যতটা অনুসন্ধানী হওয়া গেলে তোমার অন্তরাত্মার খবর জানা যেতো
ততটা অনুসন্ধানী হতে পারেনি সেই যাযাবর; সুদূর অতীতে-
তোমার ভেতরে বহুমাত্রিক রূপ বিরাজমান
কতকটা অত্যুজ্জ্বল, কতকটা বেশ কদাকার!
অত্যুজ্জ্বল রঙের ছটায় মানুষ বিমোহিত
পাড়ার সদ্যপ্রসূত জীবন মিয়া থেকে
জীবন সন্ধিক্ষণের কদম আলীও-
ওরা তোমার বাইরের রুপটা দেখে শুধু
বহুমাত্রিক অন্তরাত্মার খবর পায়নি কোনোদিন!
তোমারও বেশ ভালো লাগে তাদের বিমোহিত হতে দেখে
রঙের তালে তালে ওরা বেশ নাচতেও জানে বটে;
তুমিও নাচাতে বেশ পটু হয়েছো ইদানিং!
অথচ যে তোমার ভেতরের খবর পেয়ে গেছে
সে আজ অন্ধকার গলিতে ধুকে ধুকে পা বাড়াচ্ছে মৃত্যুর দিকে-
হয়তো সে অচিরেই মুক্তির স্বাদ পেয়ে যাবে!
তোমারও বাইরের রঙের-ছটা ম্লান হবে একদিন
অবশিষ্ট রবে শুধুই কদাকার প্রতিচ্ছবি
তখন অত্যুজ্জ্বল রবি কিরণের মাঝেও তুমি-
শুধুই কদাকার আর কদাকারের প্রতিমূর্তি!
4 thoughts on “দ্বিচারিণী”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
বাইরের রঙের-ছটা ম্লান হবে একদিন
অবশিষ্ট রবে শুধুই কদাকার প্রতিচ্ছবি
তখন অত্যুজ্জ্বল রবি কিরণের মাঝেও তুমি-
শুধুই কদাকার আর কদাকারের প্রতিমূর্তি!
* সুপ্রিয় প্রেরণাদাতা মরুব্বী, অনেক অনেক ধন্যবাদ।
একসময় ‘শব্দনীড়’ ছিলো একটা প্রাণের বন্ধন। লেখা প্রকাশ, কোনদিন কারো লেখায় মন্তব্য দিতে না পারার আক্ষেপে বিচলিত হতাম। আসলে করোনা আমাদের অনেক কিছু কেঁড়ে নিয়েছে।
শুধু করোনারই বা দোষ দেবো কেন; আমরাও তো আগের মতো নাই। অনেক কিছু এড়িয়ে যাই।
তবুও শুভ কামনা সবসময়। ভালোবাসার ‘শব্দনীড়’ টিকে থাকুক অনন্তকাল।

সহমত জানাচ্ছি স্যার। ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশা।
ধন্যবাদ অশেষ…