ফেসবুকে সম্পর্ক সেটিং নেই কেন? থাকলে ভালো হতো!

ফেসবুকে Sing Up (সাইন আপ) করার সময় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অনেকগুলো অপশন রেখেছে। যেমন–প্রথম নাম (নামের প্রথম শব্দ) শেষ নাম (নামের শেষ শব্দ) সময়তে মাধ্যম নামও সংযোজন করতে হয়। দিতে হয় ফোন নাম্বার বা ই-মেইল এড্রেস। বয়স কত, তাও দিতে হয়। পাসওয়ার্ড কনফার্ম করতে হয়। সবকিছু ঠিকঠাক হলে, ছবি আপলোড নিজের ইচ্ছার উপর ফেসবুক ছেড়ে দেয়। হয়ে গেল ফেসবুকে রেজিস্ট্রেশন করা বা একাউন্ট খোলা বা আইডি খোলা। এরপর আসে প্রোফাইল সেটিং। প্রোফাইল সেটিঙে অনেকগুলো অপশন থাকে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্কুল-কলেজের নাম ও লোকেশন, বৈবাহিক সম্পর্কিত বর্ণনা সহ অনেক অনেক অপশন। তাও নিজের ইচ্ছার উপর থাকে। তাই কেউ সম্পাদন করে, কেউ করে না। শুরু হয় বন্ধু বেছে নেওয়ার পালা। যাকে রিকুয়েস্ট পাঠাচ্ছে, সে ইচ্ছে করলে একসেপ্ট করতে পারে, না-ও করতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় দুঃখের সাথে বলতে হয়, ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট প্রেরণ অথবা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কোনও Relationship setting (সম্পর্ক সেটিং) অপশন রাখা হয়নি। যার কারণে অনেকসময় নিজের অজান্তে লজ্জা পেতে হয়। আফসোস এখানেই!

আমার ফ্রেন্ড লিস্টে আমার বংশগত অনেক আত্মীয়স্বজন আছে। মেয়ের বাড়ির সম্পর্কিত আছে। আরও আছে শ্বশুর বাড়ির সম্পর্কিত অনেকেই। কিন্তু আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনকে তো কেউ চেনে? এই বন্ধুটি আমার কী হয়, ওই বন্ধুটি আমার কী হয়? মনে হয় কেউ কারোর সম্পর্ক নিয়ে বেশি একটা ভাবেও না! তবে কে কার সম্পর্কে কী হয়, জানা থাকলে কি ভালো হয় না? মনে হয় ভালোই হতো। ভালো হতো এই কারণে যে, আমার সাথে কার কী সম্পর্ক, তা অন্যসব বন্ধুরা বলতে পারতো। আমিও অন্যসব বন্ধুদের ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা বন্ধুদের সঙ্গে কে কার কীরকম ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং আমার সাথে তাঁদের কী সম্পর্ক হতে পারে তা জানতে পারতাম। কিন্তু ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট বা একসেপ্টে Relationship setting (সম্পর্ক সেটিং) না থাকার কারণে তা আর জানা সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে অনেক সময় অনেকের পোস্টে মন্তব্য দিতে গিয়ে বেধে যায় খটকা।

সে-দিন এক বন্ধুর প্রেমময় এক পোস্টে মন্তব্য করে পড়েছি বিপাকে। বন্ধুটি শুধু ফেসবুক বন্ধুই নয়, বন্ধুটি ছিল ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের মধ্যে একজন। সম্পর্কে ছিল ভাতিজা। প্রেমময় পোস্টে লেখা ছিল, “প্রথম দেখার পর থেকে তোমাকে শুধুই মনে পড়ে।” আমি লাইক ♥ দিয়ে মন্তব্যে লিখলাম, “দেখা হলে বুকে টেনে নিয়েন দাদা।” কিছুক্ষণ পরই মেসেজ। কাকা কেমন আছেন? অবাক হলাম! কিছুক্ষণ আগে তো উনার পোস্টে মন্তব্য করেছি দাদা সম্বোধন করে। এখন উনার মেসেজ বার্তায় আমাকে সম্বোধন করছে কাকা বলে। রাগ হলাম। আবার ভাবতেও লাগলাম! আচ্ছা, এতে ভাবার বিষয় নয় কি? অবশ্যই ভাবার বিষয় এবং লজ্জারও বিষয়। তারপরও কী আর করা! নিজের লজ্জার মাথা খেয়ে কিছুক্ষণ পর ভেবেচিন্তে রিপ্লাই করলাম, ‘ভালো আছি। তো আপনি কেমন আছেন?’ উত্তর পেলাম, আমিও ভালো আছি। কাকা, আমি আপনার ভাতিজা এমুক।”

এতক্ষণে চিনেছি আমার এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ভাতিজা। তবে ফেসবুক প্রোফাইল ছবিটা ছিল তাল গাছের। আর নামটা ছিল ছদ্মনাম, “আগাছা”। তাহলে চিনবো কেমন করে? চিনতে না পেরেই তো ওঁর পোস্টের মন্তব্যে বন্ধু-বান্ধবের পোস্টের মত মন্তব্য করেছিলাম। এখন নিজের কাছে খুবই লজ্জাবোধ হচ্ছে। ফের ওঁর ওই পোস্টে গিয়ে মন্তব্য সম্পাদন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা আর করতে পারিনি। ভাতিজাও লজ্জায় পড়ে ওঁর করা পোস্ট মুছে ফেলেছে। এরপর একদিন ঐ ভাতিজার সাথে দেখা। ভাতিজাকে দেখেই আমি চিনতে পেরেছি। কিন্তু কিছুই বলছিলাম না। ভাতিজা আমাকে দেখে লজ্জায় মাথা নিচু করে অন্যদিকে কেটে গেল।

আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে শুধু ও-ই নয়, ওঁর মতো এমন ভাতিজা আমার ফ্রেন্ড লিস্টে আরও কয়েকজন আছে। ওঁরা আমাকে খুবই সম্মান করে। ফেসবুকে সময় সময় ওঁরা ওঁদের মনের কথা লিখে পোস্ট করে। কেউ ভালোবাসার কথা লিখে পোস্ট করে, “আজ তোমাকে খুবই মনে পড়ছে প্রিয়ে”। ওঁদের সেই মাখামাখি পোস্টগুলো আমার চোখে পড়লে আমি যেমন লজ্জা পেয়ে থাকি, ওঁরাও মনে হয় তেমনই লজ্জা পায়। সে-কারণে আমি নিজে থেকে আমার অনেক ঘনিষ্ঠ কনিষ্ঠ ভাই ভাতিজাকে ব্লক করে রেখেছি। যাতে ওঁরা আমার করা পোস্টগুলো না দেখে, ওঁদের মনের কথা ভালোবাসার কথার পোস্টও আমি যেন না দেখি। শরম লাগে। লজ্জা লাগে। ব্লক করে রেখেছি বলে খারাপও লাগে। তারপরও তা-ই করতে বাধ্য হয়েছি। আমার বক্তব্য হলো, ওঁদের প্রেম ভালোবাসার কথা আমি কেন জানবে? ওঁদের টেম্পোরারি প্রেমিকার ছবি আমি কেন দেখবো? তাই নিজে থেকেই ওঁদের ব্লক করে রেখেছি, যাতে ওঁরা আমার সামনা-সামনি হলে লজ্জা না পায়। ওঁদের দেখলে আমিও যাতে লজ্জায় না পরি। ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে ব্লক করার উদ্দেশ্য হলো এটাই।

ব্লক করার দরকারই ছিল না। যদি রিকুয়েস্ট একসেপ্টের বেলায় Relationship setting (সম্পর্ক সেটিং) অপশান থাকতো। তাহলে রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করার সময়ই দেখতে পেতাম, রিকুয়েস্ট প্রেরণকারী আমার সম্পর্কে কী হয়। তখন আমি ওঁদের রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করতাম, নাহয় করতাম না। ওঁরা ওঁদেরভাবে থাকতো, আমি আমার ভাব নিয়ে থাকতাম। কিন্তু তা আর আপোষে বুঝে শুনে হচ্ছে না। ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট একসেন্ট করার পর আবার ব্লক করে রাখতে হচ্ছে।

হয়তো অনেকেই বলতে পারে যে, তাহলে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট করার সময় কীভাবে করলেন? আর করার পর কীভাবে জানলেন যে, রিকুয়েস্ট প্রেরণকারী আপনার ছোটভাই কিম্বা ভাতিজা?’ তাহলে বলতে হয় কীভাবে রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করেছি। ফেসবুকে একাউন্ট খোলার পর অনেকেই নিজের আসল ছবিটা প্রোফাইলে আপলোড করে না। অনেকেরই প্রোফাইল ছবি থাকে ভুয়া ছবি। হয়তো কলা গাছের ছবি, নাহয় আম গাছের ছবি, নাহয় তাল গাছের ছবি। নামও থাকে ছদ্মনাম, পরগাছা নাহয় আগাছা অথবা বাগিচা। তাহলে কীভাবে বোঝা যায় রিকুয়েস্ট প্রেরণকারী আমার ঘনিষ্ঠ পরিচিত ভাই- ভাতিজা? বোঝা বড় মুশকিল! আবার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট না করলেও, অনেকে অহংকারী মনে করে থাকে। তাই ভুল করেই অনেক পরিচিত ভাই ভাতিজাদের রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করে ফেলা হয়। পর মুহূর্তে মন্তব্যের ছোট বক্সে উপরোল্লিখিত মন্তব্যের মতো আহাম্মক সাজতে হয়। মন্তব্য করে লজ্জা পেতে হয়। এরপর মেসেঞ্জারের মেসেজের মাধ্যমে জানতে হয় বা জানানো হয়, কাকা আমি এমুকে বা ওমুকে। নাম তপন, নাহয় স্বপন। তখন আর কী করা যায়? নিরুপায় হয়ে বাধ্যতামূলক ফ্রেন্ড লিস্টে রাখা হয়। নাহয় ব্লকে ফেলা হয়।

তাই বলছিলাম কি, ফেসবুকে এই ঝামেলা এড়ানোর জন্য Relationship setting (সম্পর্ক সেটিং) থাকলে মনে হয় ভালো হতো। যেমন–যাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো হচ্ছে, তাঁর সাথে রিকুয়েস্ট পাঠানো ব্যক্তি সাথে সম্পর্ক কী? এরপর যিনি রিকুয়েস্ট গ্রহণ করবেন, তিনি রিকুয়েস্ট পাঠানো ব্যক্তির সম্পর্কিত তথ্যটি সঠিক কিনা তা বিবেচনায় নিতে পারবেন। যদি রিকুয়েস্ট প্রেরণকারী সম্পর্ক Mother চিহ্নিত করে, রিকুয়েস্ট গ্রহণকারীও চিহ্নিত করতে হবে Boy অথবা son-এ। তাই এখানে এই শব্দগুলো রাখা যেতে পারে যেমন–Mother, father, brother, wife, Husband, sister, Boy, son, uncle, aunt, grandfather, Grandma’ ইত্যাদি সহ আরও অনেক সম্পর্ক। আর নিজ প্রোফাইল ভাষা সেটিং তো আছেই। বাংলা হলে বাংলা, ইংরেজি হলে ইংরেজি।

এসব সম্পর্কিত অপশনগুলো যদি দেওয়া থাকতো, তবে আমার ছেলে যদি আমাকে রিকুয়েস্ট পাঠাতো, আমি ইচ্ছে করলে একসেপ্ট করতাম, নাহয় বাদ দিতাম। বাদ দিতাম শরম এড়ানোর জন্য। বাদ দিতাম এই কারণে, ছেলেকে ছেলেরটা নিয়ে থাকতে দেওয়া। আর আমি থাকি আমার ভাবেই। এ ছাড়াও আমার ছেলে যদি আমার এক বন্ধুকে রিকুয়েস্ট পাঠাতো, আমার বন্ধুটি অনায়াসে চিনে নিতে পারতো যে রিকুয়েস্ট প্রেরণকারী এক বন্ধুর ছেলে কিম্বা মেয়ে। তাহলে রিকুয়েস্ট গ্রহণকারীও বন্ধুর পরিচিতদের সেই সম্পর্কিত অপশনেই রেখে দিতে পারতো। কিন্তু দুঃখের বিষয় ওইসব অপশন ফেসবুকে নেই বা থাকবেও না। আছে শুধু Friend ফ্রেন্ড। মানে সবাই ফ্রেন্ড।

তাই এখন বাপও ছেলের বন্ধু, ছেলেও বাপের বন্ধু। মা ছেলের বন্ধু, ছেলেও মায়ের বন্ধু। চাচা ভাতিজার বন্ধু, ভাতিজাও চাচার বন্ধু। মোটকথা সবাই সবার বন্ধু। আর আমরা যাঁরা ফেসবুকে আছি, আমাদের উঠতি বয়সের ভাই ভাতিজারা প্রেমিকার গলা জাবড়ানো ছবি দেখে লাইক/কমেন্ট করতে থাকি। যেমন: আমি আমার এক আদরের ভাতিজাকে ব্লক করে দিয়েছি, শরম থেকে রক্ষা পাবার জন্য। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এ-কারণে যে, ফেসবুকে কেউ কারোর ছোট বড় নয়, সবাই সবার সমান। মানে ফেসবুকে সবার সমান অধিকার। সবাই সবার বন্ধু। ছেলেও তো বাপের বন্ধুর মতোই হয়ে থাকে। জিন্দাবাদ ফেসবুক বন্ধুগণ। জিন্দাবাদ ফেসবুক। জয়তু ফেসবুক।

