জীবন থাকতেও ফেসবুক মৃত্যুর পরও ফেসবুক

download (1)

লেখার শিরোনাম দেখে হয়তো অনেকেই ভাবছেন, “জীবন থাকতেও ফেসবুক, মৃত্যুর পরও ফেসবুক”, তা কী করে হয়? হ্যা, সত্যি তা-ই হয়! কীভাবে হতে পারে তা নিজে ভাবার আগে দয়া করে আমার আজকের এই লেখাটা মনোযোগ সহকারে পুরোটা পড়ুন, তা হলেই আপনারা ক্লিয়ার হয়ে যাবেন। তো চলুন, শুরু করা যাক!

বন্ধুরা, বর্তমানে ফেসবুকে একটা আইডি নেই এমন মানুষ কিন্তু খুঁজে পাওয়া যাবে না৷ স্কুলের ছাত্র হোক, কলেজের ছাত্র হোক, চাকরিজীবী হোক যেকোনো পেশার লোকেই হোক-না-কেন, ফেসবুকে একটা আইডি সবারই চাই চাই ৷ এমনকি লেখাপড়া না জানা অনেক লোকেও কিন্তু বর্তমানে ফেসবুকে পারদর্শী হয়ে উঠছে৷ তা কি আমি মিথ্যে বলছি? মোটেই না। যা বলছি, তা একশো-তে-একশো সত্য এবং বাস্তব!

আমার দেখা এমন লোক আছে নিজের নাম লেখতে কলম ভাঙে চারটে! ওই লোকও বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারী। তা-ও আবার তার ফ্রেন্ড লিস্টে হাজার চারেক ফ্রেন্ড! ওইসব ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে জানতে চাইলাম, “কীভাবে মেসেজ দিন? কীভাবে আপনার অনুভূতি গুলো বন্ধুদের জানান? কীভাবে অন্যের একটা ছবির উপর মন্তব্য করেন”? উত্তরঃ পেলাম, “আরে বাবু এটা কোনও ব্যাপারই না! শুধু nice, good, goodmorning, fine এইসব লেখাগুলো অন্য কারোর মন্তব্য থেকে কপি করে এনে পেস্ট করলেই তো হয়ে যায়। আর কীলাগে বাবু”? উল্টা আমাকেই প্রশ্ন করে!

আবার কাউকে যদি জিজ্ঞেস করি, –’আচ্ছা, আপনি ফেসবুকে এতো ঘনঘন পোস্ট করেন কেন’? উত্তর আসে, “ভাল্লাগে না! একেবারেই ভাল্লাগে না! মোবাইল চালু থাকলে হাত শুধু ফেসবুক অ্যাপটাতে চলে যায়। আর খালি হাতে ফেসবুকে ঢুকবো, তা কী করে হয়? তাই খালি হাতে না ঢুকে একটা পোস্ট করেই ফেসবুকে টু মারি”!
–আচ্ছা, সারাদিনে আপনার ১০-১২ পোস্ট দেখতে আর পড়তে আপনার বন্ধুদের বিরক্তিকর ভাব আসে না?
উত্তর আসে, “তা জানি না”!
–আপনি আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা কতজন বন্ধুর পোস্টে লাইক/কমেন্ট করেন?
উত্তর আসে, ‘আমিতো দাদা সময়ই পাই না। খানিক পর পর নিজের পোস্ট দেখতে দেখতেই তো সময় শেষ হয়ে যায়। পরেরটা কী দেখার আর সময় থাকে”?

এসব শুনে আমি অবাক না হয়ে পারলাম না! আর আমি অবাক বা হতভম্ব হলেও তাদের কিছুই যায় আসবে না, এটাও বাস্তব কথা। আরও বাস্তব কথা হলো, ডিজিটাল যুগে তো সবারই ডিজিটালি হওয়া দরকার আছে। তা-ই নয় কি?

