অব্যক্ত কথা একদম সরল

অব্যক্ত কথা, যা কিনা বলা যায় না
পড়ে রয় মন মস্তিস্কের এক কোণে
ঠিক ফুলদানিতে জমানো
একগুচ্ছ পুস্পের মত।

মনটাই বা কি চায় আমার কাছে
না কিছু লুকোয়, চায় কি কিছু পেতে,
নাকি পেয়ে হারাতে !! এত সব প্রশ্ন
তবুও ভাসা- ভাসা, মেঘের মত-
নয়তো বা মেঘের আড়ালে হারিয়ে
যাওয়া চন্দ্র- সূর্য নক্ষত্রের মত
ক্ষণিক আছে, ক্ষণিক নেই।

মনের কোণে জমা হয়
শত কথার ফুলঝুড়ি, জানালার ফাঁক দিয়ে
সূর্যের মত প্রকাশ করি, মেলে ধরি
সব কথা, আপনার স্কন্ধ রাহু মুক্ত করি
অস্পর্শ হাত দিয়ে কে যেন চেপে ধরে কন্ঠ
সেকি নিজের প’রে নিজের দূর্বলতা।

হয়তো অনেক কথা অপ্রকাশিত থাকবে
হয়তো বা হবে, মন মন্দিরই জানে
সে মন্দিরে তুমি কে ? তুমি সেই;
যাকে পেলেও আমার, হারালেও আমার
তুমি আমার সেই, সকলের চেয়ে ভিন্ন।

অব্যক্ত মন কিছু বলতে চায়, অন্তিম কালের
পথ ধরে…বলি- বলি করেও যা হয়নি বলা-
যা ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। আজ যা রৌদ্রদীপ্তলোকে
উদ্ভাসিত, দিবালোকে সত্য, সাঁঝ অন্ধকারেও।

ক্ষণিকের হলেও সেটা আমার মহাকাল
মহাকাল জুড়ে আছ শুধু তুমি
আর তোমার পদচারণা।

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter