পিছনে পায়ের দাগ রেখে আসি
বিমুগ্ধ-আবেশ কেটে গেলে শরাব মিথ্যে হয়ে যায়
তবু লালপানির পেয়ালা হাতে বসে থাকি;
জীবন দোল খাচ্ছে অবিরত ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো।
এখনো এ ঘরের সব কোন ছেয়ে আছে শেষ বিকেলের সুরভি-মদিরা
এখনো মুছেনি তানপুরার শেষ ঝংকারের রেশ
গোধুলীর কনে দেখা আলোর ঘেরে ফুটি ফুটি সন্ধ্যামালতী
আকাশে পাখসাট বাজে——-বিহঙ্গম ফিরছে কুলায়;
নিষ্প্রাণ স্ট্যাচুর মতো এক জোড়া মানব-মানবী
নির্বাক। ওদের সব কথা শেষ হয়ে গেছে।
তুমি তো জানতে —
চাঁদের কতটা গভীরে গেলে স্পর্শ করা যায় চরকাবুড়ির সুতো
আমাদের জন্য বাকী ছিল আরো এক তৃতীয়াংশ পথ।
ফিরে আসা যথার্থ ফিরে আসা হয়না আর
বারবার ভুল হয় প্রত্যাবর্তনের অলিখিত শর্তগুলো
অমলিন আঁকা থাকে পদযাত্রার ছাপ;
ফিরে আসি। পিছনে পায়ের দাগ রেখে আসি।
"চাঁদের কতটা গভীরে গেলে স্পর্শ করা যায় চরকাবুড়ির সুতো
আমাদের জন্য বাকী ছিল আরো এক তৃতীয়াংশ পথ।
ফিরে আসা যথার্থ ফিরে আসা হয়না আর
বারবার ভুল হয় প্রত্যাবর্তনের।" ___ অসাধারণ একটি কবিতা উপহার দিয়েছেন আপা।
বরাবরই আপনার কবিতার ভক্ত হয়ে রইলেম দিদি ভাই। নমষ্কার।
আউটষ্ট্যান্ডিং কবিতা!
মুগ্ধতা রেখে গেলাম প্রিয় কবি!!!


অমলিন আঁকা থাকে পদযাত্রার ছাপ;


ফিরে আসি। পিছনে পায়ের দাগ রেখে আসি।
শুভেচ্ছা চমৎকার কাব্যের জন্য প্রিয় নাজনীন খলিল