হ্যা, তাই দেখা যায় মানুষের জীবনের একটা বড় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান যুগের বিশ্ববিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এই ফেসবুক। শুধু মানুষের জীবনের বড় অংশই নয়, ফেসবুক এককথায় একরকম জাতির মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, ফেসবুকের একটা স্ট্যাটাস বা পোস্টকে কেন্দ্র করে যখন সারাদেশে হুলস্থুল লেগে যায়, তখন স্বয়ং রাষ্ট্রের সিংহাসনও যেন কেঁপে ওঠে। ওই কাঁপনে সারাদেশ অনেকদিন পর্যন্ত কাঁপতে থাকে। তাই বর্তমান সরকার এই বিশ্ববিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কে কোন ধরনের স্ট্যাটাস বা পোস্ট করে, সেদিকে খুব গুরুত্বের সাথে নজর রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে। এখন কেউ একটা পোস্ট করে গুজব রটাবেন? তাহলে কিন্তু সাথে সাথেই খবর হয়ে যাবে! তাই বর্তমান বিশ্বের এই ফেসবুককে বলছি, জাতির মেরুদণ্ড।

কিন্তু আজ থেকে ১০/১২ বছর আগে এই ফেসবুক এদেশে মেরুদণ্ডহীন অবস্থাতেই ছিলো। তখন যে কারোই একটা গুজবের স্ট্যাটাস বা পোস্টে দেশটাকে এতটা কাঁপাতে পারেনি। এখনকার মতো ফেসবুক তখন এতটা জনপ্রিয়ও ছিলো না। আমি ২০১১-১২ সালের কথা বলছি! তখন খুব কম মানুষই ফেসবুক ব্যবহার করতো। যদিও আমাদের দেশে ফেসবুক নোট চালু হয়, ২০০৬ সালের আগষ্টের ২২ তারিখ। যা ছিলো মূলত একটি সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার প্লাটফর্ম মাত্র। এর পর থেকে ধীরেসুস্থে বাংলার মানুষের কাছে ফেসবুক জনপ্রিয় হতে সময় লেগেছিল কিছু বছর। ফেসবুক এদেশে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠতে শুরু করেছিল তখন, যখন বাটন মোবাইলের পাশাপাশি এ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম টাচ্ মোবাইল এদেশের বাজার আসে।

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম টাচ্ মোবাইল বাজারে আসার আগে এদেশে ফেসবুকের পথচলা যেমন ছিলো কচ্ছপগতি, তেমনই ছিলো অনেক মানুষের কাছে অপছন্দের। তখন এদেশের অনেক কবি সাহিত্যিক ফেসবুকের নামও শুনতে পারতো না। শুধু কবি সাহিত্যিকই নয়, তখন অনেক শিক্ষিত মানুষের কাছেই ফেসবুক ছিলো অপছন্দের। ২০০৬ সাল থেকে দিন আর মাস ও বছর যতো গড়িয়েছে, ফেসবুক সব পেশার মানুষের কাছে পছন্দের হয়ে ততো পৌঁছেছে। এখন কবিদের কবিতার আসর, আর সাহিত্যিকদের সাহিত্য চর্চার পেইজের অভাব নেই। এমনও কবি সাহিত্যিক আছে, তারা সারা দিনরাত শুধু ফেসবুক নিয়েই পড়ে থাকে। এই অবস্থা কিন্তু কবি সাহিত্যিকের বেলাতেই নয়, এ অবস্থা সকল ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যেই লক্ষণীয়। এর কারণ হলো, বর্তমানে দেশের সিংহভাগ মানুষের কাছেই ফেসবুক খুবই জনপ্রিয় ও খুবই পছন্দের, তাই।

বর্তমানে এই ফেসবুককে অনেকে নিজের ব্যক্তিগত ডায়েরি হিসেবেও ব্যবহার করে থাকে। তাই আমাদের বাংলাদেশে বিশ্ববিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এই ফেসবুকের এখন জয়জয়কার অবস্থা। ফেসবুক ছাড়া এখন বেশিরভাগ মানুষের জীবন চলে না। জীবন যেভাবেই চলুক-না-কেন জীবনের সাথে একটা ফেসবুক আইডি থাকলে অনেকেরই মনটা অনেক ভালো লাগে বলে জানা যায়।

আর ভালো তো লাগবেই। বর্তমানের মতো ফেসবুকে আগে এতকিছু ছিলো না। দিন যত যাচ্ছে, ফেসবুক মানুষের সুবিধার্থে, মানুষের কল্যাণে, মানুষের ভালো লাগার জন্য আরও অনেক সিস্টেম চালু করছে। ভালো লাগার কারণ আরও আছে। বর্তমানে ফেসবুকে ব্যবসা বাণিজ্য, খবর, বিনোদন, অনলাইন কেনাবেচা, মেসেজ আদান-প্রদান, হিন্দুদের রামায়ণ, গীতা পাঠ, মহাভারতের বাণী, পবিত্র বাইবেলের বাণী, মুসলমানদের পবিত্র কুরআন পাঠ সবই আছে। তাই অনেক মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠেই ঘুমঘুম চোখে আগেই ফেসবুকে একটু টু মেরে নেয়। তারপর সকালের নাস্তা খাওয়া। এরপর সারাদিনের জন্য ঘাপটি মেরে বসে ফেসবুকে। চলে রাতদুপুর পর্যন্ত।

বর্তমানে কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে, “আপনি ফেসবুকে কী করেন”? উত্তর আসবে এরকম, “আরে ভাই, এই ফেসবুক পাইয়া খবরের কাগজ কেনা ছাইড়া দিছি। আজকাল খবরের কাগজে খবর নাই। খালি খালি অ্যাডভ্রাইজ। আর বেশিরভাগ বাসি খবর! মানে আগের দিনের খবর পরেরদিন। আর ফেসবুকে টাটকা খবর পাওয়া যায় ভাই”।

আসলেও তো সত্যি! ফেসবুকের খবর কিন্তু টাটকা খবরই! যেমন: মহল্লার খবর, দেশের খবর, কালোবাজারি খবর, নিজ এলাকার বিয়ের খবর, জন্মদিনের খবর, জন্মদানের খবর, হানিমুনের খবর, ভ্রমণের খবর, মৃত্যুর খবর, নিজ ঘরের খবর, সকালে খাবারের খবর, দুপুরের খাবারের খবর, রাতে শোবার খবর, মার খাওয়ার খবর, মার দেয়ার খবর-সহ আরও অনেক টাটকা খবরই পাওয়া যায়।

শুধু খবরই না, বর্তমানে ফেসবুকে খবর, বিনোদনের পাশাপাশি সাহায্য চাওয়া, স্বজনদের সন্ধান করা,পাত্র-পাত্রী খোঁজ করা, ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করা, রাষ্ট্রনায়কদের সাথে যোগাযোগ করা, এলাকাভিত্তিক দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া, পছন্দের নেতাদের গুনগান গাওয়া, মিথ্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, দুর্নীতিবাজদের সমালোচনা করা, প্রশ্নপত্র ফাঁস করা, যেকোনো নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া-সহ আরও কতো কী! মোট কথা জীবন মরণ, ধর্মকর্ম, প্রেম-ভালবাসা, চোর ধরা ডাকাত ধরা, গোমড়ফাঁস করা-সহ এই ফেসবুক যেন এক মহাকিতাবে পরিণত হয়েছে ৷ যেমন পুরোটা ফেসবুকে চলছে তুমুল প্রতিযোগিতা।

এমন প্রতিযোগিতামূলক ফেসবুকে অনেক সময় দেখা যায় লাইকের প্রতিযোগিতা। এই লাইক প্রতিযোগিতায় যুবতী মেয়েরাই সবচাইতে এগিয়ে থাকে বেশি! এই প্রতিযোগিতায় আরো অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। তাদের আইডি বা পেইজে দেখা যায় লাইকের পাহাড় তৈরি হয়। এছাড়াও প্রতিযোগিতায় আছে সুপারস্টার, মডেলতারকা, অভিনেতা, অভিনেত্রী, লেখক/লেখিকারাও। লাইক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ নিজেও ৷

