সখি, আমি জানতাম না যে এই কার্তিকেও গঙ্গাস্রোত বয়ে যায়। তোমার স্রোত দেখার আশায় নীড় বেঁধেছিলাম গঙ্গারই কিনারায়। তুমি সর্বভুক গঙ্গানারী, তোমার স্রোতে ভেঙ্গে নিয়ে আমার নীড়, আমার বাড়ি। কি দোষ ছিলো সখি !!
আমি দিয়েছিলাম আমারই প্রেমভরা বক্ষ আর তুমি সেই গঙ্গারানী, গঙ্গার দু’কূল যার লক্ষ্য। সখি বন্ধ রেখো তোমার লীলা খেলা। ভাসিয়ে নিয়োনো আমার বানানো প্রেমেরো ভেলা।
কূলটা তুমি ভেবোনা আমায়, খেলো না আর বাঁধ ভাঙ্গার আদিম খেলা। আজ আমি দিশেহারা, ‘চক্ষু মুদিতে মুছিতে বয়ে যায় বেলা।’ আজ পরাজিত হয়েছিলে সখি, দেখে তোমার নিদারুণ খেলা।
আমার চোক্ষুর নদীতে চর পড়েছে, চক্ষুর মাঝে পাথর গজিয়েছে, পাথর ভেঙ্গে জল শুকিয়ে রক্তের জল- স্রোত চলছে বয়ে। আজ আমার স্বাধ মিটেছে খেলতে গিয়ে প্রেম বাগিচায় সর্প খেলা।
সর্প আজ দংশিছে আমায়, দেহ করেছে কালা। আমার প্রেমের মৃত্যু হয়েছে এখন তোমার সুখ সন্ধ্যার পালা। তোমার পায়ের ঘাতে আমার, মিটিয়ে নাও তোমার জ্বালা। হায় খেলা।
আফসোস সখি, দেখতে পেলাম না তোমার রঙিন সুখের বেলা। তোমায় দিয়ে যেতাম, যা দিয়েছিলে আমায় তোমার প্রথম প্রেমের বেলা। দেখে যাও সখি জ্বলছে চিতায় আমার শশ্মান মেলা।