দেখা হবে

dd

আমার কথায় একদিন তুমি সাগর
মন্থন করে আনতে পারতে অমৃত
ঝাঁপ দিতে পারতে আগুনে।
তোমার যাত্রা সমুদ্রের দিকে
তুমি চেয়েছো পূর্ণতা।

রাতের আকাশ থেকে প্রতিদিন
শব্দ ভেসে আসে, আমি আপ্লুত হই
নক্ষত্রেরা চুপি চুপি কথা বলে
বলে রাতের মোহনীয় রূপের কথা।

আমি নক্ষত্রের কথা শুনে ঘুমের মধ্যে
হাঁটতে থাকি –
হাঁটতে হাঁটতে চলে আসি সমুদ্রের
সীমানায়;

সমুদ্র কি বিশাল ফণা তুলে
ছুটে আসে। আমি শন্কাহীন
ভেসে বেড়াই ঢেউ এর চূড়ায়
রাত কি মোহনীয়, আমাকে
সমস্ত বিষাদ থেকে দূরে রাখে
ভুলিয়ে দেয় সমস্ত শ্রান্তি।

ইচ্ছে করলেই ফিরে যেতে
পারি না শৈশবে
পারি না ফিরে যেতে কৈশোরে
কিংবা কৈশোর যৌবনের সন্ধিঃক্ষণে
যখন অনেক স্বপ্ন চোখে এঁকে
তোমার হাতে দিয়েছিলাম।

ইচ্ছে করলেই আমরা হতে
পারি না উদ্দাম সেই
কুড়ি বছরের যুবক যুবার মত
যখন তুমি আমার ঠোঁটে
এঁকেছিলে প্রথম চুম্বন।

আমাদের চারপাশে এখন
ঘর সংসারের চিহ্ন
গেরস্থালির গন্ধ শরীরে
তবুও মন তো যায়নি মরে
হৃদয়ে এখনও লেগে আছে
বারো বছরের স্মৃতিচিহ্ন।

dd

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter