দুপুরের রোদে ঘাসফুল

নীরবতার ঘনত্ব বুঝিয়ে দেয় হাত ঘড়ির টিকটিক শব্দ
ঝি-ঝি পোঁকা ছাড়া আর কোনো মহৎ কবির গান নেই
প্রিয় অরুন্ধতী, তোমাকে না- ভুলে আছি নিজেকেই।
দিন দিন প্রতিদিন রক্তে ভেজে মৃত্তিকা
মানবতার ওষ্ঠে জমে প্রতারক ধুলো
অন্ধগলির পতিতা শেখায় সীতার সতীত্ব;
বড়ই আজব এদেশ এসময়, অরুন্ধতী!
দুপুরের টানাপোড়েনে কাটে রাত্রিদিন
একটি শিশু ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ায়
এক পা দু পা করে এগিয়ে যায় পৃথিবীর পথে
সভ্যতার চাকা ঘুরতে দেখে মিথ্যে সুখে ঘুমায় পিতা

অরুদ্ধতী, তোমার ঘুম তো ভাঙলো না!
বেজন্মা সভ্যতার উপর এতো ঘৃণা তোমার?
সত্যি করে বলো তো অরুদ্ধতী-
তুমি কি দুপুরের রোদে বিবর্ণ ঘাসফুল?

প্রবাল মালো সম্পর্কে

ক্রমশ অবচেতনে বেড়ে যায় জয় আর পরাজয়ের বোঝা, ক্লান্ত আমি- নিজেকে লুকোই বালকের প্রথম প্রেমের চিহ্নের মতো। কোনো অর্জন নেই আমার- কেবলই অবক্ষয়-ধ্বংস-মৃত্যু, জয়ের আনন্দে বিহ্বলতা নেই- আছে গোপন কান্না, প্রতিটি প্রাপ্তির পেছনে উপলব্ধি ঘৃণার-সংশয় বোধের, প্রকৃতির নীরবতা-নম্রতার পেছনে হিংস্রতার প্রেতছায়া, মৃত্তিকার অগভীরে শেকড়ের ভয়ংকর নগ্নতার ছাপ, নদীর ঢেউয়ের গোপনীয়তা থেকে দোয়েলের সুমিষ্ট শিসের ঘ্রাণ, ঘাসের বেড়ে ওঠা নীরবে- কিছুই তো অজানা নয় মানুষগুলোর, তবু কেন এই অশনি সংকেত! ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে স্বীকারোক্তি দেবে কে? তোমার স্মৃতিগুলোতো ক্রমে অস্পষ্ট, তবুও তোমার দেহের ভঙ্গিমা সবচেয়ে সুখকর- সরল জীবনের মতো, সে-জীবন খোঁজে কবি, কবিতা, প্রেমিক, ঘাস, হৃদয়; তবু কেন মানুষ নয়!

3 thoughts on “দুপুরের রোদে ঘাসফুল

  1. রোম্যান্টিক ঘরানার প্রশ্নের মধ্য দিয়ে লিখাটি শেষ হয়েছে।
    বেশ অসাধারণ লিখেন আপনি; ইতিমধ্যেই পাঠক হিসেবে আমাদের বিশ্বাস জন্মেছে।

    ভালো থাকুন কবি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. আপনার কবিতা পড়লাম। পড়ে বেশ ভাল লাগল। সবথেকে ভাল লেগেছে – দুপুরের রোদে বিবর্ণ ঘাসফুল।

    শুভেচ্ছা জানাই।

  3. হতাশা, ক্ষোভ, প্রেম ও প্রতিবাদের কথামালায় এক শৃঙ্খল ভঙ্গের আহ্বান লক্ষনীয় আপনার এ কবিতায় । কবিতায় তীব্র এ আবেদন ভীষণ ভালো লাগলো ।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।