মার্ক জুকারবার্গের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল সেই ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ সাল থেকে। আজও তিনি থেমে নেই৷ যদিও প্রথম প্রথম এই ফেসবুক ছিলো শুধু একে অপরের সাথে সহজে যোগাযোগ কারা। তা-ও ছিলো শুধু আমেরিকায় বসবাসকারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এরপর বিশ্বের সব দেশের মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ২০০৫ সাল থেকে আস্তেধীরে অদ্য পর্যন্ত সারা বিশ্বেই ফেসবুকের পদচারণা৷ তাই আগের চেয়ে আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে এই ফেসবুক। তবুও থামছেন না মার্ক জুকারবার্গের প্রতিযোগিতা।

ফেসবুক নির্মাতার প্রতিযোগিতা দেখে ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও কিন্তু থেমে নেই। সমান তালে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রতিযোগিতাও চলছে। প্রতিযোগী বৃদ্ধ হোক আর শিশুই হোক, ফেসবুকে প্রতিযোগিতা চলছে, চলবেই। এই প্রতিযোগিতার অবসান ঘটবে তখন, যখন একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর বয়স বেড়ে একেবারে খনখনে বুড়ো হয়ে যাবো। তাহলে বলতে পারেন, ফেসবুকেরও তো বয়স বাড়ছে, বুড়ো হচ্ছে! হ্যাঁ ফেসবুকেরও বয়স বাড়ছে ঠিক! কীভাবে বয়স বাড়ছে, তার একটা হিসাব কষা দরকার।

হিসাব হলো, ধরা যাক শুরু থেকে যারা ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলো তাদের এখন বয়স প্রায়ই চল্লিশের কোঠায়। বর্তমানে সারাবিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ফেসবুকে আছেন। তবে একটু চিন্তা করলে দেখা যায়, এখন থেকে একজন মানুষের ৮০ বছর বয়স হলে জন্মলগ্ন থেকে ফেসবুকের বয়স তখন কত হবে? হিসাব কষে দেখা যায় ৯৮ বছরের উপরে ফেসবুকর বয়স হয়ে যায়৷ বর্তমান যুগে এই দুনিয়ায় ৯৮ বছর খুব কম মানুষ’ই বেঁচে থাকে৷

এখন মনে করুন ফেসবুকে থাকাকালীন সময়ে যদি কারোর মৃত্যু হয়, তাহলে এই মৃতব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্টটার অবস্থা কী হবে? মৃত্যু ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট বা আইডিটা কী বেঁচে থাকলো? নিশ্চয় না! এককথায় ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টটাও কিন্তু মৃত্যুবরণ করলো! তাহলে কী হলো? তাহলে তো হয়ে গেলো ফেসবুকে তার একটি ‘সমাধি’ বা ‘করব’।

কবর হয়ে থাকার কারণও আছে। এর মূলকারণ হলো এই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক স্বইচ্ছায় কারোর প্রোফাইল মুছে ফেলতে নারাজ। তা ব্যবহারকারী মৃত্যুবরণ করলেও। এই ফেসবুক ওয়েবসাইটি সকল ব্যবহারকারীর প্রোফাইল সন্মান রক্ষার্থে চিরদিন স্মৃতি করে করে রাখতে চায়।

