আবাহন

aba

রাত্রির বিষণ্ণ নীরবতা ভেঙ্গে যখন স্বপ্নীল চৈতন্য
নিয়ে ফোটে রোদের মঞ্জরী-
জীবনের মাঠে; রূপোলি বীজের ঘ্রাণ ভেসে আসে দূর
বনভূমি থেকে; বিরামহীন দ্রুতলয়ে ফুটতে থাকে ভোর-

আলোকমন্ডিত পৃথিবী থেকে দ্রুত অন্ধকার সরে যায়,
জাগতিক বৃক্ষের বুক থেকে বিদায় নেয় রাত্রি, তখন আমি সৃষ্টির
দর্পণে রাখি হাত; পরিবর্তনশীল বিশাল ব্রহ্মাণ্ড তাতে দেখতে পাই আমি-
কেউ যেন নিঃশব্দে আর্তনাদ করে ওঠে, যেন তাকে নির্মমভাবে
শুষে নিয়ে আমসত্ত্ব বানাচ্ছে কোন প্রিটোরিয়া সরকার, তুমি শোননি?

তবে ভয় পাচ্ছো কেন মিছে? সে শোষিতকে তুমি চেনো, চেনো তার
মিহিদানা কণ্ঠস্বর; তার ভাঙাচোরা তোবড়ানো শরীরের ইতিহাস তোমার
জানা। তিল ফুলের মতো ছোট্ট স্বপ্নের কথা।
সে তোমাকে বলেছিলো।

চেয়েছিল।
জামরুল ফলের মতো সবুজ স্বাধীনতার চারাগাছ, আর
নাগরিক অধিকার বন-বাদাড়ে ঘুরবার। অথচ সেই অমিয় স্বপ্ন যার
লুণ্ঠিত হয়েছে বিষাক্ত- বিভায়, সে আর কেউ নয়,

মজদুর সে তোমার- আমার, আমাদের আত্মজ, কেন করো তবে
বাহুল্য লৌকিকতা? কেন এ বিবমিষা তোমার? বিপ্লবে বিশ্বাস আনো,
বুনি দু’হাতে বিপ্লবের বীজ কঠিন মাটিতে, বিশ্ব সংসারে সুখদিন আনি।

ava01

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter