বৈশাখে তোমার শহরে যাবো
এ বছর বৈশাখে যদি তোমার শহরে যাই
মুঠোভরে নিয়ে যাবো বসন্তের জমানো পরাগ।
রোদেপোড়া রাজপথে বিছিয়ে দিয়ে আসবো
আমাদের প্রণয়ের মতন সজীব দূর্বাঘাস।
দাপুটে ঝড়ের জৈষ্ঠ্য মাসটা তুমি মনে হয়
বাইরে কাটাবে। দূরের কোনো শান্ত শহরে।
যদিও সারাটি বছর এই পাহাড়ি নদীর কাছে
পাথুরে সিঁড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে আমি
অনায়াস বেঁচে থাকি চূড়ান্ত সুখের ভেতর।
তবুও সম্ভাব্য ভিড়, ধুলোবালিছাই পেরিয়ে
তোমার শহরে যাবো একবার।
উড়ে যাওয়া ধূসর মেঘের আঁচলে
রেখে দিয়ে আসবো পরাগরেণু।
জীবন তোমাকে অভিবাদন
বেঁচে আছি বলেই বেঁচে আছে জীবনের
যাবতীয় ক্ষোভ। প্রতিবেশীর ঝুলবারান্দার
পোষা পাখির চোখে ছুঁড়ে দিতে পারি
নিজেরই পাখিহীন বিকেলের অভিমান।
কণ্ঠ আছে বলে রাত শেষে জেগে ওঠে
পিপাসার ভোর। একান্ত মাঠের কিনারা ঘেঁষে
একটি টলটলে সরোবর হলোনা ভেবে
বুক ঠেলে উড়ে গেছে চাপা শ্বাস, কতবার!
মৃতেরা কি ফুঁসেছে কখনো ক্ষোভে?
মৃতদের পাঁজর কখনো পুড়েছে কি কামনায়?
বেঁচে আছি বলেই বেঁচে আছে কামনার রঙ,
ভাতঘুম, সিগারেট, গ্রীন চা, কোজাগরী ঘ্রাণ।
চারপাশে এতো এতো মরনের ভিড়ে আমাকে
আজও বাঁচিয়ে রেখেছো বলে হে জীবন
তোমাকে জানাই হাজারো অভিবাদন!
আমি লিখতে বসলে তুমি আর ওভাবে পেছনে এসে দাঁড়িয়োনা। নিঃসঙ্গ পিঠের ওপর ছড়িয়ে দিওনা সান্নিধ্যের কাঙ্ক্ষিত মায়ারোদ। এই আঁচটুকু পেলেই ইচ্ছে হয় খাতা ফেলে দিয়ে ক্যানভাস খুঁজি। তোমার পাঁপড়ির গায়ে সন্তর্পণ আঁচড়ে এঁকে দেই গোলাপের লাল। দুপুরের নির্জন ঘরের ওপাশে থরেথরে ফুটে আছে বিলাসী বাগান। চোখ না তুলেই টের পাই চন্দন সুগন্ধী বুকের সর্বগ্রাসী মোহ। আমি লিখতে বসলে তুমি আর ওভাবে চুপিচুপি কাছে এসোনা। তুমি এসে দাঁড়ালেই কবিতার ব্রত ভুলে আচমকা পুরুষ হয়ে যাই। সে আমাদের প্রিয় ব্লগার ফরিদুল আলম সুমন। আজ শুভ জন্মদিন।
জীবনের কর্মে এবং সাফল্যে থাকুন বেঁচে। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা ভালোবাসা সর্বোপরি শুভকামনা সব সময়ে থাকবে আপনার জন্য। শুভ ব্লগিং।