আঁধারের গভীরতা ভালোবাসি তবু
সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত যদিও সময়টুকু পাইনি কভু
আলো আঁধারি খেলা খেলেছি সময় ছিল অবিরত
প্রতীক্ষা অপেক্ষা শব্দ দুটি আমার বেশ পরিচিত।
নীড় হারা পাখির আত্মনাদে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছি কখনো
পদ্মার বুকে হারিয়ে যাওয়া বসত বাড়ি দেখেছি শতশত
তোমার নাতিদীর্ঘ আলাপচারিতায় আমি ডুব দেই ভূমধ্য সাগরে
লৌহমানব হতে চেয়েছি ডুবে যেতে যেতে।
চেতনা আমার বর্ণহীন
আকুলতায় আমি অশ্রুহীন
প্রবল বর্ষণের মাঝেও আমি রক্তচোষা রোদ দেখি
শীতের ওম নিতে গিয়ে আমি ঘামের স্রোতে ভাসি।
সাগরের তলদেশে বসতি নিয়েও আমি গলগণ্ড রোগে ভোগী
চন্দ্রিমা উদ্যানে আমি কাল অমাবস্যার রুপ দেখেছি
আমি আসলে যা দেখেছি —
তোমার দেখার ঠিক উল্টো রূপটি।
তুমি যা পেয়েছ
আমি তার উল্টোটি
আসলে আমি যা দিয়েছি
ভোগ না করেই দিয়েছি।
আমি গরল পিয়ে–
অমৃত সুধাটি তোমার জন্য রেখে দিয়েছি
অমাবস্যা বুকে নিয়ে প্রভাত বয়ে এনেছি
তুমি তিলোত্তমা হবে বলেই তো সব সয়ে নিয়েছি।
যমদূতের ঘন্টা ধ্বনি যেন শুনি এখন অতি নীরবে
বেলা বয়ে গেল; যাক না কী আছে তাতে!!
অনেক অনেক সুন্দর একটি কবিতা প্রিয় কবি মি. দিলওয়ার হুসাইন।
বেলা শেষ। বেলা শেষের গান জীবনের কোন না কোন সময় বাজবেই কবি।
আঁধারের গভীরতা ভালবাসলেও বেলা শেষের বিদায় লগন আমার ভাল লাগে না কবি দা। ভাল থাকবেন।