তথৈবচ

জীবনটাকে উড়িয়ে দেবো সুতো কাঁটা ঘুড়ির মতো
এক জীবনে একটি মানুষ
এক আকাশে একটি ফানুস
উড়িয়ে দিলে কার ক্ষতি হয়?
ঘর যদি হয় বিশাল আকাশ
কে আর করে ঘরে বাস!
এক আকাশে একটি ফানুস উড়িয়ে দিয়ে
রাতের দূঃখী তারাকে চোখ রাঙিয়ে
তোমার চোখের মহুয়া করে পান
জীবনটাকে উড়িয়ে দেবো সুতো কাঁটা ঘুড়ির মতো।

বহুকাল চার দেয়ালে বন্দি ছিলাম
বহুকাল মানুষ হয়ে দিন কাটালাম
এখন ভাবি কেন থাকবো বহুদূর!
তুমি আমি আমরা দুজন-
আমরা যখন দেখেই এলাম সমুদদূর।
সকালের শিশির ভেজা ঘাস মাড়িয়ে
বা হাতের পাঁচটি আঙুল তোমায় দিয়ে
তোমার চোখের মহুয়া করে পান
জীবনটাকে উড়িয়ে দেবো সুতো কাঁটা ঘুড়ির মতো।

প্রবাল মালো সম্পর্কে

ক্রমশ অবচেতনে বেড়ে যায় জয় আর পরাজয়ের বোঝা, ক্লান্ত আমি- নিজেকে লুকোই বালকের প্রথম প্রেমের চিহ্নের মতো। কোনো অর্জন নেই আমার- কেবলই অবক্ষয়-ধ্বংস-মৃত্যু, জয়ের আনন্দে বিহ্বলতা নেই- আছে গোপন কান্না, প্রতিটি প্রাপ্তির পেছনে উপলব্ধি ঘৃণার-সংশয় বোধের, প্রকৃতির নীরবতা-নম্রতার পেছনে হিংস্রতার প্রেতছায়া, মৃত্তিকার অগভীরে শেকড়ের ভয়ংকর নগ্নতার ছাপ, নদীর ঢেউয়ের গোপনীয়তা থেকে দোয়েলের সুমিষ্ট শিসের ঘ্রাণ, ঘাসের বেড়ে ওঠা নীরবে- কিছুই তো অজানা নয় মানুষগুলোর, তবু কেন এই অশনি সংকেত! ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে স্বীকারোক্তি দেবে কে? তোমার স্মৃতিগুলোতো ক্রমে অস্পষ্ট, তবুও তোমার দেহের ভঙ্গিমা সবচেয়ে সুখকর- সরল জীবনের মতো, সে-জীবন খোঁজে কবি, কবিতা, প্রেমিক, ঘাস, হৃদয়; তবু কেন মানুষ নয়!

1 thought on “তথৈবচ

  1. “জীবনটাকে উড়িয়ে দেবো সুতো কাঁটা ঘুড়ির মতো
    এক জীবনে একটি মানুষ
    এক আকাশে একটি ফানুস।”

    সেই ভালো। জীবনকে যতটা হালকা রাখা যায়। অভিনন্দন প্রিয় কবি মি. প্রবাল। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।