রক্ত নয়, বেশ্যার সিঁদুর

মুছে ফেলো স্মৃতিরাশি, কাগজের নৌকায় ভাসাও পাতার শরীর
গতরাতে বেশ্যার ঘরে মরেছে ফ্রয়েড লজ্জায় ও ক্ষোভে
কবিতার সাথে কবির হয়েছে অন্ধকারে রক্তচোখা দৃষ্টি বিনিময়
না গো প্রিয় নারী, রক্ত নয়- শরীরে লেগেছে বেশ্যার সিঁদুর

শোনো আর না শোনো- ওদিকে ভ্রুক্ষেপ করে না কবন্ধ প্রেমিক
ফুলের বাগানে প্রস্ফুটিত কলি আসে অলি অরণ্যে নব পল্লব
রাত্রিহর্ষক ঘোর অন্ধকারে শিকার করে চন্দ্র নয়- ক্ষুদ্র জোনাকি
কেটে যায় নষ্ট সময়, রক্ত নয়- শরীরে লেগেছে বেশ্যার সিঁদুর

ভুলি না, একদা রাজপথ পেছনে ফেলে এসেছি রবীন্দ্রনাথে
মাথায় থাক রবীন্দ্রনাথ- এই বলে হেঁটেছি রেলপথ হাতে ছিল হাত
পোড়া কপালে ফ্রয়েড শেষে তুমি মরলে অন্ধগলিতে বেশ্যার ঘরে
জেনো, রক্ত নয়- বুকের গভীর ক্ষতে সুচতুর বেশ্যার সিঁদুর

প্রবাল মালো সম্পর্কে

ক্রমশ অবচেতনে বেড়ে যায় জয় আর পরাজয়ের বোঝা, ক্লান্ত আমি- নিজেকে লুকোই বালকের প্রথম প্রেমের চিহ্নের মতো। কোনো অর্জন নেই আমার- কেবলই অবক্ষয়-ধ্বংস-মৃত্যু, জয়ের আনন্দে বিহ্বলতা নেই- আছে গোপন কান্না, প্রতিটি প্রাপ্তির পেছনে উপলব্ধি ঘৃণার-সংশয় বোধের, প্রকৃতির নীরবতা-নম্রতার পেছনে হিংস্রতার প্রেতছায়া, মৃত্তিকার অগভীরে শেকড়ের ভয়ংকর নগ্নতার ছাপ, নদীর ঢেউয়ের গোপনীয়তা থেকে দোয়েলের সুমিষ্ট শিসের ঘ্রাণ, ঘাসের বেড়ে ওঠা নীরবে- কিছুই তো অজানা নয় মানুষগুলোর, তবু কেন এই অশনি সংকেত! ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে স্বীকারোক্তি দেবে কে? তোমার স্মৃতিগুলোতো ক্রমে অস্পষ্ট, তবুও তোমার দেহের ভঙ্গিমা সবচেয়ে সুখকর- সরল জীবনের মতো, সে-জীবন খোঁজে কবি, কবিতা, প্রেমিক, ঘাস, হৃদয়; তবু কেন মানুষ নয়!

1 thought on “রক্ত নয়, বেশ্যার সিঁদুর

  1. কবিতার শেষ লাইনটি মাথায় রেশ হয়ে আছে।
    যথেষ্ঠ পরিচ্ছন্ন বক্তব্য এবং পরিশীলিত উপস্থাপনা। শুভ সন্ধ্যা কবি।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।