নিতাই বাবু সম্পর্কে

নিতাই বাবু ২০১৫ সালে তিনি শখের বশে একটা ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করে লেখালেখি শুরু করেন।তিনি লিখতেন নারায়ণগঞ্জ শহরের কথা। লিখতেন নগরবাসীর কথা। একসময় ২০১৭ সালে সেই ব্লগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্লগ কর্তৃক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জনাব সাঈদ খোকন সাহেবের হাত থেকে ২০১৬ সালের সেরা লেখক সম্মাননা গ্রহণ করেন। সাথে নগর কথক উপাধিও পেয়ে যান। এরপর সেই ব্লগে লেখালেখির পাশাপাশি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তিনি শব্দনীড় ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করেন। শব্দনীড় ব্লগে উনার প্রথম লেখা "আমি রাত জাগা পাখি" শিরোনামে একটা কবিতা। তিনি চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে লেখালেখি পছন্দ করেন এবং নিয়মিত শব্দনীড় ব্লগে লিখে যাচ্ছেন।

12 thoughts on “ফেসবুকে সম্পর্ক সেটিং নেই কেন? থাকলে ভালো হতো!

  1. আপনার অভিজ্ঞতায় আমার অভিজ্ঞতা মিলিয়ে নিলাম মি. নিতাই বাবু। এমন ঘটনা অহরহ আমার সাথেও ঘটে। তাই সমাধান হিসেবে আমি সাইলেন্ট ফেসবুক ব্যবহারকারী হিসেবে নিজেকে তৈরী করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। নো কথা নো স্পেশাল সাইন। উইদাউট মাই ষ্ট্যাস্টাস। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভ সকাল। :)

    1. ফেসবুকে এরকম ঝামেলা আমি এড়িয়ে চলতে চাইলেও সময় সময় এই ঝামেলাই পড়ে যাই। তখন নিজেকে লজ্জিত হিসেবে ধরে নিই। কারণ, এটা একরকম লজ্জারই বিষয়! কোথায় ভাতিজা, কোথায় দাদা। হায়রে ফেসবুক! হায়রে ছদ্মনাম আর নকল ছবি।                 

  2. এমন জটিলতার কারণে ফেসবুকটাই ছেড়ে দিয়েছি। তারপরও বলি জয়তু ফেসবুক। :)

    1. হ্যাঁ, দাদা। তারপরও ফেসবুক জিন্দাবাদ। জয়তু ফেসবুক। চলুক ফেসবুক।          

  3. যেন নিজ অনুভূতি পড়লাম দাদা। জটিল জায়গা এই ফেসবুক। সীমিত থাকাই শ্রেয়।

    1. ফেসবুক সত্যি জটিল জায়গা, দিদি। তারপরও কিন্তু থাকতে হচ্ছে।         

  4. ফেসবুকে কেউ কারোর ছোট বড় নয়, সবাই সবার সমান। মানে ফেসবুকে সবার সমান অধিকার। সবাই সবার বন্ধু। ছেলেও তো বাপের বন্ধুর মতোই হয়ে থাকে।

    জিন্দাবাদ ফেসবুক। জয়তু ফেসবুক। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

    1. হ্যাঁ, দাদা। ফেসবুকে কেউ কারোর চেয়ে ছোট বড় নয়! সবার অধিকার সমানে সমান।       

  5. সেই ভাবে বা খুব বেশী প্রচলিত অর্থে "ফেসবুকে সম্পর্ক সেটিং" নেই, তবে রিলেশনের কেউ থাকলে যোগ করার অপশন কিন্তু আছে। প্রোফাইলের about অংশে তা দৃশ্যমান থাকে দাদা। :)

    1. তা শুধু আমার একান্ত ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দুই একজনের নাম লিপিবদ্ধ করে রাখার সিস্টেম। তা কেউ করে, কেউ করে না। আমি আমার স্ত্রীর নাম যোগ করেছি। আর মেয়ের নাম-সহ দুই নাতিনের নাম। আসলে দিদি, এটা নিজের প্রোফাইল সেটিং মাত্র। আমি বলতে চেয়েছি, ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট এব একসেপ্টের বিষয়ে। যখন আমি একজনকে রিকুয়েষ্ট পাঠাবো, তখন আমার সামনে একটা অপশন আসবে, আমার সাথে ঐ ব্যক্তির সম্পর্ক কী? আবার একসেন্ট করার ক্ষেত্রেও একই অপশন সামনে চলে আসতে হবে। এরপর অন্যসব বন্ধুরাও যাতে জানতে পারে, আপনার সাথে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কটা কী? এসব অপশনগুলো থাকলে কি ভালো হতো না, দিদি?                  

  6. সম্পর্ক সেটিং প্রোফাইলের বিশেষ অংশে আরও পরিস্কার থাকলে ভালো হতো!

    1. হ্যাঁ দিদি, আমি তা-ই বুঝাতে চেয়েছি।  আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন।      

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।