মরণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গৃহীত প্রাণঘাতী পদক্ষেপ

বর্তমানে কেভিড–১৯ নভেল করোনা ভাইরাস সারাবিশ্ব ব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি প্রাণঘাতী রোগ সংক্রমণ। যার উৎপত্তিস্থল ছিল গণচীনের উহানে। সেখান থেকে পালাক্রমে সারাবিশ্ব ঘুরে এই প্রাণঘাতী রোগ এখন হানা দিয়েছে আমাদের দেশে। এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস থেকে দেশ ও দশকে বাঁচাতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা বিভিন্নরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এসব পদক্ষেপের মধ্যে নভেল করোনা ভাইরাস আক্রমণ থেকে বাঁচতে করনীয় দিকনির্দেশনা-সহ বিশ্ব থেকে সব দেশকে একঘরে করে রাখার একঘেঁয়ে পদক্ষেপও নিচ্ছে। এই একঘেঁয়ে পদক্ষেপ হলো, ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা-সহ সবধরনের ভ্রমণ ভিসা বন্ধ রাখার পদক্ষেপ। এর মানে হলো, আমার বাড়িতে অন্য বাড়ির কেউ আসতে পারবে না! যার অর্থ দাড়ায় এই পৃথিবী নামক গ্রহটিতে যতগুলো দেশ আছে, একটা দেশ থেকে আরেকটা দেশের সকল যোগাযোগই বিচ্ছিন্ন করে রাখা।

যদিও আমাদের দেশে এই প্রাণঘাতী রোগে আক্রমণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের চেয়ে নুন্যতম, তবুও আমাদের ভয় থেকে যাচ্ছে নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরবর্তী সময়ের দিকে। যদিও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের চেয়ে আমাদের দেশে এখনো এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রমণে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, তবুও এই রোগসংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরবর্তী সময়ে হয়তো অনেকেই না খেয়ে ক্ষুধার জ্বালায় ছটফট করে মৃত্যুবরণ করবে; তা কিন্তু একশো-তে-একশো নিশ্চিত!

তখন এরকম পরিস্থিতির শিকার শুধু আমাদের দেশেই হবে না, সারাবিশ্বই একইরকম পরিস্থিতির শিকার হবে বলে ধারণা করা যায়। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এরকম পদক্ষেপকে একরকম মরণঘাতী পদক্ষেপই বলা চলে। যেখানে সারাবিশ্ব এই মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের আক্রমণ সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার কথা, সেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্বেচ্ছায় গ্রহণ করছে একঘরে হয়ে থাকা। তাহলে এতে বুঝাই যাচ্ছে যে, যখন এই মরণঘাতী ভাইরাস ধীরে ধীরে নিস্ক্রিয় হতে থাকবে, তখন সারাবিশ্ব আক্রান্ত হবে অর্থনীতির দুর্দশার আক্রমণে।

এর কারণ হলো, আমরা কিন্তু সবসময়ই পরনির্ভরশীল। আমাদের যা-কিছু আছে, তা দিয়ে আমারা নিজেরা চলতে পারি না বলে অনেককিছুই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের আমদানি করতে হয়। আবার আমরা আমাদের উৎপাদিত থেকে নিজেরা খরচাদি করে বাড়তি কিছু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করে থাকি। দেশ থেকে আমদানি-রপ্তানি শুধু আমরাই করি না, বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন দেশেই আমদানি-রপ্তানিত করে থাকে।

তাহলে যদি এক দেশ থেকে অন্য দেশের জনগণের জন্য ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা-সহ সবধরনের ভিসা বন্ধ কার্যক্রম চলতে থাকে, তাহলে তো এক হিসেবে আমদানি-রপ্তানি-সহ দেশের প্রতিটি মানুষের জীবন জীবিকার উপরই প্রভাব পড়ে। তাহলে বর্তমান সময়ের উদিত হওয়া মরণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের চেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাণঘাতী ভাইরাসে রূপ নিতে যাচ্ছে; বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কিছু একঘেঁয়েমি গৃহীত পদক্ষেপ। যা প্রাণঘাতী পদক্ষেপ বলে বর্ননা করা যায়।

নিতাই বাবু সম্পর্কে

নিতাই বাবু ২০১৫ সালে তিনি শখের বশে একটা ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করে লেখালেখি শুরু করেন।তিনি লিখতেন নারায়ণগঞ্জ শহরের কথা। লিখতেন নগরবাসীর কথা। একসময় ২০১৭ সালে সেই ব্লগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্লগ কর্তৃক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জনাব সাঈদ খোকন সাহেবের হাত থেকে ২০১৬ সালের সেরা লেখক সম্মাননা গ্রহণ করেন। সাথে নগর কথক উপাধিও পেয়ে যান। এরপর সেই ব্লগে লেখালেখির পাশাপাশি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তিনি শব্দনীড় ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করেন। শব্দনীড় ব্লগে উনার প্রথম লেখা "আমি রাত জাগা পাখি" শিরোনামে একটা কবিতা। তিনি চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে লেখালেখি পছন্দ করেন এবং নিয়মিত শব্দনীড় ব্লগে লিখে যাচ্ছেন।

4 thoughts on “মরণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গৃহীত প্রাণঘাতী পদক্ষেপ

  1. ঠিক বলেছেন। বিরাট ধস নামবে মনে হয় বিশ্বজুড়ে
    লুকাবার জায়গা থাকবে না।

    1. এর পরবর্তী অবস্থাটা কী হতে যাচ্ছে, আমি সেটা নিয়েই বেশি ভাব! বর্তমানে দেশের অনেক গার্মেন্টস বন্ধ! অনেক গার্মেন্টসে কোনও কাজ নেই। হাট বাজারে বেচা-কেনা স্থবির! দিনমজুর কাজ করে এমন মানুষের কাজ দিনেদিনে কমতে শুরু করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এখনো সীমিত থাকলেও দেশের অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে কোপ মারতে প্রস্তুত রয়েছে। এতে আমার মনে হয় যাঁরা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ দেখেনি, তাঁরা হয়তো এই দুর্ভিক্ষের ভাইরাসের আওতায় আসছে। দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে শুরু করেছে। এই দুর্ভিক্ষের ভাইরাস শুধু আমাদের দেশেই ভয়াবহ হবে বলে আমার বিশ্বাস। এটা আমার মত। তা আপনিও নিশ্চয় ভেবে দেখতে পারেন। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দিদি। 

  2. বর্তমান সময়ের উদিত হওয়া মরণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের চেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাণঘাতী ভাইরাসে রূপ নিতে যাচ্ছে; বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কিছু একঘেঁয়েমি গৃহীত পদক্ষেপ। যা প্রাণঘাতী পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করা যায়। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    1. এই করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে দেশের অনেক গার্মেন্টস বন্ধ! অনেক গার্মেন্টসে কোনও কাজ নেই। হাট বাজারে বেচা-কেনা স্থবির! দিনমজুর কাজ করে এমন মানুষের কাজ দিনেদিনে কমতে শুরু করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এখনো সীমিত থাকলেও দেশের অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে কোপ মারতে প্রস্তুত রয়েছে। এতে আমার মনে হয় যাঁরা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ দেখেনি, সেই দুর্ভিক্ষের ভাইরাস দেখা দিতে শুরু করেছে। এই দুর্ভিক্ষের ভাইরাস শুধু আমাদের দেশেই ভয়াবহ হবে বলে আমার বিশ্বাস। এটা আমার মত। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।