ফেরা

04

আকাশ নীল দেখলে খুব দূরে যেতে ইচ্ছে করে।
আর দূর ভাবলেই সমস্ত শব্দ ঝিনুকের মতো এক
সমুদ্রের ঢেউ- এ ওঠে পড়ে। মনে হয় ফিরতে ফিরতে
তোমার জন্য কিছু নিয়ে আসি।

দেখি লাল ভেলভেটের সবচেয়ে উঁচু বেদীতে বসে আমার মা সাম্রাজ্য শাসন করছেন।
তাঁর ইঙ্গিতে প্রতি বাড়ির সামনে একজন লোক হাত উঁচু করে দাঁড়িয়ে।
পাছে আমি চিনতে ভুল করি, ভুল বাড়ির সিঁড়িতে
ডাক দিয়ে দিয়ে কাউকে না পেয়ে ফিরে যাই।

ফিরে এলাম আবার। সেই পুরোনো পথঘাট
গূঢ় অঙ্গীকারে ভরা, এরাও নিস্তব্ধ হবে-
কিছু পরে কোন অদৃশ্য সুতোয়?

দ্যাখো, চমকে উঠছে তোমার দাঁতের ভেতর নখ
এবার কি শীত নেমেছে আগের চেয়ে বেশী, কান পাতো
আমার হাড়ের ঠকাঠক্ শুনতে পাবে তুমি।

আমাদের অতীত ঘুমিয়ে আছে সাংঘাতিক স্বপ্নে
খাটের তলায় মরে পড়ে আছে ছাতাধরা নীল জুতো
একদিন স্বপ্ন থেকে জেগে উঠলাম আমরা অদ্ভুত ভাবে
দেখলাম ছিল মহৎ, ছিলো বিষাদ জড়ানো অতীত মুখোশ পরা-
বুঝে গেলাম নিমেষেই… হায় ফেরা। আমার ঘরে ফেরা !!

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter