স্রোতবেলা

dukh

সখি, আমি জানতাম না যে এই কার্তিকেও গঙ্গাস্রোত বয়ে যায়। তোমার স্রোত দেখার আশায় নীড় বেঁধেছিলাম গঙ্গারই কিনারায়। তুমি সর্বভুক গঙ্গানারী, তোমার স্রোতে ভেঙ্গে নিয়ে আমার নীড়, আমার বাড়ি। কি দোষ ছিলো সখি !!

আমি দিয়েছিলাম আমারই প্রেমভরা বক্ষ আর তুমি সেই গঙ্গারানী, গঙ্গার দু’কূল যার লক্ষ্য। সখি বন্ধ রেখো তোমার লীলা খেলা। ভাসিয়ে নিয়োনো আমার বানানো প্রেমেরো ভেলা।

কূলটা তুমি ভেবোনা আমায়, খেলো না আর বাঁধ ভাঙ্গার আদিম খেলা। আজ আমি দিশেহারা, ‘চক্ষু মুদিতে মুছিতে বয়ে যায় বেলা।’ আজ পরাজিত হয়েছিলে সখি, দেখে তোমার নিদারুণ খেলা।

আমার চোক্ষুর নদীতে চর পড়েছে, চক্ষুর মাঝে পাথর গজিয়েছে, পাথর ভেঙ্গে জল শুকিয়ে রক্তের জল- স্রোত চলছে বয়ে। আজ আমার স্বাধ মিটেছে খেলতে গিয়ে প্রেম বাগিচায় সর্প খেলা।

সর্প আজ দংশিছে আমায়, দেহ করেছে কালা। আমার প্রেমের মৃত্যু হয়েছে এখন তোমার সুখ সন্ধ্যার পালা। তোমার পায়ের ঘাতে আমার, মিটিয়ে নাও তোমার জ্বালা। হায় খেলা।

আফসোস সখি, দেখতে পেলাম না তোমার রঙিন সুখের বেলা। তোমায় দিয়ে যেতাম, যা দিয়েছিলে আমায় তোমার প্রথম প্রেমের বেলা। দেখে যাও সখি জ্বলছে চিতায় আমার শশ্মান মেলা।

dukh1

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter