আমরা যারা নিয়মিত কিংবা অনিয়মিত লিখি
প্রবীণ হই কিংবা আধা প্রবীণ হই –
আমরা আমাদের নিয়ে থাকি সর্বদা ব্যস্ত।
নবীন ব্লগারদের লিখা চোখে পরলেও সযত্নে এড়িয়ে যাই।
আমরা কি ঠিক কাজটি করছি?
আমরা অবশ্যই যেমন সুস্থ্য আলোচনা চাইবো বা আশা করবো, তেমনি ভুল বা দৃষ্টি নিন্দিত হলেও তা প্রকাশ করবো। এবং সেটাই উচিত করণীয়।
নইলে লেখক তাঁর লিখার মানের অবস্থান নিয়ে শঙ্কায় থাকতে বাধ্য।
মন্তব্য।
লিখক মাত্রই সেটার আশা কিংবা অপেক্ষা করেন।
ইদানীং ব্লগে নাম মাত্র কয়েকজন ছাড়া অনেকেই আমরা ঝাড়া গদ বাঁধা ছোট্ট স্তুতি মন্তব্য সাজিয়ে হারাই। যেন নিরবে সরব উপস্থিতি জানিয়ে যাই, আমার একটা লিখা আছে – দয়া করে পড়বেন। বিকিকিনির ঘরে ক্রেতাকে জানাই নিমন্ত্রণ। বিনয়ের সঙ্গে বলছি, আমার মতের সাথে অন্যের দ্বিমত থাকলে থাকতেও পারে। ফিরেও আমরা আর সেই ফেলে আসা ব্লগটিতে খুব কম জনেই ফিরি। নতুন ব্লগার বন্ধুদের ঘরে ঢুকতেও আমাদের দ্বিধা কাজ করে প্রচুর। অথচ আমাদের অন্তঃপ্রাণ চেষ্টাই বলুন আর উত্তরসুরীই বলুন তারা এই নতুন প্রজন্ম।
ব্লগের অধিকাংশ লেখক এখনো নতুন। ব্লগিং ব্যাপারটির সঙ্গে তারা সবে পরিচিত হতে শুরু করেছেন। নানা কারিগরী দিকগুলো আয়ত্তে না আনার অলসতা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তবু নিজেকে জানান দেয়ার এবং নিজের লেখা প্রকাশ করার দিকে তাঁদের একটা ঝোঁক থাকবে এটা স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে নিশ্চয়ই তাঁরা অন্যদের লেখার দিকে মনোযোগ দিতে পারবেন। অন্যদের লেখা পড়ে সে বিষয়ে তাঁদের অভিমত জানাবেন। সেজন্য কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
কমিউনিটি ব্লগিংয়ে সামাজিকতা যোগাযোগ ব্যবস্থা জানা-বোঝার ব্যাপারগুলো আয়ত্তে আসতে কিছু সময় লাগবে। পারস্পারিক কথোপকথনের মধ্য দিয়ে একটি সুন্দর ও অর্থপূর্ণ আলোচনা গড়ে উঠবে। সকলের এ আকাঙ্খা যুক্তিসঙ্গত। ব্লগিং-প্লাটফর্ম হিসেবে ব্লগ একটি অবাধ আলোচনার ক্ষেত্র হয়ে উঠুক এটি আমরা চাই। কিন্তু রাতারাতি তার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। পারস্পারিক বোঝা পড়া, চেনাজানার মধ্য দিয়েই ধীরে ধীরে সেটি গড়ে উঠবে।
আমরা চাই একটি সুন্দর এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্লগিং প্লাটফর্ম। নিজের প্রিয় লিখাটি শব্দনীড় এ দিন। সহ-ব্লগারদের লেখা পড়ুন। কিছু বলার থাকলে মন্তব্য করুন। আপনার মন্তব্য তাঁকেও হয়তো টেনে আনবে আপনার ব্লগে। তিনি আপনার লেখা পড়বেন এবং হয়তো মূল্যবান একটি মন্তব্যও করবেন। পরস্পরকে চিনুন। সমমনাদের খুঁজে বের করুন। সবার অংশগ্রহণে ব্লগ হোক মুখরিত।
যে কোন লিখা ছাপার অক্ষরে এলে- লিখকেরও একটা দায় বর্তে যায়,
“জবাব দিন” শব্দটার কাছে।
লিখককে তড়িৎ না হলেও ভেবে সুস্থির হয়ে একটা উত্তর সাজাতে হয়।
হোক তা সৌজন্য কিংবা ব্যাখ্যা।
আমি মনে করি ‘একটা পোষ্ট = একটা দায়িত্ব’।
আমরা যেন অন্যকে ফাঁকি দিয়ে
আগামীতে নিজের বা নিজেদের শূন্যের মধ্যে ফেলে না দিই –
শ্রদ্ধা দিয়ে সবাইকে উৎসাহ দেয়ার নামই হলো শুভ ব্লগিং।
লাইক আনলাইক এবং রেটিং চর্চা অব্যহত রাখুন। ধন্যবাদ।
মনোযোগ দিয়ে লেখাটা পড়লাম । মানতে চেষ্টা করবো।
অসংখ্য ধন্যবাদ মি. ফয়জুল মহী।
অনেক ভালো পরামর্শ।
মেনে চলার চেষ্টা করবো।
আনন্দিত হলাম প্রিয় মহাশয়। ধন্যবাদ।