শুধু তোমাকে

Eyes_slide_show

শুভর তাবৎ জয়গান দিয়েই না হয় শুরু করা যাক আমাদের আজকের এ বার্তাপত্র।
আলো আমার আলো ওগো আলোয় ভুবন ভরা আলো নয়ন ধোঁয়া আমার আলোয় হৃদয় হরা। কি আন্তরিক এ আবাহন। চিরসত্য তো এই- ডাকো আর নাই ডাকো, দিনক্ষণ গণনার যেখানে রেওয়াজ রয়েছে সেখানে কারুকি তাকে আর থামাবার জো আছে। ঋতুরাজ বসন্তের সেই জৌলুস এমনকি তার রূপ-রস-গন্ধ-বর্ণ সবই তো হারিয়েছে কালের অনন্তগর্ভে তবুও মানুষ ডেকে যায় তার হৃদয়ের সমস্ত ভাষার ঈঙ্গীতে। আজন্মকাল, চিরদিন। মহা জগত সৃষ্টির সেই ঊষা লগন থেকে আজ অবধি। আমন্ত্রনের ভাষা সেই এক এবং অভিন্ন। মানুষ আসে মানুষ চলে যায়।

কি লিখতে কি লিখে ফেলবো শেষে না অজানা অপরাধে দোষী হয়ে পড়ি, যা মনে আসে- নিজেকে নিয়েই খানিকটা সরল বোঝাপড়া সেরে অকপটে স্বভাবসুলভ ভাষায় লিখি। প্রশংসা, স্তুতি বা হাততালি কিংবা ভারী শব্দ নির্বাচনের জন্য অহেতুক বাহবা কুড়ানো আমার প্রকৃত উদ্দেশ্য নয়। যদি আমার প্রাঞ্জল্য এ স্বীকারোক্তিকে বিনয় বলে ধরে নিয়ে আমার জন্য অযোগ্য কোন আসনে আসীন করে ফেলো তবে আমার প্রতি তা সুবিচার হবেনা। আমিও ভাষার অভাব-কষ্টে ভুগি। এই আমার সারাজীবনের অতৃপ্ত তৃষ্ণা।

আসলে আমি বলে দিই আমি কি। আমার আমির মাঝে যে বসত নিয়ে সারাক্ষন আমায় কষ্ট দেয়, সে হচ্ছে আমার ‘কা’ অর্থ্যাৎ দ্বিতীয় সত্তা। কা বা দ্বিতীয় সত্তা নিয়ে এমন ধরণের অবতারণাকে বাড়াবাড়ি বলে মনে হতে পারে তোমার। আমার মনে হয় ব্যাপারটা মোটেই তেমন নয়। প্রাচীন মিশরীয় তত্ব অনুসারে কা বা দ্বিতীয় সত্তার নিজস্ব অস্তিত্ব ছিল একসময়। যাকে বলে “ব্যক্তির মধ্যে ব্যক্তিত্ব।” দেহ নশ্বর হলেও কা অবিনশ্বর। দেহ মারা গেলেও কা মারা যায়না। দেহের মৃত্যুর পর কা সেই দেহ ছেড়ে গিয়ে অপেক্ষায় থাকে দেহের পুনরুজ্জীবনের জন্যে, যাতে কা আবার দেহের সংগে মিলিত হয়ে অনন্তকাল বসবাস করতে পারে। এ প্রসংগে খৃষ্টপূর্ব মহাপরাক্রমশালী ফারাও আমলের স্বনামধন্য দার্শনিক ওয়াইডারম্যানের উদ্ধৃতি …….” কা দেহ ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে, কিন্তু দেহ কা ছাড়া বাঁচতে পারেনা” …..তা সত্বেও কা দেহের মতই একটি সত্তা। এমনকি মনে হতে পারে কোন কোন দিক থেকে দেহের চাইতেও শক্তিশালী ও উন্নত এই কা। মিশরের নৃপতিরা অনেক সময়ই নিজেদের কা-দের দেবতা জ্ঞান করে তাদের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য দিতেন। এমনকি প্রাচীন মিশরের প্রচলিত কাহিনীতেও আমার এ জাতিয় সৃষ্টিছাড়া ধ্যান ধারণার চমৎকার প্রমান পাওয়া যায়।

অনেক হয়েছে। আর না। এভাবে এই আজকের এদিনে এমনতর গম্ভীর বিষয়ে প্রসংগ তোলাটাই বোধকরি অপরাধের সামিল। ক্ষমাপ্রার্থী। সম্মুখ দৃষ্টি থাক দিগন্তজোড়া। আর কল্যাণমুখী চঞ্চলতা ঘিরে থাক আদিনমান তোমাতে। শুধু তোমাতে।

Eyes_slide_showas

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter