়িয়ে দেন। শরীফ সাহেব ফুলের ব্যাগটি হাতে নিয়ে মাছ বাজারে ঘুরে ঘুরে দেখছেন। এক দোকানে ইলিশগুলো দেখে একটু দাঁড়ালেন। যেমন সাইজ তেমনি তার রূপালী রং যেনো পদ্মার ইলিশ। দোকানের সামনে অনেক ভীড়ের মাঝে কিছু ক্ষণ দাঁড়াতে মাছ বিক্রেতা জিজ্ঞাসা করছেন।
-স্যার কি ইলিশ কিনবেন?
-হ্যা, দেখি পছন্দ হয় কি না।
বলেই একটি তর তাজা মোটা সোটা বড় সাইজের ইলিশের পেটে আঙ্গুলে আলতু চাপ দিতেই ইলিশ মাছটি লাফিয়ে বলতে থাকে।
-ও স্যার কেনো খামাখা আমারে গোতান আমি জানি আপনের পকেটে হেই টাকা নেই যা দিয়ে আমারে কিনতে পারবেন,,,।
শরীফ সাহেব এবার ইলিশের কানশাটা ফাক করতেই ইলিশ চেচিয়ে উঠল।
-করেন কি স্যার করেন কি, আস্তে আস্তে আমিতো অপছন্দনীয় হয়ে যাবো…তাছাড়া আপনিতো কিনতে আহেন নাই দেখতে আইছেন।
এবার মাছ বিক্রেতা মাছটারে হাতের কব্জায় উলোট পালোট করে বলে উঠলেন ।
-কি টিপেন স্যার! এই রকম তর তাজা আর পাইবেন কৈ? কি দিমুনি….
-কত?
-এক দাম বার শ টাকা।
-কন কি এতো দাম কেন?
-একটু পরে এই দামে এইডাও পাইবেন না।কি চলবে?
-না না দেখি ঘুরে আসি।
বিক্রেতা রাগে মাছটারে এমন ভাবে তার খাচিতে রাখলেন যে মাছটি একটু ব্যাথার সূরেই শরীফ সাহেবকে বললেন।
-যান স্যার যান,,, ঐহানে আমার বাচ্চারা আছে, ঐহানে যান! অযথাই আমারে টিপে টিপে কাহিল করলেন আর মাইর খাওয়ালেন।
শরীফ সাহেব চিন্তা করে পকেটে হাত দিয়ে বের করলেন দুশত টাকা। আর ভাবলেন কি আর করা দেখি এই দুশত টাকায় ওখানে ইলিশের পোনা পাওয়া যায় কি না। শরীফ সাহেব অপেক্ষা কৃত ভীর কম একটি দোকানে গেলেন। সেখানে দেখলেন অল্প কিছু ইলিশের বাচ্চা মাছ সাজানো তাদের মাছের খাচিতে তাও আবার বিক্রেতা মানুষের ভীড়ের ফাঁক ফোকর দিয়ে দেখছেন হয়তো কোন পুলিশ টুলিশ আসে কি না। কারন ঝাটকা মাছ ধরা, বিক্রয় এবং ক্রয় আইনত অপরাধ। বিক্রেতার সাজানো ঝাটকা মাছগুলো এক বার তার খাচিতে সাজায় আবার লুকায় খাচির ভিতর। ঠিক সে সময় শরীফ সাহেব সেখানে গিয়ে দাম জিজ্ঞাসা করতেই বিক্রেতা একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগে (অনেকটা শরীফ সাহেবের অনিচ্ছায়) দু তিনটি ঝাটকা মাছ ঢুকিয়ে তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন এই নিন।
-না ভাই এতো ছোট ইলিশ!
-আরে ভাই দেনতো দু’শ দেন…..।
এরই মধ্যে হঠাৎ ঝাটকা মাছের মতন ঝটিকা অভিযানে পুলিশ আসে। বিক্রেতা সব কিছু রেখেই দৌড়ে পালালেন পিছনের পথ দিয়ে। ঝাটকা মাছের ব্যাগটি সহ শরীফ সাহেবকে পুলিশ গ্রেফতার করলেন। শরীফ সাহেব অবাক!
-কি ব্যাপারে আমাকে ধরছেন কেনো?
-কেনো আপনি জানেন না অপরাধ করা আর প্রশ্রয় দেয়ার মাঝে কোন পার্থক্য নেই।
-তাই বলে!
-কিছুই করার নেই, যা বলার থানায় গিয়ে বলবেন।
পুলিশের অভিযানে মুহুর্তের মধ্যে ইলিশ বিক্রেতারা মার্কেট শুণ্য হয়ে গেল। লোকজনও কমতে থাকে। পুলিশের দল অনেকগুলো ইলিশ মাছের খাচি তাদের পুলিশ ভ্যানে তুললেন সেই সাথে শরীফ সাহেব ও দুজন মাছ ব্যাবসায়ীকেও।
শরীফ সাহেবকে থানার এক কোনায় টেবিলে বসিয়ে রাখলেন আর ঐ দুজনকে লকাপে ঢুকালেন। সন্ধ্যার আভাস কাটিয়ে রাতের গভীরতা বাড়তে থাকে। থানার বড় কর্তা বাহিরে তাই তাকে টেবিলেই বসিয়ে রাখলেন। এক পুলিশ এসে তাকে কানে কানে বললেন।
-ভাইজান আপনি ঐযে ছোট স্যার আসছেন তাকে কয়েক হাজার টাকা গোপনে হাতে গুজে দিয়েন কাম হইয়া যাইবো।
সে আশ্চর্য হলেন নিজে ঘুষ খান না অপরকে ঘুষ দিবেন তা কি করে হয়। পকেটে হাত দিয়ে ভাবলেন টাকাওতো নেই।অফিসার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন।
-কি ব্যাপার কত দিন যাবৎ এ ব্যাবসা করেন?
-কি যে বলেন না আমি এ ব্যাবসা করবো কেনো?
-তাহলে ওরা যে বলল আপনার ইলিশ মাছের আড়ত আছে?
-মিথ্যে বলেছে!
-তা আপনি কি করেন?
-চাকুরী করি
-সরকারী?
-হুম!
-তাহলে তো আপনি অনেক মালদার পার্টি।
-না ভাই আমি গরীব মানুষ বেতন যা পাই তাই দিয়েই চলি।
-হা হা হা ঘুষখোররা কি বলে আমি ঘুষ খাই! যত সব….দু একটা কিল ঘুষি দিলেই সত্য বেরিয়ে আসবে।
শরীফ সাহেবের চোখের জল টল টল করছে। কি বলে লোকটা ঘুষ না খেয়েও খুষখোর আমিই! অপরাধ না করেও অপরাধী আমি! এ সময়ে পুলিশের বড় কর্তা অফিসে ঢুকেন। অফিসের অন্য পুলিশরা তাকে স্যালুট করতে থাকেন। সে শরীফ সাহেবকে এখানে এ ভাবে জলে ভেজা নয়নে দেখে অবাক। চতুর সে থমকে দাড়িয়ে শরীফ সাহেবের কাধে হাত রেখে তার রুমে নিয়ে গেলেন।
-আরে শরীফ সাহেব যে কোন ফোন না করেই চলে এলেন ….চলুন আমার রুমে চলুন। ভিতরে ঢুকে বড় কর্তা তার চেয়ারে বসলেন এবং শরীফ সাহেবকে তার সামনে থাকা চেয়ারে বসতে বললেন। সে বসলেন না দাঁড়িয়েই রইলেন ততক্ষণে শরীফ সাহেবের মনে অপমানিত ক্ষোভের জল চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ল। বড় কর্তা কিছুই বুঝতে পারছেন না, সে উঠে গিয়ে তার সামনে গেলেন এবং হাত ধরে চেয়ারে বসালেন।
-বসুন, কি হয়েছে বলুনতো? এখানে কেন?
সে নিজে কিছু বলছেন না দেখে বড় কর্তা অফিসের সে ছোট সাহেবকে ডাকলেন। ছোট সাহেব বড় কর্তার রুমে ঢুকে শরীফ সাহেবের পা ধরে কান্না কাটি শুরু করে দিলেন।
-স্যার,আমারে মাফ কইরা দেন। আমি ভুল করেছি বুঝতে পারি নাই।
তার এমন অনুনয় বিনয় দেখে বড় কর্তা ধমক দিলেন।
-এই এদিকে আসো।
সে বড় কর্তার কাছে গিয়ে মাথা নীচু করে অপরাধী মুখে দাঁড়ালেন।
-বলতো কি হয়েছে?
সে সমস্ত ঘটনার সত্য বিবরণ দিলেন। ঘটনা শুনে বড় কর্তা তখনকার ডিউটি অফিসারকে ডাকলেন। সে রুমে ঢুকে স্যারকে স্যালুট দিলেন।
-শরীফ সাহেবকে থানায় এনেছো কেন? তাকে চিনো? সে কে? এই যে এই নোংরা সমাজটা দেখছো এই নোংরা সমাজের অনেক নোংরামীর ভীরে সে সচিবালয়ের একজন সৎ নিষ্টাবান কর্মঠ অফিসার। সরকার তাকে তার কাজে সততা আর নিষ্ঠাবানের জন্য বেশ কয়েক বার পুরষ্কৃত করেছেন। তার মতো সৎ এবং কর্তব্যপরায়ণ অফিসার যদি বাংলার ঘরে ঘরে থাকতো তবে এ দেশ এতো দিনে মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গ বন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হয়ে যেত।
এবার শরীফ সাহেবকে লক্ষ্য করে ক্ষমা চাইলেন বড় কর্তা।
-স্যার আপনি ওদের ক্ষমা করে দেন। ওরা আপনাকে চিনতে পারেনি।
শরীফ সাহেব বসা থেকে উঠে দাড়ালেন এবং তাদের উদ্দ্যেশ্যে কিছু বলার চেষ্টা করলেন।
-দেখুন,আমি কে কি আমার পরিচয় সেটা মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হলো, আমি একজন কেবলি মানুষ যেমন আপনি আপনারা সবাই। আমাদের জীবনে জীবনকে চালাতে গিয়ে অনেক কাল বৈশাখী ঝড়ের মুখো মুখি হতে হয় তখন কেউ খুটির জোরে টিকে থাকেন কেউ বা হারিয়ে যায় অন্ধকার জগতে। সবার জীবনেই ভাল মন্দ দুটো দিকই থাকে কেউ মন্দটা গ্রহন করে হাজারো কোটি টাকার মালিক বণে যায় কিন্তু জীবনের প্রকৃত স্বাধ কি জিনিস তারা হারিয়ে ফেলে আবার কেউ বা ভালোর দিকটা গ্রহন করে ছিদ্রোযুক্ত চালের কূড়ের ঘরেই সুখ খোজে পায়। কিন্তু এ দুটো দিকের শেষ ফলা ফল শুণ্য কারন যার জন্ম আছে তার ধ্বংস আছে তাই মৃত্যুই এক মাত্র চির সত্য এটা ভেবেই সবাইকে কাজ করতে হবে যেনো শত কাল বৈশাখী ঝড়েও তাল গাছটির মতন আমি আমার সততায় স্থির দাড়িয়ে থাকতে পারি। কারন আমার সৎ কর্মই আমাকে বাচিয়ে রাখবে পৃথিবীর মানুষ মনে রাখবে আমায় আজীবন।
আর একটি কথা আপনাদের যে চাকুরী তা খুব ভাগ্যবানরাই পায় কারন সেবক সবাই হতে পারে না। তাই যখন যে কাজটি করবেন ভেবে চিন্তে যাচাই বাছাইয়ের পর করবেন। আমিতো জানি ঝাটকা মাছ ধরা নিষেধ তাছাড়া বিক্রেতা এক প্রকার জোর করেই ব্যাগটি হাতে ধরিয়ে দিল ঠিক সে সময়ই আপনেরা এলেন। যাক যা হবার তা হয়েছে আমি কিছু মনে করছি না তবে আমাকে আমার ফুলের ব্যাগ আর মানি ব্যাগটি ফেরত দিলেই চলবে।
এরই মধ্যে তড়িগড়ি করে এক কনেস্ট্যাবল তার জিনিস পত্রগুলো তাকে বুঝিয়ে দিলেন। বড় কর্তা আবারো তাকে সরি বললেন।
-সরি ভাই যা কিছু হয়েছে সব কিছুর জন্য দুঃখিত আর যদি কিছু মনে না করেন আগামীকাল তো পহেলা বৈশাখ তাই আপনার জন্য ওরা যে ইলিশগুলোর আটক করেছে সেখান থেকে কয়েকটি ইলিশ মাছ যদি দিয়ে দেই, আপনি নেবেন?
-না, আপনিতো জানেন আমি কেমন।
-আচ্ছা ঠিক আছে তবে শেষ এবং একটা অনুরোধ রাখবেন? আমাদের ভুলের কিছুটা মাসুল দিয়ে নিজেকে একটু হালকা করতে চাই।
-কি?
-রাত অনেক এখন আপনাকে আমার গাড়ি দিয়ে আপনার বাসায় আমি নিজে পৌছে দিতে চাই। অন্তত এই অনুরোধ টুকু রাখেন।
-ঠিক আছে।
সমাপ্ত।
নিবন্ধনের খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার লিখা পেলাম। ভালো লেগেছে।
তবে আজ বিস্তারিত কথা নয়; শব্দনীড় এ জানাই সুস্বাগতম। নিয়মিত চাই।
শরীফ সাহেবের হেনস্তা সত্যই দুঃখজনক। শব্দনীড়ে স্বাগতম দাদা।
সমসাময়িক একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
"একটি তর তাজা মোটা সোটা বড় সাইজের ইলিশের পেটে আঙ্গুলে আলতু চাপ দিতেই ইলিশ মাছটি লাফিয়ে বলতে থাকে।
-ও স্যার কেনো খামাখা আমারে গোতান আমি জানি আপনের পকেটে হেই টাকা নেই যা দিয়ে আমারে কিনতে পারবেন,,,।"—— আমি সরাসরি ইলিশ ধরতে দেখেছি। পুটির চেয়েও অল্পপ্রাণ মনে হয়েছে। সেই মাছটা বাজারে এসে সৎ মানুষের ছোঁয়াতে কথা বলে প্রকারন্তরে মানুষের অসততাকে ব্যাঙ্গ করেছে। আনন্দ পেলাম!
আপনার লেখার হাত ভালো।
অনেক শুভকামনা




একটু দুষ্টুমি করিঃ আপনার নাম এখানে দিয়েছেন মমি আর ছবি দেখেও কিছু বোঝা যায় না। তবে লেখা পড়ে মনে হয়েছে এটা পুরুষ মানুষের লেখা! হা হা হা!
আপাত দৃষ্টিতে ঘন শব্দের আদল থাকলেও গল্পটির বক্তব্য বেশ পরিষ্কার। স্বাগতম ভাই।
ভালো লিখা। স্বাগতম ভাই।
শব্দনীড় ব্লগে আপনাকে দেখে খুবই ভালো লাগছে শ্রদ্ধেয় মনির দাদা। আপনাকে সবসময় পেতে চাই। লেখাটাও এক্কেবারে খাঁটি সোনা গহনা । শুভকামনা রইল দাদা।