বিষাদের প্রখর বেলুনগুলো

দ্রোহে নেই
বিদ্রোহেও নেই

সন্ধিতে আছি;

ভাঙ্গতে পারিনা
তাই
নির্মাণে আছি।

সৃষ্টির আনন্দ শুধুই নির্মমতায়?

নয়নমোহন ওই যে কাঠঠোকরা পাখিটি

— সেও কেমন নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে !
ঠোঁটের আদরে আদরে ছিন্ন করে গাছের বাকল
বৃক্ষের পাঁজর ভাঙ্গে ঠোকরে ঠোকরে।

শেষপর্যন্ত—-
ঠাকুরমার ঝুলির ছেঁড়া পাতাগুলো প্রবল বাতাসে উড়ে যেতে থাকে
সেই সুনসান মাঠে–হতবিহ্বল পাঠক ছাড়া আর কেউ থাকেনা;

গল্পটি শেষ হয়নি…………
বিষাদের প্রখর বেলুনগুলো বাতাসে ছড়িয়ে দিলে
আকাশের নয়নাভিরাম আতশবাজি হয়ে গেল;

বিমোহিত জনতার তুমুল করতালি বাজে–

——-বাহ্‌!
——-বেশ!
——-ভালইতো!

(বিষাদের প্রখর বেলুনগুলো ‘ কাব্যগ্রন্থ থেকে)

2 thoughts on “বিষাদের প্রখর বেলুনগুলো

  1. সুন্দর কবিতা প্রিয় নাজনীন খলিল আপা। আশা করবো ভালো আছেন। :)

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।