বিশ বছর পর দেখা হল সার
আমার পল্লী গ্রামখানি,
না পারিলাম কিছু হটিলাম পিছু
রয়ে গেলাম চির ঋনী।
কি যে হল ফল চোখে এল জল
দেখে মানবের দুর্দশা,
বেদনা আঁধার শুধু হাহাকার
নিত্য তাদের আশা।
সুখের ঘরে কেঁদে কেঁদে মরে
দীনতা একা বসে,
পায় না খেতে দিনে বা রাতে
দুঃখ থাকে যে পিছে।
সোনার মাটি আর নেই খাঁটি
ফলে না তেমন সোনা,
এক মুঠে দানা কেবলি বাসনা
বাজেনা সুখের বীনা।
যদি কিছু পায় তিনে দুই নাই
চলে যায় তা ও সুদে,
কত শত কথা জমানো ব্যথা
রেখেছে বুকে বেঁধে।
ছেলে গুলোর মুখ দেখে হয় দুখ
কেমনে সহো তাহা,
মুছে আঁখি জল মনে আনো বল
রেখোনা কোন দ্বিধা।
তুলে দু’হাত করো মোনাজাত
কেঁদে বলো বিধাতারে,
যদি কোন ভুল ফুটে হয় ফুল
দিও তুমি ক্ষমা করে।
করে বিভেদ দুর মিশে করো চুর
অভাব নামের গিরি,
এছাড়া আর নেই খোলা দ্বার
বলে আমি ঘরে ফিরি।
14 thoughts on “ফিরে দেখা”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
জীবনের চড়াই উৎরাই এর সাথে নৈমিত্তিক যুদ্ধাবসারে মানুষকে এক সময় না একসময় পিছু ফিরে তাকাতেই হয়। আমাদের ফেলে আসা শৈশব, কৈশোর জলস্নান, বিরহ ব্যাথা … সবই ফিরে আসে। নস্টালজিক এই মন স্মৃতির জাবর কাটে। ফিরে দেখি।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী
কবিতাটি পড়লাম কবি দা। ভাল লিখেছেন।
ধন্যবাদ আপু।
এই আমাদের জীবন বিধান। শুভেচ্ছা কবি নীতিশ দা।
ধন্যবাদ । আশির্বাদ করবেন দাদা।
চিরকাল আমার গ্রাম আমায় পিছু ডাকে। শুভেচ্ছা কবি।
ধন্যবাদ আপু।
তুলে দু’হাত করো মোনাজাত
কেঁদে বলো বিধাতারে,
যদি কোন ভুল ফুটে হয় ফুল
দিও তুমি ক্ষমা করে।
ধন্যবাদ।
সুন্দর ছন্দ। +++
গ্রাম আমারও পছন্দ
ধন্যবাদ।
সুন্দর লিখেছেন, শুভেচ্ছা জানবেন
ধন্যবাদ।