দ্রাব্য

এই শহরটা দ্রবীভুত হয়ে আমার শরীরে
আমার শরীর দ্রবীভুত হয়ে এই শহরে
হাঁটছি
গিলে খাচ্ছি
আর থু থু ছিটিয়ে পরিষ্কার করছি গলগন্ড

তুমি মেসোস্ফিয়ারে দশজন হয়ে হাসছো
কুয়াশা ভেদ করে তোমার দশ একশত জন হয়েছে
রাস্তা এই শহর তুমিময়
তুমি একটা বৃত্ত তৈরী করছো আমি কেন্দ্রে
আমি কেন্দ্র থেকে ছুটে যাই পরিধির দিকে
পরিধি ভেদ করতে গেলে
শত শত তুমি বেরিকেড তৈরী করো

তুমি আমার উপরে খাও
গড়াগড়ি করো
খেয়ে দেয়ে আমার উপরে কুলকুচি করো
আমার পিঠের উপর চেয়ার পেতে আয়েশ করো
একটা সিগার ধরিয়ে ধোঁয়া ছাড়ো
বৃত্তের মতো কুন্ডলী পাকায় তোমার ধোঁয়া
ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে আয়েশ করো
পরম ওম ওম সুখে
পুরুষ হাঁসের মতো আরামের নিঃশ্বাস ছাড়ো আহ !!

8 thoughts on “দ্রাব্য

  1. ইংরাজীতে কি যেন একটা কবিতা পড়েছিলাম যেখানে শহুরে জীবনের একঘেয়েমি আর সীমাবদ্ধতা দারুণ মর্মগ্রাহীভাবে ব্যক্ত করা ছিল—এই কবিতায় সেই রকম একটা ভাব ফুটে উঠেছে মনে হচ্ছে।

  2. ভীষণ পরিপাটি একটি লিখা। যেখানে অনূভব প্রকাশে অন্তত বাড়তি শব্দের প্রয়োজন হয়নি। অভিনন্দন নাজমুন নাহার আপা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।