এলো যেই আষাঢ় শ্রাবণ
এলো যেই সে ঐ আষাঢ় শ্রাবণ
কি সে তীব্র দাবদাহ, প্রচন্ড রোদের পর;
এ যে ঋতু রানী বর্ষার আগমন
জলমগ্ন সবি শুনি ব্যাঙের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর।
সবুজ মাঠে ধানের শিষ করে নৃত্য
জলে হাসে শাপলা মুখরিত রিমঝিম গানে;
পল্লীর বধূরা যেন ঘোমটায় আবৃত
যায় নাইয়র চোখটি ফেলে আসা পথপানে।
চারিদিকে শুধু রিনিঝিনি বৃষ্টির সুর
ছন্দে তার মনে হয় কত মনে ভারী উদাস;
টিনের চালে কি বাদ্য ঝাপুর ঝুপুর
তালে তালে হেসে উঠে মৃত প্রায় দূর্বাঘাস।
ফিরে পায় প্রাণ, কি সজীব গাছপালা
মাছগুলোও ছুটে বেড়ায়, খালে বিলে জলে;
চাষিরা ভুলে সকল অভার কষ্ট-জ্বালা
ধরতে রুপালী মাছ, জেলেরাও জাল ফেলে।
বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলেরা সুবাস ছড়ায়
চারিদিকে হৈচৈ নৃত্য সমুদ্র জাগে গ্রামজুড়ে;
দুষ্টু কিশোরেরা মাতে কলার ভেলায়
বৃষ্টির ছোঁয়ায় কার না মনে রস উপচে পড়ে।
নির্মেদ কবিতা। প্রকৃতির সংযোজন থাকায় অনন্য হয়েছে লিখাটি।
অভিনন্দন মি. সাইদুর রহমান। শুভ সকাল।
বাহ সুন্দর ছবিটি। অজস্র ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্যে।
স্বাগতম প্রিয় কবি।
বৃষ্টির ছোঁয়ায় কার না মনে রস উপচে পড়ে।
*মানবের তনুমনে বৃষ্টির প্রভাব প্রচন্ড প্রতাপশালী । বর্ষা আমার প্রিয় ঋতু । আমি বর্ষা নাম শুনলেই কেমন ভিজে যাই। ধন্যবাদ কবি বৃষ্টিধোয়া কবিতার জন্য ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আনিসুর রহমান ভাই। শুভ কামনা।