যদি তা-ই হয়, তাহলে আমি নিজেওতো একজন নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহারকারী। আমারও তো একদিন মৃত্যু হবে। কারণ আমি মহান স্রষ্টার সৃষ্টি জীব। জীবের মৃত্যুই নিশ্চিত। যখন ওপারের ডাক আসবে, এই পৃথিবীর সবকিছু ফেলে আমাকে পরপারে যেতেই হবে। আমার মৃত্যুর পর আমার যা-কিছু থাকবে, তা কেউ-না-কেউ ভোগদখল করবে। কিন্তু আমার স্বাদের ফেসবুক আইডি খানা কেউ ভোগদখল করতে পারবে না। ফেসবুক কর্তৃপক্ষও তাদের স্বইচ্ছায় আমার ফেসবুক এ্যাকাউন্ট মুছে ফেলবে না। কাজেই আমার মৃত্যুর পর আমার আত্মীয়স্বজনরা শবদেহ দাহ করতে নিয়ে যাবে, নারায়ণগঞ্জ মাসদাইর পৌর শ্মশানে। সেখানে পুরোহিতের মন্ত্র পাঠে আমার শবদেহ মহা ধুমধামে আগুনে সূচিত করবে। তারপর হয়তো বছরে একবার নিজের ঘনিষ্ঠ কোনও সজন শ্মশানে গিয়ে আমার স্মরণের প্রদীপ জ্বালাবে। আর এই বিশ্ববিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আমার আইডি টার অবস্থা কী হবে, তা একটু ভেবে দেখলে বোঝা যায়।

বোঝা যায় যে, আমার মৃত্যুর পর বিশ্ববিখ্যাত ফেসবুক আমার আইডি খানা বর্তমানে যেমন আছে, ঠিক সেভাবেই রেখে দিবে। কিন্তু আমিতো নেই! তাহলে? তাহলে আমার মৃত্যুর পর এই পৃথিবীর একটা জায়গায় আমার সমাধি তো আগেই হয়েছিল। তারপরও বিশ্ববিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও আমার আইডি খানা সমাধি বা করব হয়ে থাকবে। এতে কোনও ভুল নেই। কাজেই আমার জীবন থাকতেও ফেসবুক থাকবে, আমার মৃত্যুর পরও আমি ফেসবুকে থেকেই যাচ্ছি। জয় ✌ ফেসবুক। জয় ✌ হোক বিশ্ববিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের। জয় ✌ হোক সকল ফেসবুক ব্যবহারকারীদের।

বি: দ্র: আমার এই লেখাতে ফেসবুক এবং ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ছোট করা হয়নি। বরং ফেসবুক নির্মাতা-সহ বিশ্বের সকল দেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সম্মান দেখানো হয়েছে। কাজেই পুরো লেখা না পড়ে কেউ বিদ্রুপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন বলে আশা করি।

ছবি সংগ্রহ ইন্টারনেট থেকে।

নিতাই বাবু সম্পর্কে

নিতাই বাবু ২০১৫ সালে তিনি শখের বশে একটা ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করে লেখালেখি শুরু করেন।তিনি লিখতেন নারায়ণগঞ্জ শহরের কথা। লিখতেন নগরবাসীর কথা। একসময় ২০১৭ সালে সেই ব্লগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্লগ কর্তৃক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জনাব সাঈদ খোকন সাহেবের হাত থেকে ২০১৬ সালের সেরা লেখক সম্মাননা গ্রহণ করেন। সাথে নগর কথক উপাধিও পেয়ে যান। এরপর সেই ব্লগে লেখালেখির পাশাপাশি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তিনি শব্দনীড় ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করেন। শব্দনীড় ব্লগে উনার প্রথম লেখা "আমি রাত জাগা পাখি" শিরোনামে একটা কবিতা। তিনি চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে লেখালেখি পছন্দ করেন এবং নিয়মিত শব্দনীড় ব্লগে লিখে যাচ্ছেন।

2 thoughts on “জীবন থাকতেও ফেসবুক মৃত্যুর পরও ফেসবুক

  1. মোদ্দাকথা জীবন থাকতে ফেসবুক থাকবে, মৃত্যুর পরও ফেসবুক থাকবে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    1. সুন্দর মননশীল মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞচিত্তে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন সবসময়। 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।