“ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু”
কে আমায় করবে ক্ষমা?
আমিতো নিজেই আমার ঈশ্বর।
বেদেনী-বাঁশীতে নাচে লকলকে লোলুপ চেরা-জিব
বিকেলের বিষন্ন- হলুদ উঠোনে ঝেড়ে ফেলে তার বিষ-থলি
যেখানে খাদ্য-কণা খুঁটে খায় চড়ুই ছানারা;
অনন্তের ওপার থেকে ভেসে আসে বেহালার তান মাঝরাতে
বাতাসের মীড়ে মীড়ে বেজে ওঠে প্রচ্ছন্ন বর্ণমালা,
বর্ণালী মুক্তো-বৃষ্টি ঝরে ঝরে পড়ে;
বোধিকে আচ্ছন্ন করে তরঙ্গের তীব্র এক ধুন।
আনন্দের অলৌকিক প্রাসাদে বেঁধেছি ঘর-বাড়ী
আটপৌরে ক্লেশের সাথে আড়ি আড়ি খেলে
এক মহাকাল যাপন করি রোজ।
প্রতিরাতে-
রোজনামচার একটি পাতা ছিঁড়ে ফেলি —
দুমড়ে-মুচড়ে দেখি চমৎকার এক ফুল হয়ে গেছে
ভয়ংকর বিষাদ-সুগন্ধ মাখা এক বেলী ফুল।
একটি দেয়াল শুধু ছায়াকে আড়াল করে রাখে।
পতঙ্গের শবদেহ ভিজে ওঠে ভোরের শিশিরে।
বিকেলের বিষন্ন- হলুদ উঠোনে ঝেড়ে ফেলে তার বিষ-থলি
যেখানে খাদ্য-কণা খুঁটে খায় চড়ুই ছানারা; পতঙ্গের শবদেহ … চমৎকার লিখা।